বস্ত্র খাতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ৩০ বাধা by শাহ আলম খান
তৈরি
পোশাক শিল্প ও সার্বিক বস্ত্র খাতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ৩০ প্রতিবন্ধকতা
শনাক্ত করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের ১২ সদস্যের
উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত কোর গ্র“প কমিটি এ শনাক্তের কাজটি
করেছে। এতে অবকাঠামোগত সমস্যাসহ নীতিসহায়তা, আইন ও বিধিবিধান সম্পর্কিত
নানাবিধ দুর্বলতা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি)
ভাইস চেয়ারম্যান শুভাসীস বোসের সভাপতিত্বে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত
এক পরামর্শ গ্রহণ সভায় এ কোর গ্র“প কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূত্রমতে, ওই সভায় দেশের রফতানিমুখী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন ক্ষেত্রগুরোতে বিদ্যমান বিধি-বিধান, নীতিগত ও অবকাঠামোগত বাধা চিহ্নিত এবং তা অপসারণ বিষয়ক সুনির্দিষ্ট মতামত দিয়ে এ কমিটিকে অর্থবহ একটি প্রতিবেদন তৈরির পরামর্শ দেয়া হয়। এ লক্ষ্যে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে ইপিবির মহাপরিচালক বেগম মাফরূহা সুলতানাকে আহ্বায়ক ও পরিচালক (পণ্য) মোহাম্মদ আবদুর রউফকে সদস্য-সচিব করা হয়। এতে ইপিবির প্রতিনিধি ছাড়াও কোর গ্র“প কমিটিতে সদস্য হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এনবিআর, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ব্যাংক, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিএসটিএমপিআইএ ও বিটিএলএমইএ-এর প্রতিনিধিরা। এরা সবাই যার যার অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নিজ নিজ ক্ষেত্রের প্রতিবন্ধকতাগুলো তুলে ধরেন। এরপর দীর্ঘ যাচাই-বাছাইয়ের পর কমিটি সর্বসম্মতভাবে এই ৩০ প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে।
জানা গেছে, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে বিদ্যমান এসব প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কোর গ্র“প কমিটি সম্প্রতি এ খাতের মুখ্য মন্ত্রণালয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ওই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন যুগান্তরকে জানান, কোর গ্র“প কমিটির প্রতিবেদন তাদের কাছে এসেছে। এ প্রতিবেদনে উল্লিখিত সমস্যাগুলোর বাস্তবতা ও গভীরতা পর্যালোচনা করতে ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি সভাও করেছে। এগুলোর আরও পর্যালোচনার প্রয়োজন হবে। এরপরই তারা পরবর্তী পদক্ষেপে যেতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম জানান, প্রতিনিয়ত আমরা এসব প্রতিবন্ধকতা মাথায় নিয়েই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করে যাচ্ছি। কিন্তু এতো সমস্যার বোঝা বহন করে রফতানি বাজারে আর কতকাল প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখা যাবে? তিনি বলেন, এ কমিটি অত্যন্ত দূরদর্শিতা দেখিয়েছে এবং রক্তক্ষরণ হওয়া সত্ত্বে¡ও উদ্যোক্তাদের না বলা কথাগুলো প্রতিবেদনে তুলে আনা হয়েছে।
শনাক্ত হওয়া ৩০ প্রতিবন্ধকতা : শুল্ক বন্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক শিল্পে অডিটের জন্য রফতানি কার্যাদি শেষে দলিলাদি দাখিলের নির্ধারিত সময়সীমা তিন মাস নির্ধারণ, যা বিদ্যমান ব্যবস্থাপনায় অপর্যাপ্ত। এসআরও নং ১৫৭-আইন/২০১২/২৩৮৫/কাস্টম-এর অধীনে আমদানিকৃত মূলধনী যন্ত্রপাতির বিপরীতে দাখিলকৃত অঙ্গীকারনামা তিন বছর অব্যাহতির পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে অবমুক্ত করার বিধান বিদ্যমান থাকা। কাস্টম অ্যাক্ট, ১৯৬৯-এর ধারা ৯১ মোতাবেক তৈরি পোশাক শিল্পের বন্ডে ওয়্যার হাউসের লাইসেন্স তদারকির জন্য ‘শুল্ক মূল্যায়ন ও নিরীক্ষা