অবশেষে মুখ খুললেন সালমানের গাড়িচালক
গাড়িচাপা
দিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে বছরের পর বছর ধরে মামলা ঝুলছে সালমান খানের
ওপর। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০২ সালে মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি
চালাতে গিয়ে গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছেন তিনি। অবশ্য বরাবরই সালমান
দাবি করেছেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। বছরের পর বছর ধরে
চুপ থাকার পর অবশেষে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন সালমানের গাড়িচালক অশোক।
তিনি সালমানের সুরেই সুর মিলিয়েছেন। অশোকের দাবি, দুর্ঘটনার সময় তিনিই
ছিলেন গাড়ির চালকের আসনে। দীর্ঘ ১৩ বছরের পুরোনো মামলায় আজ সোমবার
প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির হন সালমানের গাড়িচালক অশোক। তিনি বলেন, ‘সেদিন
আমিই গাড়ি চালাচ্ছিলাম। টায়ার ফেটে যাওয়ায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি
আমি।’ এতদিন কেন বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি জানতে চাইলে অশোক বলেন, ‘প্রথম দিন
পুলিশ আমার কথা শোনেনি। পরবর্তী সময়ে আমি বুঝতে পারিনি, আমার করণীয় কী।’
এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে এনডিটিভি ডটকম। ২০০২ সালে মুম্বাইয়ে গাড়িচাপা
দিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে মামলা হয় সালমানের বিরুদ্ধে। ওই দুর্ঘটনায় একজন
নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছিলেন ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা আরও চার ব্যক্তি।
দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত দুই সাক্ষীর দাবি, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন
সালমান। দুর্ঘটনার পরপরই গাড়ির চালকের আসন থেকে নেমে আসেন তিনি। অবস্থা
বেগতিক দেখে তিনি ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান।
সালমানের বিরুদ্ধে গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যা মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ২৬ মার্চ। সেদিন সশরীরে আদালতে হাজির হন খান সাহেব। তিনি দাবি করেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন না। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর গাড়িচালক অশোক। মদ্যপ ছিলেন না বলেও দাবি করেন সালমান।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভোররাতে দুর্ঘটনার পরপর সালমানকে গাড়ির চালকের আসন থেকে নামতে দেখেন একাধিক সাক্ষী। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সালমান দাবি করেন, তাঁর গাড়ির বাম পাশের দরজার লক আটকে গিয়েছিল। এ জন্য বাম পাশের দরজা খুলতে পারেননি তিনি। দুর্ঘটনার পরপরই দুর্ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাননি বলেও দাবি করেছেন সালমান। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘আমি গাড়ির চালককে দুর্ঘটনার কথা পুলিশকে জানাতে বলেছিলাম। আমি ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় দুর্ঘটনাস্থলে ছিলাম।’
দুর্ঘটনার আগে ভাই সোহেল খানের সঙ্গে পানশালায় ছিলেন বলে স্বীকার করলেও, মদ পান করেননি বলেই দাবি করেছেন সালমান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল পানি খেয়েছিলাম।’ মুন্নু নামের একজন সাক্ষী জানিয়েছেন, সেদিন তিনি সালমানকে মদ্যপ অবস্থায় দেখতে পান। সালমান এতটাই মাতাল ছিলেন যে, ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান। এরপর উঠে দাঁড়ালেও, আবার পড়ে যান তিনি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে জবাবে সালমান বিষয়টিকে মিথ্যা বলে দাবি করেন।
সালমানের বিরুদ্ধে গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যা মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ২৬ মার্চ। সেদিন সশরীরে আদালতে হাজির হন খান সাহেব। তিনি দাবি করেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন না। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর গাড়িচালক অশোক। মদ্যপ ছিলেন না বলেও দাবি করেন সালমান।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভোররাতে দুর্ঘটনার পরপর সালমানকে গাড়ির চালকের আসন থেকে নামতে দেখেন একাধিক সাক্ষী। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সালমান দাবি করেন, তাঁর গাড়ির বাম পাশের দরজার লক আটকে গিয়েছিল। এ জন্য বাম পাশের দরজা খুলতে পারেননি তিনি। দুর্ঘটনার পরপরই দুর্ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাননি বলেও দাবি করেছেন সালমান। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘আমি গাড়ির চালককে দুর্ঘটনার কথা পুলিশকে জানাতে বলেছিলাম। আমি ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় দুর্ঘটনাস্থলে ছিলাম।’
দুর্ঘটনার আগে ভাই সোহেল খানের সঙ্গে পানশালায় ছিলেন বলে স্বীকার করলেও, মদ পান করেননি বলেই দাবি করেছেন সালমান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল পানি খেয়েছিলাম।’ মুন্নু নামের একজন সাক্ষী জানিয়েছেন, সেদিন তিনি সালমানকে মদ্যপ অবস্থায় দেখতে পান। সালমান এতটাই মাতাল ছিলেন যে, ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান। এরপর উঠে দাঁড়ালেও, আবার পড়ে যান তিনি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে জবাবে সালমান বিষয়টিকে মিথ্যা বলে দাবি করেন।
No comments