দক্ষিণে আব্বাস, উত্তরে কে-চিন্তায় বিএনপি
ঢাকা
উত্তর সিটি করপোরেশনে প্রার্থী নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে বিএনপি।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় সেখানে
উপযুক্ত প্রার্থী নিয়ে চিন্তিত দলটি। তবে তারা এখনো আশাবাদী, আপিল করে
মিন্টু শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হিসেবে বৈধতা পাবেন।
বিএনপির সূত্র জানায়, আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত উত্তরে প্রার্থীকে দলীয় সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে না। অন্যদিকে দক্ষিণে মির্জা আব্বাসকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। তবে সেখানে কোন্দল মাথা চাড়া দিতে পারে। এখন পর্যন্ত বিএনপির তিনজন কেন্দ্রীয় নেতা দক্ষিণের বৈধ প্রার্থী।
মিন্টুর সমর্থক আবদুর রাজ্জাক উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোটার না হওয়ায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এ ঘটনায় হতাশ ও বিব্রত বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এটাকে নির্বাচনের আগেই দলের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে নানা কথা হচ্ছে।
বিএনপির সূত্র জানায়, শুরু থেকেই ঢাকা উত্তরে বিএনপির একক প্রার্থী ছিলেন মিন্টু। যে কারণে অন্য কেউ ওই এলাকা থেকে মনোনয়নপত্র পর্যন্ত নেননি। তবে দলের শীর্ষ পর্যায়ের আশঙ্কা ছিল, মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিলও করা হতে পারে। সে জন্য খালেদা জিয়ার অনুমতিক্রমেই মনোনয়ন কিনেছিলেন মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়াল। বিএনপি যেভাবে আশঙ্কা করেছিল, সেভাবে না হলেও নিজের ভুলে মিন্টুর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তবে তাঁর ছেলের মনোনয়ন বৈধ। ওই এলাকায় বিএনপির অন্য কোনো নেতা মনোনয়ন নেননি। তবে বিএনপি জোটে না থাকলেও সমমনা দল হিসেবে পরিচিত বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী ঢাকা উত্তর থেকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে টিকে আছেন। তিনি বিএনপির সাবেক মহাসচিব বর্তমানে বিকল্পধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে। মাহি নিজেও বিএনপি-দলীয় সাংসদ ছিলেন। তাই এখন বিএনপির কেউ কেউ বিকল্প ধারার মাহিকে বিকল্প হিসেবে দেখছেন। তবে এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি।
বিএনপির সূত্র জানায়, আপিলে মিন্টুর প্রার্থিতা বৈধতা না পেলে তাঁর ছেলে বিএনপির সমর্থন পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন। এখন পর্যন্ত বিএনপির চেয়ারপারসন মিন্টু বা তাঁর ইচ্ছার বাইরে তেমন কিছু ভাবছেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা আশা করছেন মিন্টুর আবেদন বিবেচনা করা হবে। না হলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন মিন্টুর ছেলে তাবিথকে দলের সমর্থন দেওয়া উচিত।
কিন্তু যে বিষয়টি চিন্তার হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হলো, রাজনীতিতে তাবিথ আউয়ালের কোনো পরিচিতি বা অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। মিন্টুর ছেলে হলেও তাঁর বিকল্প কোনভাবেই তাবিথকে ভাবা যাচ্ছে না। তা ছাড়া উত্তর থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হক।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দীন সরকার বলেন, আপিলের মাধ্যমে মিন্টুর প্রার্থিতা বৈধতা পাবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণে যাঁদের মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে তাঁদের মধ্যে তিনজন আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। তাঁরা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, অর্থবিষয়ক সম্পাদক এম এ সালাম ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন। সূত্র জানায়, ঢাকা দক্ষিণ থেকে মির্জা আব্বাসকে বিএনপি সমর্থন দেবে—এমনটি প্রায় চূড়ান্ত। তবে এখানে কিছু কোন্দল আছে। মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা ও বর্তমান আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের পুরোনো দ্বন্দ্ব আবার আলোচনায় এসেছে। আব্বাস সমর্থকদের সন্দেহ এম এ সালামকে প্রার্থী করেছেন খোকা। কারণ সালামের মনোনয়ন-সংক্রান্ত সব কাজ যিনি করেছেন তিনি খোকার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ‘শত নাগরিক’-এর দু-একজন সালামের পক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসনকে বলেছেন।