কমিশনারেট’কে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান। মূল রফতানি আদেশের বিপরীতে একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে কাঁচামাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে মূল রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের মতো কাঁচামাল সরবরাহকারী সব প্রচ্ছন্ন রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও উৎসে আয়কর কেটে রাখায় উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি। হোম টেক্সটাইল ও বস্ত্র রফতানিকারকদের আয়কর অধ্যাদেশের ৫৩ বিবি ধারা মোতাবেক কর্তিত আয়কর চূড়ান্ত দায় হিসেবে গণ্য না করা। বস্ত্র শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের ওপর প্রদত্ত মূসক প্রদান ও প্রত্যর্পণসংক্রান্ত জটিলতা। কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন ও রফতানি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পণ্য এবেং সেবার মূসক প্রদানের বিধান প্রবর্তন। শিল্প ঋণের ওপর আর্থিক সুদহার ও জটিল শর্তাদির কারণে গার্মেন্ট পল্লীতে স্থানান্তর অথবা শিল্পকে পুরোপুরি কমপ্লায়েন্ট করার ক্ষেত্রে বিএমআরইকরণ বাধাগ্রস্ত হওয়া। কমপ্লায়েন্ট করার বাধ্যবাধকতার কারণে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি। জেলা ও থানা পর্যায়ে উৎপাদন এলাকা বিকেন্দ্রীকরণের অভাব ও যেসব এলাকায় বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে সেখানে বন্ড এলাকা হিসেবে ঘোষিত না হওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকের এফই সার্কুলার নং-১৩ এর আদেশ রহিতকরণ। দেশীয় কাঁচামাল দ্বারা উৎপাদিত বস্ত্র সামগ্রী রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক এলসির বাধ্যবাধকতা- যা রফতানি মূল্য বৃদ্ধিরও একটি কারণ। ইন ল্যান্ড ব্যাক টু ব্যাক এলসির রফতানি কাঁচামালের অভ্যন্তরীণ সরবরাহের ক্ষেত্রে বন্ড রেজিস্ট্রারে ওই কাঁচামাল ইন বন্ড ও এক্স বন্ড হিসেবে এন্টির বাধ্যবাধকতার কারণে নগদ সহায়তা প্রাপ্তিতে বঞ্চিত হওয়া। কম লাভজনক পুঁজিঘন শিল্পের কাক্সিক্ষত সম্প্রসারণের অভাবে বস্ত্রসামগ্রীর খাতের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা হ্রাস। বিএসটিএমপিআইএ এর আর্থিক সীমাবদ্ধতা। টেক্সটাইল খাতে মেরিন পলিসিতে উচ্চ প্রিমিয়াম নির্ধারণ। অভ্যন্তরীণ বিল ক্রয় ও স্বীকৃতি প্রদানে বিলম্ব। রফতানি ঋণের ওপর অতিরিক্ত সুদ ধার্যকরণ। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিআরপিডি সার্কুলার:০১ বর্ণিত পিসি-এর নির্ধারিত ৭ শতাংশ সুদহারে ঋণ প্রদানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অনীহা। ফোর্সড লোনের ওপর অতিরিক্ত সুদ আদায়। প্রতিযোগী দেশগুলোর বিদ্যমান সুবিধাদির তুলনায় বাংলাদেশের হোম ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইলের প্রাপ্য সুবিধাদি কম হওয়া। যথাসময়ে ও যথাযথ মানের রফতানি সেবা প্রদানে সরকারি রফতানি সহায়ক প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা। পোশাক ও বস্ত্র খাতের অধিকাংশ কারখানার ইটিপি সুবিধাদির অভাব ও তার পরিপ্রেক্ষিতে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন। শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র না থাকা। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা কেন্দ্রের অভাব। বাণিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে সমুদ্র বন্দর ও বন্দর সংযোগ সুবিধা সম্প্রসারিত না হওয়া। বাংলাদেশী সুতার অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির জন্য বস্ত্র ও তৈরি পোশাক সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি। দেশে তুলার উৎপাদন কম হওয়া এবং তুলা উৎপাদনকারী দেশগুলো কর্তৃক তুলার পরিবর্তে সুতা ও কাপড় তৈরি এবং রফতানিতে আগ্রহী হয়ে উঠায় দেশে বস্ত্রসামগ্রীর কাঁচামালে ঘাটতির আশংকা। বাংলাদেশ প্রথম সারির রফতানিকারক হওয়া সত্ত্বেও এদেশী রফতানিকারকের নিজস্ব ব্র্যান্ডের পণ্য রফতানি বাজারগুলোতে বিপণন না হওয়ায় বঞ্চনার শিকার উচ্চ রফতানি মূল্য থেকে এবং সর্বশেষ পণ্যের মান ও মান সনদ প্রদান উপযোগী প্রতিষ্ঠানের অনুপস্থিতি এবং উপযুক্ত মানের সরঞ্জামাদির অভাব প্রভৃতি।
