ইরান–পাশ্চাত্য টানাপোড়েনের ১২ বছর, আলোচনা এক দিন বাড়ল
সুইজারল্যান্ডের
লুজান শহরে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে
আলোচনার শেষ সময় ছিল গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের
মধ্যে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি আলোচকেরা। ফলে আলোচনার সময় আরও এক
দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি সমঝোতার আশায় আজ বুধবারও আলোচনা চলবে।
খবর এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্সের। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ গত রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গত কয়েক দিনে আলোচনায়
যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। ফলে ভালো কিছুর জন্য আমরা আলোচনার মেয়াদ আরও এক
দিন বাড়িয়ে দিচ্ছি।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন এবং জার্মানি আলোচনায় অচলাবস্থা দূর করতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ আলোচনার মূল লক্ষ্য, ইরানকে পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা অর্জন থেকে বিরত রাখা। বিনিময়ে তেহরানের অর্থনীতিকে কাবু করে ফেলা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে, এমন একটি চুক্তি হলে বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে পাশ্চাত্যের গত ১২ বছরের টানাপোড়েনের অবসান ঘটবে।
ইরান কী মাত্রা পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার গবেষণা চালাতে পারবে এবং দেশটির ওপর থেকে কখন সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে, এমন কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য আলোচনার শেষ দিকে অগ্রগতি আটকে রেখেছিল। পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম ধাতু খুব উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ করা দরকার।
ইরানের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দুটি মূল প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে সময়সীমা এবং অবরোধ তুলে নেওয়া। দুই পক্ষই চুক্তির বিষয়বস্তু নিয়ে যুক্তি তুলে ধরছে। সার্বিকভাবে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।’
আলোচনায় যে সত্যিই অগ্রগতি হয়েছে এবং সম্ভাব্য একটি চুক্তি হতে পারে, তা বোঝা গেছে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টাইনমেয়ার এবং ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ ফ্যাবিয়াসের কিছু তোড়জোড় দেখেই। স্টাইনমেয়ার ও ফ্যাবিয়াসের গতকাল বার্লিনে একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা তা বাতিল করেন। আর লাভরভ গতকালই মস্কো থেকে ছুটে গেছেন লুজানে। সেখানে আগে থেকেই আলোচনার টেবিলে আরও রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডসহ অন্য জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকেরা। লুজানের উদ্দেশে মস্কো ছাড়ার আগে লাভরভ আশার কথা শুনিয়ে বলেছেন, ‘সম্ভাবনা সুউচ্চ। এবারের দফা আলোচনার ভবিষ্যৎ খারাপ নয়, বরং আমি বলব ভালো।’
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গতকাল দিনের প্রথম ভাগে লুজানে ব্যস্ত সময় কাঠিয়েছেন কারিগরি ও অবরোধবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা সম্ভাব্য একটি চুক্তির ভিত্তি দাঁড় করাতে নথিপত্র আদান-প্রদান করেছেন। সেখানে মূলত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি রূপরেখা থাকবে। এটি হবে সম্ভাব্য একটি চূড়ান্ত চুক্তির ভিত্তি। আলোচনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, একটা কিছু ঘোষণা করতে তাঁরা সক্ষম হবেন বলে আশা করছেন।
২০০২-২০০৪: ২০০২ সালের আগস্টে নাতাঞ্জ ও আরাকে ইরানের গোপন পারমাণবিক কেন্দ্র গড়ে তোলার খবর
২০০৫-২০০৮: কট্টরপন্থী আহমাদিনেজাদ ইরানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সাড়ে ৩ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার ঘোষণা। জাতিসংঘের প্রথম দফা অবরোধ
২০০৯-২০১২: ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে ফোর্দোয় পাহাড়ের নিচে আরেক পারমাণবিক স্থাপনার খবর। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার মাত্রা বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার ঘোষণা দেয় তেহরান
