সজনে ডাঁটায় সচ্ছলতা by হরি কিশোর চাকমা
বাগান থেকে আনা সজনে ডাঁটা আঁটি করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে সরবরাহের জন্য। রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গায় এই ফসল ফলিয়ে ভাগ্য বদল করছেন চাষিরা l সুপ্রিয় চাকমা |
কাপ্তাই
উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের লোকজনের কাছে একসময় সজনেগাছের কদর ছিল না।
তবে এই গাছ এখন আদিবাসীদের পরিবারে সচ্ছলতা এনেছে। বছরে লাখ লাখ টাকার সজনে
ডাঁটার ফলন হয়। এখান থেকে সারা দেশেই সরবরাহ করা হচ্ছে সজনে ডাঁটা।
সংশ্লিষ্ট কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সজনে ডাঁটার ফলন হয় ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারির মাঝমাঝি থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি দুই মাস ভরা মৌসুম। এ সময় ওয়াগ্গা ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ টনের বেশি সজনে ডাঁটা ঢাকা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুরসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়। সজনে ডাঁটা বিক্রি হয় প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ১০০–৭০ টাকায়।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, উপজেলায় প্রায় ১১০ একর জায়গায় সজনেগাছের বাগান হয়। ওয়াগ্গা ইউনিয়নে ৫৫ একরে সজনেগাছের বাগান আছে। প্রতিটি সজনেগাছে গড়ে ২৫ কেজি করে ডাঁটার ফলন হয়।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঘাগড়া-বড়ইছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে বাগানিরা স্থানীয়ভাবে ‘এজেন্ট’ হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের কাছে সজনে ডাঁটা নিয়ে আসছেন। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ব্যবসায়ীরা পিকআপ ভ্যান এনে সেগুলো তুলে নিচ্ছেন এবং হিসাব করে নগদ টাকা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
ব্যবসায়ী মো. রাজ্জাক, ইউসুফ ও মো. ওয়াসিম শেখ জানান, তাঁদের প্রত্যেকের স্থানীয় ‘এজেন্ট’ আছে। ‘এজেন্টরা’ বাগানিদের সজনে ডাঁটা কিনে সড়কের পাশে রাখেন। তাঁরা গাড়ি এনে সেগুলো নিয়ে যান। পাঁচ-ছয় বছর ধরে তাঁরা এই মৌসুমি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
মুরালীপাড়ায় কাপ্তাই কর্ণফুলী ডিগ্রি কলেজের বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র উথোয়াই সিং মারমা জানান, তিনি চার বছর ধরে ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করছেন। ভরা মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে এক টন ডাঁটা ব্যবসায়ীকে দেন। প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা কমিশন পান। বছরে দুই লাখ টাকার বেশি আয় হয়। চার বছর ধরে ওই টাকায় পড়াশোনা করছেন। দক্ষিণ দেবতাছড়ি গ্রামের বিমল তঞ্চঙ্গ্যা (৩৮) জানান, তাঁর নিজের এক হাজারের বেশি সজনেগাছ রয়েছে। সেগুলোর ডাঁটা বিক্রি করে বছরে দেড় লাখ টাকার বেশি আয় হয়। এ ছাড়া একজন ব্যবসায়ীর ‘এজেন্ট’ হিসেবেও কাজ করেন।
সাপছড়ি এলাকার প্রমোদ তঞ্চঙ্গ্যা (৩০) বলেন, ‘আমি মাত্র কয়েক দিন আগে বাগানের সজনে ডাঁটা বিক্রি শুরু করেছি। আশা করি এ বছর তিন হাজার কেজি ডাঁটা বিক্রি করতে পারব।’
তালুকদারপাড়ার বাসিন্দা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য অজিত তালুকদারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওয়াগ্গা ইউনিয়নে প্রচুর সজনেগাছ জন্মে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা আসার আগে সজনেগাছের কদর ছিল না। সজনেগাছ শুকনা মাটিতে সহজে বেঁচে থাকে বলে বাড়ি বা বাগানের সীমানা এবং শাকসবজির খেতের বেড়ার খুঁটি হিসেবে ব্যবহার হয়। গাছ বড় হয়ে গেলে কেটে দিতে হতো। কিন্তু ছয়-সাত বছর আগে ব্যবসায়ীরা এসে সজনে ডাঁটা নিয়ে যাওয়া শুরু করার পর গাছের কদর বেড়ে যায়।
