যমজ ভাই নিয়ে ধন্দে, ঘোড়ার গাড়ি এনে জরিমানা
চেহারা,
উচ্চতা, শারীরিক গঠন—দুজনেরই প্রায় এক। ওমর আলী ও নুরুল ইসলাম নামের এ
দুজনই আবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে
মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা একই ব্যক্তি না দুজন, তা নিয়ে নির্বাচনী
কর্মকর্তারাও ধন্দে পড়েন। আগারগাঁওয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গতকাল রোববার ওমর আলী ও নুরুল
ইসলাম কাছাকাছি সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ফলে কর্মকর্তাদের এমন সন্দেহ হয়।
পরে অবশ্য জানা গেল, তাঁরা যমজ ভাই। ‘কৌশল’ হিসেবে দুজনেই মনোনয়নপত্র
জমা দিয়েছেন। নুরুল ইসলাম বেলা ১১টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন।
প্রয়োজনীয় কাগজ ঠিক না থাকায় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা তাঁকে তা ঠিক
করে আনতে বলেন। তিনি কাগজ আনতে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আসেন ওমর আলী। তখন
কর্মকর্তারা বলেন, তাঁকে তো কাগজ ঠিক করে আনতে বলা হয়েছে। বিষয়টি বুঝতে
পেরে ওমর আলী বলেন, ‘সমস্যা আমার না, আমার ভাইয়ের।’
খিলক্ষেত, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, কুড়িল নিয়ে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। ভোটার প্রায় দেড় লাখ। ওমর আলী ও নুরুল ইসলামের সঙ্গে আসা লোকজন জানান, ওমর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা। দল তাঁকে সমর্থন দিলে নুরুল সরে দাঁড়াবেন। তবে ওমর আলীকে দল সরে দাঁড়াতে নির্দেশ দিলে নুরুল প্রার্থী থেকে যাবেন। এ জন্যই যমজ দুই ভাই প্রার্থী হয়েছেন। দুজনের প্রার্থী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওমর আলী বলেন, ‘এটাই তো রাজনীতির রহস্য।’
নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে ফোনে বলেন, ‘পরে কাগজ ঠিক করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে খুবই মিল। প্রার্থী হয়েছি কৌশলের অংশ হিসেবে।’
ঘোড়ার গাড়িতে এসে জরিমানা: নিজেকে ‘জনতার প্রার্থী’ দাবি করে ব্যানার টাঙিয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এলেন ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে। মনোনয়নপত্র জমাও দিলেন। পরে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
দুপুরের দিকে আগারগাঁওয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এই জরিমানা গোনেন মোহাম্মদ নাইম হাসান। ঘোড়ার গাড়িটির চারপাশে পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলার এবং নানা স্লোগানসংবলিত ব্যানারে সাজানো ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘোড়ার গাড়িটি দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখেন।
অবশ্য জরিমানা দিলেও মন খারাপ করেননি নাইম হাসান। নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দেওয়া নাইম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জরিমানা দিয়েছি এতে কষ্ট নেই, নগরের মানুষকে কিছুটা চমক তো দিতে পেরেছি!’
সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালায় মহড়া, মিছিল, যানবাহন কিংবা মশাল মিছিল নিয়ে এবং পাঁচজন সমর্থকের বেশি লোক নিয়ে মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে মহড়া হিসেবে বিবেচনা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
খিলক্ষেত, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, কুড়িল নিয়ে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। ভোটার প্রায় দেড় লাখ। ওমর আলী ও নুরুল ইসলামের সঙ্গে আসা লোকজন জানান, ওমর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা। দল তাঁকে সমর্থন দিলে নুরুল সরে দাঁড়াবেন। তবে ওমর আলীকে দল সরে দাঁড়াতে নির্দেশ দিলে নুরুল প্রার্থী থেকে যাবেন। এ জন্যই যমজ দুই ভাই প্রার্থী হয়েছেন। দুজনের প্রার্থী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওমর আলী বলেন, ‘এটাই তো রাজনীতির রহস্য।’
নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে ফোনে বলেন, ‘পরে কাগজ ঠিক করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে খুবই মিল। প্রার্থী হয়েছি কৌশলের অংশ হিসেবে।’
ঘোড়ার গাড়িতে এসে জরিমানা: নিজেকে ‘জনতার প্রার্থী’ দাবি করে ব্যানার টাঙিয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এলেন ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে। মনোনয়নপত্র জমাও দিলেন। পরে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
দুপুরের দিকে আগারগাঁওয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এই জরিমানা গোনেন মোহাম্মদ নাইম হাসান। ঘোড়ার গাড়িটির চারপাশে পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলার এবং নানা স্লোগানসংবলিত ব্যানারে সাজানো ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘোড়ার গাড়িটি দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখেন।
অবশ্য জরিমানা দিলেও মন খারাপ করেননি নাইম হাসান। নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দেওয়া নাইম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জরিমানা দিয়েছি এতে কষ্ট নেই, নগরের মানুষকে কিছুটা চমক তো দিতে পেরেছি!’
সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালায় মহড়া, মিছিল, যানবাহন কিংবা মশাল মিছিল নিয়ে এবং পাঁচজন সমর্থকের বেশি লোক নিয়ে মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে মহড়া হিসেবে বিবেচনা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
No comments