শারীরিক শিক্ষাও শিক্ষা by নাজমা আহমেদ
পড়াশোনার চাপ ও নানা কারণে শৈশবকাল যে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলারও সময়, এটা এই প্রজন্মের সন্তানেরা জানে না। কিছুদিন আগেও বলতে গেলে প্রতিটি বাড়িতে উঠান বা অব্যবহৃত খোলা জায়গা থাকত। বিকেল হতে না হতেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সেখানে খেলাধুলা করত। বড় বড় পাড়া-মহল্লায় মাঠ দেখা যেত। অতীতে মাঠবিহীন বিদ্যালয় কল্পনাই করা যেত না। কিন্তু বর্তমানে অনেক বিদ্যালয়ে মাঠের অস্তিত্বই দেখা যায় না।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শারীরিক শিক্ষা বিষয়টি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা আগে ছিল না। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যসূচির অধ্যায়ের শিরোনাম একই, কিন্তু বিষয়বস্তু, বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী ভিন্ন আঙ্গিকে লেখা বিষয়গুলোও চমৎকার ও আকর্ষণীয়। অধ্যায়গুলো হলো: ক. শরীরচর্চা ও সুস্থ জীবন, খ. স্কাউটিং, গ. স্বাস্থ্যবিজ্ঞান পরিচিতি, ঘ. আমাদের জীবনে বয়ঃসন্ধিকাল, ঙ. জীবনের জন্য খেলাধুলা, চ. আউটডোর খেলাধুলা-ফুটবল, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিকস দৌড়, দীর্ঘ লাফ, ইনডোর গেম, দাবা, ক্যারম বোর্ড।
২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এসএসসিতে শারীরিক শিক্ষা পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ২৫ নম্বর ব্যবহারিক। ৫ নম্বর ব্যবহারিক খাতার জন্য এবং বাকি ২০ নম্বরের মধ্যে ১২ নম্বর খেলা প্রদর্শন ও ৮ নম্বর শরীরচর্চা প্রদর্শন। লিখিত পরীক্ষায় ৭৫ নম্বর। অন্যান্য উত্তরের সঙ্গে খেলাসম্পর্কিত একটি উত্তর বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ সে প্রশ্নের উত্তর সবাইকেই লিখতে হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড শারীরিক শিক্ষা বিষয়টি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের কৌশলে শ্রেণিকক্ষ থেকে মাঠে এবং খাতায় পর্যন্ত নিয়ে গেছে। অন্যান্য বিষয়ের মতো শারীরিক শিক্ষা বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে। শিক্ষার্থীদের খেলা সম্পর্কে জানতে হবে।
বাংলাদেশের শিক্ষকদের আর্থিক সম্মানী খুবই কম। বাধ্য হয়েই শিক্ষকেরা বাড়তি আয়ের জন্য প্রাইভেট টিউশনি বা কোচিং করান। এ ছাড়া অনেকে জেএসসি ও এসএসসির খাতা দেখেন, কিন্তু শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকেরা এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বরাবরই বঞ্চিত ছিলেন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড শারীরিক শিক্ষা বিষয়টি এসএসসি পর্যন্ত আবশ্যিক বিষয় করার ফলে বিষয়টির গুরুত্ব বহু গুণ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের আনাচকানাচে যেসব দক্ষ খেলোয়াড় লুকায়িত আছে, তাদের অতি সহজেই খুঁজে বের করা যাবে, যারা কিনা ভবিষ্যতে খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশেও সুনাম বয়ে আনবে।
লেখক: নাগরিক, ঢাকা।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শারীরিক শিক্ষা বিষয়টি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা আগে ছিল না। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যসূচির অধ্যায়ের শিরোনাম একই, কিন্তু বিষয়বস্তু, বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী ভিন্ন আঙ্গিকে লেখা বিষয়গুলোও চমৎকার ও আকর্ষণীয়। অধ্যায়গুলো হলো: ক. শরীরচর্চা ও সুস্থ জীবন, খ. স্কাউটিং, গ. স্বাস্থ্যবিজ্ঞান পরিচিতি, ঘ. আমাদের জীবনে বয়ঃসন্ধিকাল, ঙ. জীবনের জন্য খেলাধুলা, চ. আউটডোর খেলাধুলা-ফুটবল, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিকস দৌড়, দীর্ঘ লাফ, ইনডোর গেম, দাবা, ক্যারম বোর্ড।
২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এসএসসিতে শারীরিক শিক্ষা পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ২৫ নম্বর ব্যবহারিক। ৫ নম্বর ব্যবহারিক খাতার জন্য এবং বাকি ২০ নম্বরের মধ্যে ১২ নম্বর খেলা প্রদর্শন ও ৮ নম্বর শরীরচর্চা প্রদর্শন। লিখিত পরীক্ষায় ৭৫ নম্বর। অন্যান্য উত্তরের সঙ্গে খেলাসম্পর্কিত একটি উত্তর বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ সে প্রশ্নের উত্তর সবাইকেই লিখতে হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড শারীরিক শিক্ষা বিষয়টি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের কৌশলে শ্রেণিকক্ষ থেকে মাঠে এবং খাতায় পর্যন্ত নিয়ে গেছে। অন্যান্য বিষয়ের মতো শারীরিক শিক্ষা বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে। শিক্ষার্থীদের খেলা সম্পর্কে জানতে হবে।
বাংলাদেশের শিক্ষকদের আর্থিক সম্মানী খুবই কম। বাধ্য হয়েই শিক্ষকেরা বাড়তি আয়ের জন্য প্রাইভেট টিউশনি বা কোচিং করান। এ ছাড়া অনেকে জেএসসি ও এসএসসির খাতা দেখেন, কিন্তু শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকেরা এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বরাবরই বঞ্চিত ছিলেন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড শারীরিক শিক্ষা বিষয়টি এসএসসি পর্যন্ত আবশ্যিক বিষয় করার ফলে বিষয়টির গুরুত্ব বহু গুণ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের আনাচকানাচে যেসব দক্ষ খেলোয়াড় লুকায়িত আছে, তাদের অতি সহজেই খুঁজে বের করা যাবে, যারা কিনা ভবিষ্যতে খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশেও সুনাম বয়ে আনবে।
লেখক: নাগরিক, ঢাকা।
No comments