ইয়েমেনে বিপদগ্রস্ত ২০০০ বাংলাদেশী by মিজানুর রহমান ও রোকনুজ্জামান পিয়াস
Saudi jets join America's secret war in Yemen |
যুদ্ধবিধ্বস্ত
ইয়েমেনে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় সময় পার করছেন বাংলাদেশীরা। সরকারি হিসাবে
সেখানে দুই হাজারের বেশি বাংলাদেশী অবস্থান করছেন। তাদের অনেকে নানা সূত্রে
উদ্ধারের আকুতি জানাচ্ছেন। দেরিতে হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের তরফেও
উদ্যোগ নেয়া হয়েছে আটকেপড়াদের দেশে ফিরিয়ে আনার। দেশটিতে বাংলাদেশে দূতাবাস
না থাকলেও পার্শ্ববর্তী দেশের রাষ্ট্রদূত ও সানায় দায়িত্বরত অনারারি কনসাল
কাজ করছেন। ইয়েমেনে অবস্থানরত কয়েকজন বাংলাদেশী টেলিফোন ও স্কাইপে
মানবজমিনকে জানিয়েছেন, তারা শঙ্কার মধ্যে পার করছে তাদের প্রতিটি মুহূর্ত।
বিরতিহীনভাবে চলছে গোলাগুলি। সেই শব্দে ঘুমাতেও পারছেন না। বের হতে পারছেন
না নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজেও। এক প্রকার বন্দিজীবন পার করছেন তারা। এ
পরিস্থিতিতে দেশটি থেকে ইতিমধ্যে ভারতীয়, ফিলিপিনো, চীনা, পাকিস্তানিসহ
বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ওই সব দেশের সরকার
স্ব-উদ্যোগে তাদের ফিরিয়ে এনেছে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় কোন কোন
শান্ত এলাকা থেকেও বিভিন্ন দেশ তাদের কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে। মুশকিলে
পড়েছেন বাংলাদেশীরা। দেশটিতে বাংলাদেশের কোন দূতাবাস বা কূটনৈতিক অফিস না
থাকায় কারও কাছে সাহায্যও চাইতে পারছেন না তারা। তাদের দাবি, যেভাবেই হোক
সরকার যেন তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে। কেবল গণমাধ্যম নয়, দেশটিতে
আটকা পড়া বাংলাদেশীরা ইয়েমেনের পার্শ্ববর্তী সৌদি, কুয়েত, ওমানসহ বিভিন্ন
দূতাবাসের ফোন ও ই-মেইল করে করে তাদের দ্রুত উদ্ধারে মিনতি করছেন।
রাষ্ট্রদূতরা এ নিয়ে সরকারের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়ে জরুরি নির্দেশনা
চেয়েছেন। সরকারের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাষ্ট্রদূতদের রিপোর্ট পাওয়ার পর
গতকালই এ নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা
দিয়েছেন। এতদিন দোটানায় থাকলেও গতকালের বৈঠকে বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশীদের
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে দ্রুত উদ্ধারের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দেয়া
হয়েছে। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ
মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ মতামত তুলে ধরেছেন বলে জানা গেছে। তবে
দেশটিতে বৈধ, অবৈধ মিলে কত বাংলাদেশী রয়েছেন সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে
পারেননি সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সে বিষয়টি
উঠেছিল জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। একেক
মিশন একেক রকম তথ্য দিচ্ছে। দেশটিতে বৈধ বাংলাদেশীর সংখ্যা হাতেগোনা উল্লেখ
করে সৌদি আরবে দায়িত্বপালকারী এক কূটনীতিক মানবজমিনকে বলেন, ইয়েমেন বর্ডার
দিয়ে বাংলাদেশীরা সৌদি আরবসহ আশপাশের দেশগুলোতে কর্মের সন্ধানে ঢুকে পরে।
এটা মূলত ট্রানজিট স্টেশন। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে প্রায় ৪০ লাখ বাংলাদেশী রয়েছে
জানিয়ে ওই কূটনীতিক বলেন, ট্রানজিট রুটে সব সময়ই কয়েক হাজার বাংলাদেশী
থাকে। এ হিসাবে ইয়েমেনেও কয়েক হাজার থাকতে পারে। এদিকে ইয়েমেন পরিস্থিতি
নিয়ে সৌদি, কুয়েত, ওমানসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ঢাকায় যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে
সেখানে ওই দেশে আটকা পড়া বাংলাদেশীদের সংখ্যা ১৫শ’ থেকে ২ হাজার বলে
উল্লেখ রয়েছে। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহর ইডেনে হাজার খানেক এবং বাকিরা
রাজধানী ও এর আশাপাশে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক সূত্র
বলছে, সংখ্যা যাই হোক তার সঠিক পরিসংখ্যান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চায় সরকার।
