অস্ট্রেলিয়ার মধুর সমাপ্তি by কপিল দেব
বাঁধভাঙা উদ্যাপন বোধ হয় একেই বলে! জয়সূচক বাউন্ডারি মেরে মাত্রই দলকে কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন স্টিভ স্মিথ, জনসনরা তাই মাঠে ছুটলেন সতীর্থকে আলিঙ্গনে বাঁধতে। কাল মেলবোর্নে l প্রথম আলো |
চিত্রনাট্য
যেন আগেই লেখা ছিল। এমসিজির রাজকীয় পরিবেশে শুধু উন্মুক্ত হলো। অনেক
অর্জনে সমৃদ্ধ অস্ট্রেলিয়া শীর্ষস্থানটা নিশ্চিত করল দাপুটে পারফরম্যান্সে।
ভারতকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা ছিল অদম্য।
নিউজিল্যান্ডের শেষটা যেভাবে হলো, সেটি টুর্নামেন্টেরই এক
‘অ্যান্টি-ক্লাইম্যাক্স’।
কেউই অস্ট্রেলিয়াকে দমাতে পারেনি। সব সময়ই তাদের মাঝে চ্যাম্পিয়নের ছায়া ছিল। নিউজিল্যান্ড টুর্নামেন্টজুড়েই অসাধারণ খেললেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সব ভেস্তে গেল। দেখা গেল প্রত্যাশার তার উঁচুতে বেঁধে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া মানসিকভাবে থাকে সবচেয়ে শক্তিশালী।
নিউজিল্যান্ড যখন ১৮৩ রানে অলআউট হলো, আমার মনে ফিরে এসেছিল ১৯৮৩ সালের লর্ডস। আমাদের সামনেও ছিল অসাধারণ এক ব্যাটিং লাইনআপ। তবে তাদের সামলানোর মতো বোলার ছিল, কন্ডিশনটাও ছিল সহায়ক। নিউজিল্যান্ডের দ্রুত উইকেট লাগত। অ্যারন ফিঞ্চের উইকেট খানিকটা রোমাঞ্চ ছড়িয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সবই বিভ্রম।
তবে অস্ট্রেলিয়াকে হতাশ করে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল নিউজিল্যান্ডের। মুকুট পরার দাবিদার হওয়ার মতোই সুসজ্জিত দল ছিল তারা। তবে মিচেল স্টার্কের প্রথম ওভারটা ম্যাচজুড়েই প্রভাব ফেলেছে। ব্রেন্ডন ম্যাককালামও অযথা তাড়াহুড়ো করেছে বলে মনে হলো। ম্যাককালামের আক্রমণ ইনিংসে গতি সঞ্চার করে, এমনই হয়ে আসছিল। তবে তার আরেকটু বেশি সময় ক্রিজে থাকতে হতো। স্টার্কের মতো ভালো বোলারদের বিপক্ষে একটু সতর্ক থাকা খারাপ না।
ম্যাককালাম আর গাপটিলের ওপর নির্ভরশীল ছিল নিউজিল্যান্ড। তাদের ব্যর্থতাও তাই দলের হতাশা বাড়িয়েছে। টেলর ও এলিয়ট ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল, তবে অস্ট্রেলিয়া ছাড় দেয়নি। ফকনারের তীক্ষ্ণ একটি স্পেল কিউইদের আশা ভেস্তে দিয়ে ফাইনালের মোড় অস্ট্রেলিয়ার দিকে ঘুরে দিয়েছে। এদিন নিউজিল্যান্ডের পক্ষে কিছুই কাজ করেনি। তাদের কখনোই এগিয়ে থাকা দল মনে হয়নি। এ জন্য মাঠের আকারই অনেকাংশে দায়ী।
অস্ট্রেলিয়ানরা স্টাম্পের ওপর বল করে চাপ সৃষ্টি করেছে। স্টার্ক বিশ্বকাপে আমার দেখা একমাত্র বোলার, যে লাইন ও লেংথে ভুল করেনি। ভালো বোলারের এটিই লক্ষণ, একটি নির্দিষ্ট লাইন ও লেংথে বল করে ব্যাটসম্যানকে অস্বস্তিতে ফেলা। ফুল লেংথে দ্রুতগতির বলে ‘মুভমেন্ট’ থাকলে সামলানো কঠিন।
নিউজিল্যান্ডের জন্য এ পরাজয় হতাশাজনক। তবে ব্যক্তিগত চমক ধারাবাহিক সাফল্য এনে দিতে পারে না। অস্ট্রেলিয়া তাই আগেই শক্তিমত্তা অনুযায়ী দায়িত্ব ভাগ করেছে। ক্লার্ককে অসাধারণ অধিনায়কত্বের জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে। ম্যাককালামও অসাধারণ, তবে বিদায়ী ম্যাচে চাপ প্রয়োগে ক্লার্কই ছিল এগিয়ে। সে এক ইঞ্চিও ছাড় দেয়নি, নিউজিল্যান্ড চাপটা ভালোই অনুভব করেছে।