বিএনপির সূত্র জানায়, আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত উত্তরে প্রার্থীকে দলীয় সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে না। অন্যদিকে দক্ষিণে মির্জা আব্বাসকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। তবে সেখানে কোন্দল মাথা চাড়া দিতে পারে। এখন পর্যন্ত বিএনপির তিনজন কেন্দ্রীয় নেতা দক্ষিণের বৈধ প্রার্থী।
মিন্টুর সমর্থক আবদুর রাজ্জাক উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোটার না হওয়ায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এ ঘটনায় হতাশ ও বিব্রত বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এটাকে নির্বাচনের আগেই দলের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে নানা কথা হচ্ছে।
বিএনপির সূত্র জানায়, শুরু থেকেই ঢাকা উত্তরে বিএনপির একক প্রার্থী ছিলেন মিন্টু। যে কারণে অন্য কেউ ওই এলাকা থেকে মনোনয়নপত্র পর্যন্ত নেননি। তবে দলের শীর্ষ পর্যায়ের আশঙ্কা ছিল, মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিলও করা হতে পারে। সে জন্য খালেদা জিয়ার অনুমতিক্রমেই মনোনয়ন কিনেছিলেন মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়াল। বিএনপি যেভাবে আশঙ্কা করেছিল, সেভাবে না হলেও নিজের ভুলে মিন্টুর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তবে তাঁর ছেলের মনোনয়ন বৈধ। ওই এলাকায় বিএনপির অন্য কোনো নেতা মনোনয়ন নেননি। তবে বিএনপি জোটে না থাকলেও সমমনা দল হিসেবে পরিচিত বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী ঢাকা উত্তর থেকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে টিকে আছেন। তিনি বিএনপির সাবেক মহাসচিব বর্তমানে বিকল্পধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে। মাহি নিজেও বিএনপি-দলীয় সাংসদ ছিলেন। তাই এখন বিএনপির কেউ কেউ বিকল্প ধারার মাহিকে বিকল্প হিসেবে দেখছেন। তবে এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি।
বিএনপির সূত্র জানায়, আপিলে মিন্টুর প্রার্থিতা বৈধতা না পেলে তাঁর ছেলে বিএনপির সমর্থন পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন। এখন পর্যন্ত বিএনপির চেয়ারপারসন মিন্টু বা তাঁর ইচ্ছার বাইরে তেমন কিছু ভাবছেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা আশা করছেন মিন্টুর আবেদন বিবেচনা করা হবে। না হলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন মিন্টুর ছেলে তাবিথকে দলের সমর্থন দেওয়া উচিত।
কিন্তু যে বিষয়টি চিন্তার হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হলো, রাজনীতিতে তাবিথ আউয়ালের কোনো পরিচিতি বা অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। মিন্টুর ছেলে হলেও তাঁর বিকল্প কোনভাবেই তাবিথকে ভাবা যাচ্ছে না। তা ছাড়া উত্তর থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হক।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দীন সরকার বলেন, আপিলের মাধ্যমে মিন্টুর প্রার্থিতা বৈধতা পাবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণে যাঁদের মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে তাঁদের মধ্যে তিনজন আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। তাঁরা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, অর্থবিষয়ক সম্পাদক এম এ সালাম ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন। সূত্র জানায়, ঢাকা দক্ষিণ থেকে মির্জা আব্বাসকে বিএনপি সমর্থন দেবে—এমনটি প্রায় চূড়ান্ত। তবে এখানে কিছু কোন্দল আছে। মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা ও বর্তমান আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের পুরোনো দ্বন্দ্ব আবার আলোচনায় এসেছে। আব্বাস সমর্থকদের সন্দেহ এম এ সালামকে প্রার্থী করেছেন খোকা। কারণ সালামের মনোনয়ন-সংক্রান্ত সব কাজ যিনি করেছেন তিনি খোকার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ‘শত নাগরিক’-এর দু-একজন সালামের পক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসনকে বলেছেন।
No comments