এজন্য রিয়াদ, কুয়েত, মাস্কাটস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আটকে পড়া বাংলাদেশীদের দ্রুত উদ্ধার জরুরি বলে মতৈক্য হয়েছে জানিয়ে এক
কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে সৌদি অভিযানে সমর্থন দিয়েছে। এটি ওই
দেশে থাকা বৈধ কিংবা অবৈধ বাংলাদেশীদের জন্য ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তাছাড়া পরিস্থিতি দিনে দিনে এতটাই খারাপের দিকে যাচ্ছে যে পরে উদ্ধার
প্রক্রিয়াও জাটিল হয়ে যাবে। আটকা পড়াদের উদ্ধারে সরকার আইওএম’র সহযোগিতা
নিতে চায় জানিয়ে অপর একটি সূত্র মানবজমিনকে জানায়, মিশরের আইওএম’র অফিসের
সঙ্গে লিয়াঁজোর জন্য দেশটির বাংলাদেশ দূতবাসকে এরই মধ্যে দায়িত্ব দেয়া
হয়েছে।
ইয়েমেনের এডেন সিটির মনসুরা এলাকায় থাকেন ধামরাইয়ের ফজলুল হক। তিনি সেখানে আল ইজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি বেভারেজ কারখানায় কেমিস্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমান দেশটির যুদ্ধাবস্থার কারণে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি জানান, তিনিসহ ওই কোম্পানিতে কাজ করেন দিনাজপুরের হামিদুল, খুলনার আবদুর রশিদ এবং কুমিল্লার ইমদাদুল হোসেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কোম্পানিটি।
ফজলুল হক জানান, তারা ছাড়াও ওই এলাকায় প্রায় ২ শতাধিক বাংলাদেশী থাকেন। প্রতি সপ্তাহেই দেখা হয় তাদের মধ্যে। কিন্তু দেশটির চলমান যুদ্ধের কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ হচ্ছে না। ফজলুল হক আরও জানান, তারা দক্ষিণ ইয়েমেনে থাকেন। সেখানে এখনও হামলা-পাল্টা হামলা শুরু হয়নি। তবে যে কোন সময় হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, উত্তর ইয়েমেনে চলছে বিমান হামলা। তার প্রচণ্ড শব্দ শোনা যাচ্ছে আর দেখা যাচ্ছে আগুনের গোলা। কোন বিরতি না দিয়েই রাতদিন একটানা এই গোলাগুলির শব্দে ঘুমাতেও পারছেন না। এডেন বিমানবন্দর এলাকায়ও ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। দু’পক্ষই এ বন্দরটি দখল নিতে মরিয়া হয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে বিমানবন্দরটি বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি অফিস-আদালতগুলো অধিকাংশই ওই এলাকায় অবস্থিত। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের কলকারখানা, সরকারি অফিস আদালত, দোকানপাট, মার্কেট, ব্যাংক-বীমাসহ সকল ধরনের কার্যক্রম। আতঙ্কে ঘরেই বন্দি দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। কলকারখানা বন্ধ থাকায় বাংলাদেশীদের অবস্থা আরও করুণ। চলতি মাসের বেতনও পাননি অনেকে। ব্যাংক বন্ধ রয়েছে- এই অজুহাতে কর্তৃপক্ষ বেতন দিচ্ছে না। কারও কারও আরও কয়েক মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে। কোম্পানি প্রতিশ্রুতি দিলেও আদৌ বকেয়া ওই বেতন পাবেন কিনা সে ব্যাপারে অনেকে সন্দিহান। এদিকে ঘর থেকে বের হতে না পারায় বেশ কয়েকদিন ধরে পরস্পরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ঘটছে না। ফজলুল বলেন, কে কোন অবস্থায় আছেন তাও জানি না। আতঙ্কে বাইরে বের হতে পারছি না। দোকানপাট ও অফিস আদালত বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের কাজ বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ থাকায় নিজের পাসপোর্টও তাদের কাছে নেই। কোম্পানির মালিকের কাছে সেগুলো জমা রয়েছে। পরিস্থিতির কারণে সেগুলো তারা হাতে পাচ্ছেন না। তবে ফজলুল হক বলেন, তার কোম্পানির ম্যানেজার তাকে বলেছেন, শহরের বাইরে তাদের বাড়ি। পরিস্থিতি খারাপ হলে তারা সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। কিন্তু ওই এলাকায় বসবাসরত অন্যদের অবস্থা খুবই খারাপ। তারা প্রায় সবাই দেশে ফিরতে চায়। ইতিমধ্যে সেখান থেকে ফিলিপাইন, পাকিস্তান, চীন তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। নিজেদের নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে ভারত। বিভিন্ন দেশের যেসব দূতাবাস রয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে তারা সেখান থেকে তাদের লোকবল সরিয়ে নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশী কর্মীরা। তারাও দেশে ফিরতে চান। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোন ধরনের বার্তা তাদের কাছে পৌঁছায়নি। কর্মরত বাংলাদেশীরা জানিয়েছেন, দেশটিতে বাংলাদেশের কোন দূতাবাস বা কূটনৈতিক মিশন না থাকায় তারা নিজেরাও সরকারের কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে তাদের। দিনের পর দিন ঘরেই বন্দিজীবন কাটছে তাদের।