অস্ট্রেলিয়া জিতেছে, তবে নিউজিল্যান্ডকে জানাই সমবেদনা। রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাদের, যদিও ফাইনালে ওঠা কম কৃতিত্বের নয়। বিশ্বকাপের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল অস্ট্রেলিয়াকে আমার টুপিখোলা অভিনন্দন। আয়োজক হিসেবেও মধুর সমাপ্তি হলো অস্ট্রেলিয়ার। (পিচ সলিউশন)
কেউই অস্ট্রেলিয়াকে দমাতে পারেনি। সব সময়ই তাদের মাঝে চ্যাম্পিয়নের ছায়া ছিল। নিউজিল্যান্ড টুর্নামেন্টজুড়েই অসাধারণ খেললেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সব ভেস্তে গেল। দেখা গেল প্রত্যাশার তার উঁচুতে বেঁধে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া মানসিকভাবে থাকে সবচেয়ে শক্তিশালী।
নিউজিল্যান্ড যখন ১৮৩ রানে অলআউট হলো, আমার মনে ফিরে এসেছিল ১৯৮৩ সালের লর্ডস। আমাদের সামনেও ছিল অসাধারণ এক ব্যাটিং লাইনআপ। তবে তাদের সামলানোর মতো বোলার ছিল, কন্ডিশনটাও ছিল সহায়ক। নিউজিল্যান্ডের দ্রুত উইকেট লাগত। অ্যারন ফিঞ্চের উইকেট খানিকটা রোমাঞ্চ ছড়িয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সবই বিভ্রম।
তবে অস্ট্রেলিয়াকে হতাশ করে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল নিউজিল্যান্ডের। মুকুট পরার দাবিদার হওয়ার মতোই সুসজ্জিত দল ছিল তারা। তবে মিচেল স্টার্কের প্রথম ওভারটা ম্যাচজুড়েই প্রভাব ফেলেছে। ব্রেন্ডন ম্যাককালামও অযথা তাড়াহুড়ো করেছে বলে মনে হলো। ম্যাককালামের আক্রমণ ইনিংসে গতি সঞ্চার করে, এমনই হয়ে আসছিল। তবে তার আরেকটু বেশি সময় ক্রিজে থাকতে হতো। স্টার্কের মতো ভালো বোলারদের বিপক্ষে একটু সতর্ক থাকা খারাপ না।
ম্যাককালাম আর গাপটিলের ওপর নির্ভরশীল ছিল নিউজিল্যান্ড। তাদের ব্যর্থতাও তাই দলের হতাশা বাড়িয়েছে। টেলর ও এলিয়ট ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল, তবে অস্ট্রেলিয়া ছাড় দেয়নি। ফকনারের তীক্ষ্ণ একটি স্পেল কিউইদের আশা ভেস্তে দিয়ে ফাইনালের মোড় অস্ট্রেলিয়ার দিকে ঘুরে দিয়েছে। এদিন নিউজিল্যান্ডের পক্ষে কিছুই কাজ করেনি। তাদের কখনোই এগিয়ে থাকা দল মনে হয়নি। এ জন্য মাঠের আকারই অনেকাংশে দায়ী।
অস্ট্রেলিয়ানরা স্টাম্পের ওপর বল করে চাপ সৃষ্টি করেছে। স্টার্ক বিশ্বকাপে আমার দেখা একমাত্র বোলার, যে লাইন ও লেংথে ভুল করেনি। ভালো বোলারের এটিই লক্ষণ, একটি নির্দিষ্ট লাইন ও লেংথে বল করে ব্যাটসম্যানকে অস্বস্তিতে ফেলা। ফুল লেংথে দ্রুতগতির বলে ‘মুভমেন্ট’ থাকলে সামলানো কঠিন।
নিউজিল্যান্ডের জন্য এ পরাজয় হতাশাজনক। তবে ব্যক্তিগত চমক ধারাবাহিক সাফল্য এনে দিতে পারে না। অস্ট্রেলিয়া তাই আগেই শক্তিমত্তা অনুযায়ী দায়িত্ব ভাগ করেছে। ক্লার্ককে অসাধারণ অধিনায়কত্বের জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে। ম্যাককালামও অসাধারণ, তবে বিদায়ী ম্যাচে চাপ প্রয়োগে ক্লার্কই ছিল এগিয়ে। সে এক ইঞ্চিও ছাড় দেয়নি, নিউজিল্যান্ড চাপটা ভালোই অনুভব করেছে।
অস্ট্রেলিয়া জিতেছে, তবে নিউজিল্যান্ডকে জানাই সমবেদনা। রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাদের, যদিও ফাইনালে ওঠা কম কৃতিত্বের নয়। বিশ্বকাপের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল অস্ট্রেলিয়াকে আমার টুপিখোলা অভিনন্দন। আয়োজক হিসেবেও মধুর সমাপ্তি হলো অস্ট্রেলিয়ার। (পিচ সলিউশন)
No comments