২০১৩: উদারপন্থী হাসান রুহানি প্রেসিডেন্ট হয়ে বলেন, ইরান আলোচনায় বসতে ‘আন্তরিক’
২০১৪: স্থায়ী চুক্তির লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারিতে সম্প্রসারিত আলোচনা শুরু। অন্তর্বর্তী চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি।
২০১৫: একটি রূপরেখা চুক্তির জন্য বেঁধে দেওয়া ৩১ মার্চের সময়সীমাকে সামনে রেখে জানুয়ারিতে আলোচনা শুরু
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন এবং জার্মানি আলোচনায় অচলাবস্থা দূর করতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ আলোচনার মূল লক্ষ্য, ইরানকে পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা অর্জন থেকে বিরত রাখা। বিনিময়ে তেহরানের অর্থনীতিকে কাবু করে ফেলা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে, এমন একটি চুক্তি হলে বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে পাশ্চাত্যের গত ১২ বছরের টানাপোড়েনের অবসান ঘটবে।
ইরান কী মাত্রা পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার গবেষণা চালাতে পারবে এবং দেশটির ওপর থেকে কখন সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে, এমন কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য আলোচনার শেষ দিকে অগ্রগতি আটকে রেখেছিল। পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম ধাতু খুব উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ করা দরকার।
ইরানের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দুটি মূল প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে সময়সীমা এবং অবরোধ তুলে নেওয়া। দুই পক্ষই চুক্তির বিষয়বস্তু নিয়ে যুক্তি তুলে ধরছে। সার্বিকভাবে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।’
আলোচনায় যে সত্যিই অগ্রগতি হয়েছে এবং সম্ভাব্য একটি চুক্তি হতে পারে, তা বোঝা গেছে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টাইনমেয়ার এবং ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ ফ্যাবিয়াসের কিছু তোড়জোড় দেখেই। স্টাইনমেয়ার ও ফ্যাবিয়াসের গতকাল বার্লিনে একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা তা বাতিল করেন। আর লাভরভ গতকালই মস্কো থেকে ছুটে গেছেন লুজানে। সেখানে আগে থেকেই আলোচনার টেবিলে আরও রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডসহ অন্য জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকেরা। লুজানের উদ্দেশে মস্কো ছাড়ার আগে লাভরভ আশার কথা শুনিয়ে বলেছেন, ‘সম্ভাবনা সুউচ্চ। এবারের দফা আলোচনার ভবিষ্যৎ খারাপ নয়, বরং আমি বলব ভালো।’
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গতকাল দিনের প্রথম ভাগে লুজানে ব্যস্ত সময় কাঠিয়েছেন কারিগরি ও অবরোধবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা সম্ভাব্য একটি চুক্তির ভিত্তি দাঁড় করাতে নথিপত্র আদান-প্রদান করেছেন। সেখানে মূলত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি রূপরেখা থাকবে। এটি হবে সম্ভাব্য একটি চূড়ান্ত চুক্তির ভিত্তি। আলোচনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, একটা কিছু ঘোষণা করতে তাঁরা সক্ষম হবেন বলে আশা করছেন।
২০০২-২০০৪: ২০০২ সালের আগস্টে নাতাঞ্জ ও আরাকে ইরানের গোপন পারমাণবিক কেন্দ্র গড়ে তোলার খবর
২০০৫-২০০৮: কট্টরপন্থী আহমাদিনেজাদ ইরানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সাড়ে ৩ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার ঘোষণা। জাতিসংঘের প্রথম দফা অবরোধ
২০০৯-২০১২: ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে ফোর্দোয় পাহাড়ের নিচে আরেক পারমাণবিক স্থাপনার খবর। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার মাত্রা বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার ঘোষণা দেয় তেহরান
২০১৩: উদারপন্থী হাসান রুহানি প্রেসিডেন্ট হয়ে বলেন, ইরান আলোচনায় বসতে ‘আন্তরিক’
২০১৪: স্থায়ী চুক্তির লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারিতে সম্প্রসারিত আলোচনা শুরু। অন্তর্বর্তী চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি।
২০১৫: একটি রূপরেখা চুক্তির জন্য বেঁধে দেওয়া ৩১ মার্চের সময়সীমাকে সামনে রেখে জানুয়ারিতে আলোচনা শুরু
No comments