পুরান ঢাকার সমস্যা জলাবদ্ধতা by আশীষ-উর-রহমান
সকালে
এক পসলা মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়ে গেছে। দুপুর পর্যন্ত সেই পানি নামেনি।
আগামসিহ লেন মাঝেমধ্যেই ডুবে আছে ঘোলা পানির তলায়। সেদিকে তাকিয়ে কাশেম
ইলেকট্রনিকসের মালিক আবুল কাশেম হতাশ হয়ে বলছিলেন, ‘মেয়র তো অনেক দেখলাম।
আমাগো এই মহল্লায় পানি ওঠা কেউ বন্ধ করতে পারল না।’
গতকাল বুধবার দুপুরে যখন তাঁর সঙ্গে কথা হচ্ছিল আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও তাঁদের এলাকার সমস্যা নিয়ে, তখন তাঁর দোকানের সামনের পথ জলমগ্ন। আবুল কাশেম জানালেন, নগর ভবনের প্রায় গা-ঘেঁষা এলাকা হলেও আগামসিহ লেন, কাজী আলাউদ্দিন রোড, আবুল হাসনাত রোড, নিমতলীর অধিকাংশ এলাকায় পানি নিষ্কাশনব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি বহুকাল ধরে। সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এই যে বর্ষা মৌসুম আসছে, এখন এলাকাবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। পুরান ঢাকার প্রধান সমস্যাই হলো বর্ষায় জলাবদ্ধতা।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের (দক্ষিণ) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড শুরু হয়েছে নগর ভবনের পশ্চিম পাশের নিমতলী, নবাব কাটরা, কায়েতটুলী, আগামসিহ লেন, আবুল হাসনাত রোড, কাজী আলাউদ্দিন রোড, বংশাল ও নাজিমুদ্দিন রোডের একাংশ নিয়ে। গতকাল দুপুরে এসব এলাকায় ঘুরে দেখা গেল বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও গলিগুলো ছিল জলমগ্ন। কাজী আলাউদ্দিন রোড, আগামসিহ লেন, নিমতলী মোড়ে স্তূপ হয়ে আছে গৃহস্থালি ময়লা-আবর্জনা। নবাব কাটরার রমজান আলী জানালেন, পানি নিয়ে তাঁদের দুই ধরনের সমস্যা। জলাবদ্ধতা আর পানীয় জলে দুর্গন্ধ। বিভিন্ন স্থানে সুয়ারেজের সঙ্গে ওয়াসার পানি সরবরাহের লাইন মিলে গেছে। ফলে পানিতে দুর্গন্ধ। সারা বছরই তাঁদের খাওয়ার পানি কিনতে হয়। নিমতলীর দোকান কর্মচারী মো. রিপন জানালেন, ২০১০ সালের ৩ জুন রাসায়নিকের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরও এলাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম অপসারিত হয়নি। ওই অগ্নিকাণ্ডে তাঁর মা, ভাই, বোন, খালা, মামিসহ মোট ছয়জন মারা যান। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পরপরই রাসায়নিকের গুদাম বন্ধ করে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। কিন্তু পরে গুদাম আর সরানো হয়নি। এখনো প্রার্থীরা প্রচারে নামেননি। প্রচারণা শুরু হলে এবার তাঁরা প্রার্থীদের কাছে আবার দাবিটি তুলবেন।
চানখাঁর পুল থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের একাংশ হয়ে পশ্চিমে হোসেনী দালান রোড, তাঁতখানা লেন, গিরদা উর্দু রোডের একাংশ, হরনাথ ঘোষ রোড, অরফানেস রোড, বকশীবাজার রোড, আমলাপাড়া (বুয়েট) এলাকা নিয়ে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড। দেখা গেল, নাজিমুদ্দিন রোডে নীরব হোটেলের সামনে, হোসেনী দালান রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারসংলগ্ন এলাকা, বকশীবাজার চৌরাস্তার মোড় জলমগ্ন হয়ে আছে। আবর্জনার স্তূপ নবাব বাগিচার মোড়ে।
কথা হলো হোসেনী দালান সমাজকল্যাণ সংস্থা ও পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানালেন, এই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো। প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। এর প্রধান কারণ, দফায় দফায় সড়কগুলোতে কার্পেটিং করায় সংযুক্ত গলি থেকে সড়কগুলো দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে গেছে। ফলে গলির ভেতরে পানি আটকে যাচ্ছে। উপরন্তু সড়কের দুই পাশের দোকানগুলো নর্দমা বন্ধ করে পাকা সিঁড়ি তৈরি করেছে। ফলে নর্দমার প্রবাহও বন্ধ। এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছে তাদের প্রধান দাবি থাকবে পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা উন্নত করা ও নিয়মিত আবর্জনা সরানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
