হতাশায় ৩০ লাখ শিক্ষিত বেকার by নুর মোহাম্মদ
রোববার
সকাল ৯টা। ৩৪তম বিসিএসের ভাইভা দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন আসাদুল্লাহ
হাবিব। জানালেন, এটাই তার শেষ ভাইভা। এর আগে তিনবার বিসিএসের ভাইভা দিয়েও
চাকরি হয়নি। তাই এবার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে স্নাতকোত্তর করা এ যুবকের চোখে-মুখে
হতাশার চাপ। বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে দিনযাপন করা হাবিব বলেন, একটা
কর্মসংস্থানই আমার শেষ আশা। শুধু হাবিব নয়, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করে বেকারত্বের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ৩০
লাখের বেশি শিক্ষিত বেকার। জীবনের চরম বাস্তবতা তাদের পিছু ছাড়ছে না।
মুহূর্তে তাড়া করছে চাকরি না পাওয়ার হতাশা।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, গত এক দশকে উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগ হয়েছে। কিন্তু কর্মসংস্থানে বিনিয়োগ হয়নি। সঙ্গে বাড়েনি উচ্চশিক্ষার গুণগত মানও। এই বিশাল শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের বিনিয়োগের বদলে বৃদ্ধি পেয়েছে বিদেশে টাকা পাচার। ফলে কর্মসংস্থানের অভাবে দিন দিন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে একাডেমিক পড়াশোনার চেয়ে চাকরিমুখী পড়াশোনার প্রবণতা বাড়ছে। শাহবাগের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে সরজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টার আগেই গ্রন্থাগারে প্রবেশে বিশাল সারি। এ সারিতে দাঁড়ানো বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই চাকরির পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত।
সর্বশেষ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), বিশ্বব্যাংক, উন্নয়ন গবেষণাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিতের প্রায় অর্ধেকই বেকার এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ইকোনমিস্ট-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ৪৭ শতাংশ স্নাতকই বেকার বলে জানানো হয়। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক দশকে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়লেও শিক্ষার গুণগত মান বাড়েনি। ফলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি উচ্চশিক্ষিত আছেন কেবল আফগানিস্তানে ৬৫ শতাংশ। এর বাইরে ভারতে এ হার ৩৩ শতাংশ, নেপালে ২০ শতাংশের বেশি, পাকিস্তানে ২৮ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
আইএলও ‘বিশ্ব কর্মসংস্থান ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি-২০১৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে বেকারত্ব বৃদ্ধির হার ৪.৩৩ শতাংশ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছর মোট বেকার দ্বিগুণ হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে সংস্থাটি। বেকারত্বের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৫ সালে মোট বেকারের সংখ্যা ৬ কোটিতে দাঁড়াবে। সংস্থাটির মতে, বেকারত্ব বাড়ছে এমন ২০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ১২তম। বেকারত্ব বৃদ্ধির হার ও মোট বেকারের সংখ্যার ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সঙ্গে যোগাযোগ করে সাম্প্রতিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী ২০১০ সালে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ। সংশ্লিষ্টদের মতে, এ সংখ্যা এখন ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। দেশে মাত্র ২৬ লাখ মানুষ বেকার।
এদিকে উচ্চশিক্ষা বা স্নাতক পাস ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সম্পর্কে ইউজিসির সর্বশেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন (২০১৩) বলা হয়, ২০১৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৭টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ লাখ ১২ হাজার ৯০৪ জন শিক্ষার্থী স্নাতক শেষ করেছেন। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন ৫৪ হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে এক বছরে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ স্নাতক ডিগ্রিধারী বের হচ্ছেন। আর ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন প্রথম শ্রেণীর চাকরিতে নিয়োগ দিয়েছে ১২ হাজারের কম। এক বছরে ব্যাংক, দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরি ও বেসরকারি চাকরিতে দেড় লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি। ফলে প্রায় অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থীকেই চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে এই সংখ্যা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান একরাম আহমেদ বলেন, শিক্ষিত তরুণ বেকার সংখ্যা নিয়ে যে ক’টি পরিসংখ্যান প্রকাশ হয়েছে সবক’টিতে উদ্বেগজনক চিত্র পাওয়া গেছে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে পরিণত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু এ কাজটি রাষ্ট্র যথাযথভাবে পালন করতে অনেকাংশে ব্যর্থ। পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বের কিছু প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থানের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। না হয় একটি মহাদুর্ভোগ দেখা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ড. একে আজাদ চৌধুরী বলেন, শিক্ষিত বেকার বাড়ার অন্যতম একটি কারণ বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী আমাদের প্রজন্মকে শিক্ষা দিতে না পারা। গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করতেও আমরা ব্যর্থ। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক গতি প্রকৃতির দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের পাঠ্যসূচি ও শিক্ষা দেয়া জরুরি।
অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারছে না। একাডেমিক পড়াশোনার সঙ্গে চাকরির বাজারের বিরাট অসামঞ্জস্যতা থাকায় তারা একাডেমিকের চেয়ে চাকরিমুখী পড়াশোনায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে শিক্ষিত বেকারত্ব হ্রাসে গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। গতানুগতিক শিক্ষায় চাকরি বাজারের প্রবেশ করতে না পেরে বর্তমানে ব্যবসা প্রশাসন, ব্যবসায় শিক্ষার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। কমছে বিজ্ঞান শিক্ষার শিক্ষার্থী। ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে ব্যবসায় প্রশাসন বা ব্যবসায় শিক্ষায় অধ্যয়নরত আছেন মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ১১২ শিক্ষার্থী। প্রকৌশল ও কারিগরিতে ৯৪ হাজার ৪৮ জন শিক্ষার্থী থাকলেও কলা, বিজ্ঞান, সামাজিকবিজ্ঞান ও কৃষিতে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে এমন সংখ্যা খুবই কম। মূলত চাকরিমুখী পড়াশোনার প্রবণতার কারণে ব্যবসায় প্রশাসনে শিক্ষার্থী বাড়ছে বলে জানা যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, গত এক দশকে উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগ হয়েছে। কিন্তু কর্মসংস্থানে বিনিয়োগ হয়নি। সঙ্গে বাড়েনি উচ্চশিক্ষার গুণগত মানও। এই বিশাল শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের বিনিয়োগের বদলে বৃদ্ধি পেয়েছে বিদেশে টাকা পাচার। ফলে কর্মসংস্থানের অভাবে দিন দিন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে একাডেমিক পড়াশোনার চেয়ে চাকরিমুখী পড়াশোনার প্রবণতা বাড়ছে। শাহবাগের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে সরজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টার আগেই গ্রন্থাগারে প্রবেশে বিশাল সারি। এ সারিতে দাঁড়ানো বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই চাকরির পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত।
সর্বশেষ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), বিশ্বব্যাংক, উন্নয়ন গবেষণাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিতের প্রায় অর্ধেকই বেকার এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ইকোনমিস্ট-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ৪৭ শতাংশ স্নাতকই বেকার বলে জানানো হয়। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক দশকে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়লেও শিক্ষার গুণগত মান বাড়েনি। ফলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি উচ্চশিক্ষিত আছেন কেবল আফগানিস্তানে ৬৫ শতাংশ। এর বাইরে ভারতে এ হার ৩৩ শতাংশ, নেপালে ২০ শতাংশের বেশি, পাকিস্তানে ২৮ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
আইএলও ‘বিশ্ব কর্মসংস্থান ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি-২০১৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে বেকারত্ব বৃদ্ধির হার ৪.৩৩ শতাংশ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছর মোট বেকার দ্বিগুণ হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে সংস্থাটি। বেকারত্বের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৫ সালে মোট বেকারের সংখ্যা ৬ কোটিতে দাঁড়াবে। সংস্থাটির মতে, বেকারত্ব বাড়ছে এমন ২০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ১২তম। বেকারত্ব বৃদ্ধির হার ও মোট বেকারের সংখ্যার ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সঙ্গে যোগাযোগ করে সাম্প্রতিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী ২০১০ সালে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ। সংশ্লিষ্টদের মতে, এ সংখ্যা এখন ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। দেশে মাত্র ২৬ লাখ মানুষ বেকার।
এদিকে উচ্চশিক্ষা বা স্নাতক পাস ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সম্পর্কে ইউজিসির সর্বশেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন (২০১৩) বলা হয়, ২০১৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৭টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ লাখ ১২ হাজার ৯০৪ জন শিক্ষার্থী স্নাতক শেষ করেছেন। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন ৫৪ হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে এক বছরে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ স্নাতক ডিগ্রিধারী বের হচ্ছেন। আর ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন প্রথম শ্রেণীর চাকরিতে নিয়োগ দিয়েছে ১২ হাজারের কম। এক বছরে ব্যাংক, দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরি ও বেসরকারি চাকরিতে দেড় লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি। ফলে প্রায় অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থীকেই চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে এই সংখ্যা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান একরাম আহমেদ বলেন, শিক্ষিত তরুণ বেকার সংখ্যা নিয়ে যে ক’টি পরিসংখ্যান প্রকাশ হয়েছে সবক’টিতে উদ্বেগজনক চিত্র পাওয়া গেছে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে পরিণত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু এ কাজটি রাষ্ট্র যথাযথভাবে পালন করতে অনেকাংশে ব্যর্থ। পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বের কিছু প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থানের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। না হয় একটি মহাদুর্ভোগ দেখা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ড. একে আজাদ চৌধুরী বলেন, শিক্ষিত বেকার বাড়ার অন্যতম একটি কারণ বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী আমাদের প্রজন্মকে শিক্ষা দিতে না পারা। গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করতেও আমরা ব্যর্থ। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক গতি প্রকৃতির দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের পাঠ্যসূচি ও শিক্ষা দেয়া জরুরি।
অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারছে না। একাডেমিক পড়াশোনার সঙ্গে চাকরির বাজারের বিরাট অসামঞ্জস্যতা থাকায় তারা একাডেমিকের চেয়ে চাকরিমুখী পড়াশোনায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে শিক্ষিত বেকারত্ব হ্রাসে গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। গতানুগতিক শিক্ষায় চাকরি বাজারের প্রবেশ করতে না পেরে বর্তমানে ব্যবসা প্রশাসন, ব্যবসায় শিক্ষার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। কমছে বিজ্ঞান শিক্ষার শিক্ষার্থী। ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে ব্যবসায় প্রশাসন বা ব্যবসায় শিক্ষায় অধ্যয়নরত আছেন মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ১১২ শিক্ষার্থী। প্রকৌশল ও কারিগরিতে ৯৪ হাজার ৪৮ জন শিক্ষার্থী থাকলেও কলা, বিজ্ঞান, সামাজিকবিজ্ঞান ও কৃষিতে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে এমন সংখ্যা খুবই কম। মূলত চাকরিমুখী পড়াশোনার প্রবণতার কারণে ব্যবসায় প্রশাসনে শিক্ষার্থী বাড়ছে বলে জানা যায়।
No comments