সূত্রমতে, ওই সভায় দেশের রফতানিমুখী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন ক্ষেত্রগুরোতে বিদ্যমান বিধি-বিধান, নীতিগত ও অবকাঠামোগত বাধা চিহ্নিত এবং তা অপসারণ বিষয়ক সুনির্দিষ্ট মতামত দিয়ে এ কমিটিকে অর্থবহ একটি প্রতিবেদন তৈরির পরামর্শ দেয়া হয়। এ লক্ষ্যে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে ইপিবির মহাপরিচালক বেগম মাফরূহা সুলতানাকে আহ্বায়ক ও পরিচালক (পণ্য) মোহাম্মদ আবদুর রউফকে সদস্য-সচিব করা হয়। এতে ইপিবির প্রতিনিধি ছাড়াও কোর গ্র“প কমিটিতে সদস্য হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এনবিআর, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ব্যাংক, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিএসটিএমপিআইএ ও বিটিএলএমইএ-এর প্রতিনিধিরা। এরা সবাই যার যার অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নিজ নিজ ক্ষেত্রের প্রতিবন্ধকতাগুলো তুলে ধরেন। এরপর দীর্ঘ যাচাই-বাছাইয়ের পর কমিটি সর্বসম্মতভাবে এই ৩০ প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে।
জানা গেছে, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে বিদ্যমান এসব প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কোর গ্র“প কমিটি সম্প্রতি এ খাতের মুখ্য মন্ত্রণালয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ওই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন যুগান্তরকে জানান, কোর গ্র“প কমিটির প্রতিবেদন তাদের কাছে এসেছে। এ প্রতিবেদনে উল্লিখিত সমস্যাগুলোর বাস্তবতা ও গভীরতা পর্যালোচনা করতে ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি সভাও করেছে। এগুলোর আরও পর্যালোচনার প্রয়োজন হবে। এরপরই তারা পরবর্তী পদক্ষেপে যেতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম জানান, প্রতিনিয়ত আমরা এসব প্রতিবন্ধকতা মাথায় নিয়েই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করে যাচ্ছি। কিন্তু এতো সমস্যার বোঝা বহন করে রফতানি বাজারে আর কতকাল প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখা যাবে? তিনি বলেন, এ কমিটি অত্যন্ত দূরদর্শিতা দেখিয়েছে এবং রক্তক্ষরণ হওয়া সত্ত্বে¡ও উদ্যোক্তাদের না বলা কথাগুলো প্রতিবেদনে তুলে আনা হয়েছে।
শনাক্ত হওয়া ৩০ প্রতিবন্ধকতা : শুল্ক বন্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক শিল্পে অডিটের জন্য রফতানি কার্যাদি শেষে দলিলাদি দাখিলের নির্ধারিত সময়সীমা তিন মাস নির্ধারণ, যা বিদ্যমান ব্যবস্থাপনায় অপর্যাপ্ত। এসআরও নং ১৫৭-আইন/২০১২/২৩৮৫/কাস্টম-এর অধীনে আমদানিকৃত মূলধনী যন্ত্রপাতির বিপরীতে দাখিলকৃত অঙ্গীকারনামা তিন বছর অব্যাহতির পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে অবমুক্ত করার বিধান বিদ্যমান থাকা। কাস্টম অ্যাক্ট, ১৯৬৯-এর ধারা ৯১ মোতাবেক তৈরি পোশাক শিল্পের বন্ডে ওয়্যার হাউসের লাইসেন্স তদারকির জন্য ‘শুল্ক মূল্যায়ন ও নিরীক্ষা কমিশনারেট’কে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান। মূল রফতানি আদেশের বিপরীতে একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে কাঁচামাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে মূল রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের মতো কাঁচামাল সরবরাহকারী সব প্রচ্ছন্ন রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও উৎসে আয়কর কেটে রাখায় উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি। হোম টেক্সটাইল ও বস্ত্র রফতানিকারকদের আয়কর অধ্যাদেশের ৫৩ বিবি ধারা মোতাবেক কর্তিত আয়কর চূড়ান্ত দায় হিসেবে গণ্য না করা। বস্ত্র শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের ওপর প্রদত্ত মূসক প্রদান ও প্রত্যর্পণসংক্রান্ত জটিলতা। কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন ও রফতানি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পণ্য এবেং সেবার মূসক প্রদানের বিধান প্রবর্তন। শিল্প ঋণের ওপর আর্থিক সুদহার ও জটিল শর্তাদির কারণে গার্মেন্ট পল্লীতে স্থানান্তর অথবা শিল্পকে পুরোপুরি কমপ্লায়েন্ট করার ক্ষেত্রে বিএমআরইকরণ বাধাগ্রস্ত হওয়া। কমপ্লায়েন্ট করার বাধ্যবাধকতার কারণে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি। জেলা ও থানা পর্যায়ে উৎপাদন এলাকা বিকেন্দ্রীকরণের অভাব ও যেসব এলাকায় বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে সেখানে বন্ড এলাকা হিসেবে ঘোষিত না হওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকের এফই সার্কুলার নং-১৩ এর আদেশ রহিতকরণ। দেশীয় কাঁচামাল দ্বারা উৎপাদিত বস্ত্র সামগ্রী রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক এলসির বাধ্যবাধকতা- যা রফতানি মূল্য বৃদ্ধিরও একটি কারণ। ইন ল্যান্ড ব্যাক টু ব্যাক এলসির রফতানি কাঁচামালের অভ্যন্তরীণ সরবরাহের ক্ষেত্রে বন্ড রেজিস্ট্রারে ওই কাঁচামাল ইন বন্ড ও এক্স বন্ড হিসেবে এন্টির বাধ্যবাধকতার কারণে নগদ সহায়তা প্রাপ্তিতে বঞ্চিত হওয়া। কম লাভজনক পুঁজিঘন শিল্পের কাক্সিক্ষত সম্প্রসারণের অভাবে বস্ত্রসামগ্রীর খাতের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা হ্রাস। বিএসটিএমপিআইএ এর আর্থিক সীমাবদ্ধতা। টেক্সটাইল খাতে মেরিন পলিসিতে উচ্চ প্রিমিয়াম নির্ধারণ। অভ্যন্তরীণ বিল ক্রয় ও স্বীকৃতি প্রদানে বিলম্ব। রফতানি ঋণের ওপর অতিরিক্ত সুদ ধার্যকরণ। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিআরপিডি সার্কুলার:০১ বর্ণিত পিসি-এর নির্ধারিত ৭ শতাংশ সুদহারে ঋণ প্রদানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অনীহা। ফোর্সড লোনের ওপর অতিরিক্ত সুদ আদায়। প্রতিযোগী দেশগুলোর বিদ্যমান সুবিধাদির তুলনায় বাংলাদেশের হোম ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইলের প্রাপ্য সুবিধাদি কম হওয়া। যথাসময়ে ও যথাযথ মানের রফতানি সেবা প্রদানে সরকারি রফতানি সহায়ক প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা। পোশাক ও বস্ত্র খাতের অধিকাংশ কারখানার ইটিপি সুবিধাদির অভাব ও তার পরিপ্রেক্ষিতে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন। শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র না থাকা। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা কেন্দ্রের অভাব। বাণিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে সমুদ্র বন্দর ও বন্দর সংযোগ সুবিধা সম্প্রসারিত না হওয়া। বাংলাদেশী সুতার অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির জন্য বস্ত্র ও তৈরি পোশাক সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি। দেশে তুলার উৎপাদন কম হওয়া এবং তুলা উৎপাদনকারী দেশগুলো কর্তৃক তুলার পরিবর্তে সুতা ও কাপড় তৈরি এবং রফতানিতে আগ্রহী হয়ে উঠায় দেশে বস্ত্রসামগ্রীর কাঁচামালে ঘাটতির আশংকা। বাংলাদেশ প্রথম সারির রফতানিকারক হওয়া সত্ত্বেও এদেশী রফতানিকারকের নিজস্ব ব্র্যান্ডের পণ্য রফতানি বাজারগুলোতে বিপণন না হওয়ায় বঞ্চনার শিকার উচ্চ রফতানি মূল্য থেকে এবং সর্বশেষ পণ্যের মান ও মান সনদ প্রদান উপযোগী প্রতিষ্ঠানের অনুপস্থিতি এবং উপযুক্ত মানের সরঞ্জামাদির অভাব প্রভৃতি।
No comments