বাগানিরা জানান, যেকোনো বড় গাছের ডাল কেটে লাগানোর এক বছরের মধ্যে ডাঁটার ফলন হয়। গাছ বড় হলে ফলন বাড়ে। সজনেগাছ ৪০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। বাগানের আগাছা কেটে দেওয়া ছাড়া সজনে বাগানে খরচ হয় না।
সংশ্লিষ্ট কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সজনে ডাঁটার ফলন হয় ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারির মাঝমাঝি থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি দুই মাস ভরা মৌসুম। এ সময় ওয়াগ্গা ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ টনের বেশি সজনে ডাঁটা ঢাকা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুরসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়। সজনে ডাঁটা বিক্রি হয় প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ১০০–৭০ টাকায়।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, উপজেলায় প্রায় ১১০ একর জায়গায় সজনেগাছের বাগান হয়। ওয়াগ্গা ইউনিয়নে ৫৫ একরে সজনেগাছের বাগান আছে। প্রতিটি সজনেগাছে গড়ে ২৫ কেজি করে ডাঁটার ফলন হয়।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঘাগড়া-বড়ইছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে বাগানিরা স্থানীয়ভাবে ‘এজেন্ট’ হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের কাছে সজনে ডাঁটা নিয়ে আসছেন। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ব্যবসায়ীরা পিকআপ ভ্যান এনে সেগুলো তুলে নিচ্ছেন এবং হিসাব করে নগদ টাকা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
ব্যবসায়ী মো. রাজ্জাক, ইউসুফ ও মো. ওয়াসিম শেখ জানান, তাঁদের প্রত্যেকের স্থানীয় ‘এজেন্ট’ আছে। ‘এজেন্টরা’ বাগানিদের সজনে ডাঁটা কিনে সড়কের পাশে রাখেন। তাঁরা গাড়ি এনে সেগুলো নিয়ে যান। পাঁচ-ছয় বছর ধরে তাঁরা এই মৌসুমি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
মুরালীপাড়ায় কাপ্তাই কর্ণফুলী ডিগ্রি কলেজের বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র উথোয়াই সিং মারমা জানান, তিনি চার বছর ধরে ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করছেন। ভরা মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে এক টন ডাঁটা ব্যবসায়ীকে দেন। প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা কমিশন পান। বছরে দুই লাখ টাকার বেশি আয় হয়। চার বছর ধরে ওই টাকায় পড়াশোনা করছেন। দক্ষিণ দেবতাছড়ি গ্রামের বিমল তঞ্চঙ্গ্যা (৩৮) জানান, তাঁর নিজের এক হাজারের বেশি সজনেগাছ রয়েছে। সেগুলোর ডাঁটা বিক্রি করে বছরে দেড় লাখ টাকার বেশি আয় হয়। এ ছাড়া একজন ব্যবসায়ীর ‘এজেন্ট’ হিসেবেও কাজ করেন।
সাপছড়ি এলাকার প্রমোদ তঞ্চঙ্গ্যা (৩০) বলেন, ‘আমি মাত্র কয়েক দিন আগে বাগানের সজনে ডাঁটা বিক্রি শুরু করেছি। আশা করি এ বছর তিন হাজার কেজি ডাঁটা বিক্রি করতে পারব।’
তালুকদারপাড়ার বাসিন্দা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য অজিত তালুকদারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওয়াগ্গা ইউনিয়নে প্রচুর সজনেগাছ জন্মে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা আসার আগে সজনেগাছের কদর ছিল না। সজনেগাছ শুকনা মাটিতে সহজে বেঁচে থাকে বলে বাড়ি বা বাগানের সীমানা এবং শাকসবজির খেতের বেড়ার খুঁটি হিসেবে ব্যবহার হয়। গাছ বড় হয়ে গেলে কেটে দিতে হতো। কিন্তু ছয়-সাত বছর আগে ব্যবসায়ীরা এসে সজনে ডাঁটা নিয়ে যাওয়া শুরু করার পর গাছের কদর বেড়ে যায়।
বাগানিরা জানান, যেকোনো বড় গাছের ডাল কেটে লাগানোর এক বছরের মধ্যে ডাঁটার ফলন হয়। গাছ বড় হলে ফলন বাড়ে। সজনেগাছ ৪০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। বাগানের আগাছা কেটে দেওয়া ছাড়া সজনে বাগানে খরচ হয় না।
No comments