গতকাল বুধবার দুপুরে যখন তাঁর সঙ্গে কথা হচ্ছিল আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও তাঁদের এলাকার সমস্যা নিয়ে, তখন তাঁর দোকানের সামনের পথ জলমগ্ন। আবুল কাশেম জানালেন, নগর ভবনের প্রায় গা-ঘেঁষা এলাকা হলেও আগামসিহ লেন, কাজী আলাউদ্দিন রোড, আবুল হাসনাত রোড, নিমতলীর অধিকাংশ এলাকায় পানি নিষ্কাশনব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি বহুকাল ধরে। সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এই যে বর্ষা মৌসুম আসছে, এখন এলাকাবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। পুরান ঢাকার প্রধান সমস্যাই হলো বর্ষায় জলাবদ্ধতা।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের (দক্ষিণ) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড শুরু হয়েছে নগর ভবনের পশ্চিম পাশের নিমতলী, নবাব কাটরা, কায়েতটুলী, আগামসিহ লেন, আবুল হাসনাত রোড, কাজী আলাউদ্দিন রোড, বংশাল ও নাজিমুদ্দিন রোডের একাংশ নিয়ে। গতকাল দুপুরে এসব এলাকায় ঘুরে দেখা গেল বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও গলিগুলো ছিল জলমগ্ন। কাজী আলাউদ্দিন রোড, আগামসিহ লেন, নিমতলী মোড়ে স্তূপ হয়ে আছে গৃহস্থালি ময়লা-আবর্জনা। নবাব কাটরার রমজান আলী জানালেন, পানি নিয়ে তাঁদের দুই ধরনের সমস্যা। জলাবদ্ধতা আর পানীয় জলে দুর্গন্ধ। বিভিন্ন স্থানে সুয়ারেজের সঙ্গে ওয়াসার পানি সরবরাহের লাইন মিলে গেছে। ফলে পানিতে দুর্গন্ধ। সারা বছরই তাঁদের খাওয়ার পানি কিনতে হয়। নিমতলীর দোকান কর্মচারী মো. রিপন জানালেন, ২০১০ সালের ৩ জুন রাসায়নিকের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরও এলাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম অপসারিত হয়নি। ওই অগ্নিকাণ্ডে তাঁর মা, ভাই, বোন, খালা, মামিসহ মোট ছয়জন মারা যান। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পরপরই রাসায়নিকের গুদাম বন্ধ করে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। কিন্তু পরে গুদাম আর সরানো হয়নি। এখনো প্রার্থীরা প্রচারে নামেননি। প্রচারণা শুরু হলে এবার তাঁরা প্রার্থীদের কাছে আবার দাবিটি তুলবেন।
চানখাঁর পুল থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের একাংশ হয়ে পশ্চিমে হোসেনী দালান রোড, তাঁতখানা লেন, গিরদা উর্দু রোডের একাংশ, হরনাথ ঘোষ রোড, অরফানেস রোড, বকশীবাজার রোড, আমলাপাড়া (বুয়েট) এলাকা নিয়ে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড। দেখা গেল, নাজিমুদ্দিন রোডে নীরব হোটেলের সামনে, হোসেনী দালান রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারসংলগ্ন এলাকা, বকশীবাজার চৌরাস্তার মোড় জলমগ্ন হয়ে আছে। আবর্জনার স্তূপ নবাব বাগিচার মোড়ে।
কথা হলো হোসেনী দালান সমাজকল্যাণ সংস্থা ও পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানালেন, এই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো। প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। এর প্রধান কারণ, দফায় দফায় সড়কগুলোতে কার্পেটিং করায় সংযুক্ত গলি থেকে সড়কগুলো দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে গেছে। ফলে গলির ভেতরে পানি আটকে যাচ্ছে। উপরন্তু সড়কের দুই পাশের দোকানগুলো নর্দমা বন্ধ করে পাকা সিঁড়ি তৈরি করেছে। ফলে নর্দমার প্রবাহও বন্ধ। এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছে তাদের প্রধান দাবি থাকবে পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা উন্নত করা ও নিয়মিত আবর্জনা সরানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
No comments