ইয়েমেনের এডেন সিটির মনসুরা এলাকায় থাকেন ধামরাইয়ের ফজলুল হক। তিনি সেখানে আল ইজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি বেভারেজ কারখানায় কেমিস্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমান দেশটির যুদ্ধাবস্থার কারণে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি জানান, তিনিসহ ওই কোম্পানিতে কাজ করেন দিনাজপুরের হামিদুল, খুলনার আবদুর রশিদ এবং কুমিল্লার ইমদাদুল হোসেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কোম্পানিটি।
ফজলুল হক জানান, তারা ছাড়াও ওই এলাকায় প্রায় ২ শতাধিক বাংলাদেশী থাকেন। প্রতি সপ্তাহেই দেখা হয় তাদের মধ্যে। কিন্তু দেশটির চলমান যুদ্ধের কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ হচ্ছে না। ফজলুল হক আরও জানান, তারা দক্ষিণ ইয়েমেনে থাকেন। সেখানে এখনও হামলা-পাল্টা হামলা শুরু হয়নি। তবে যে কোন সময় হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, উত্তর ইয়েমেনে চলছে বিমান হামলা। তার প্রচণ্ড শব্দ শোনা যাচ্ছে আর দেখা যাচ্ছে আগুনের গোলা। কোন বিরতি না দিয়েই রাতদিন একটানা এই গোলাগুলির শব্দে ঘুমাতেও পারছেন না। এডেন বিমানবন্দর এলাকায়ও ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। দু’পক্ষই এ বন্দরটি দখল নিতে মরিয়া হয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে বিমানবন্দরটি বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি অফিস-আদালতগুলো অধিকাংশই ওই এলাকায় অবস্থিত। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের কলকারখানা, সরকারি অফিস আদালত, দোকানপাট, মার্কেট, ব্যাংক-বীমাসহ সকল ধরনের কার্যক্রম। আতঙ্কে ঘরেই বন্দি দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। কলকারখানা বন্ধ থাকায় বাংলাদেশীদের অবস্থা আরও করুণ। চলতি মাসের বেতনও পাননি অনেকে। ব্যাংক বন্ধ রয়েছে- এই অজুহাতে কর্তৃপক্ষ বেতন দিচ্ছে না। কারও কারও আরও কয়েক মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে। কোম্পানি প্রতিশ্রুতি দিলেও আদৌ বকেয়া ওই বেতন পাবেন কিনা সে ব্যাপারে অনেকে সন্দিহান। এদিকে ঘর থেকে বের হতে না পারায় বেশ কয়েকদিন ধরে পরস্পরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ঘটছে না। ফজলুল বলেন, কে কোন অবস্থায় আছেন তাও জানি না। আতঙ্কে বাইরে বের হতে পারছি না। দোকানপাট ও অফিস আদালত বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের কাজ বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ থাকায় নিজের পাসপোর্টও তাদের কাছে নেই। কোম্পানির মালিকের কাছে সেগুলো জমা রয়েছে। পরিস্থিতির কারণে সেগুলো তারা হাতে পাচ্ছেন না। তবে ফজলুল হক বলেন, তার কোম্পানির ম্যানেজার তাকে বলেছেন, শহরের বাইরে তাদের বাড়ি। পরিস্থিতি খারাপ হলে তারা সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। কিন্তু ওই এলাকায় বসবাসরত অন্যদের অবস্থা খুবই খারাপ। তারা প্রায় সবাই দেশে ফিরতে চায়। ইতিমধ্যে সেখান থেকে ফিলিপাইন, পাকিস্তান, চীন তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। নিজেদের নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে ভারত। বিভিন্ন দেশের যেসব দূতাবাস রয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে তারা সেখান থেকে তাদের লোকবল সরিয়ে নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশী কর্মীরা। তারাও দেশে ফিরতে চান। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোন ধরনের বার্তা তাদের কাছে পৌঁছায়নি। কর্মরত বাংলাদেশীরা জানিয়েছেন, দেশটিতে বাংলাদেশের কোন দূতাবাস বা কূটনৈতিক মিশন না থাকায় তারা নিজেরাও সরকারের কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে তাদের। দিনের পর দিন ঘরেই বন্দিজীবন কাটছে তাদের।
No comments