মিনিটে মিনিটে রং বদলালো গুলশানে by কমল জোহা খান
গুলশানের
৮৬ নম্বর সড়কের জন্য আজ শনিবার ছিল অন্যরকম দিন। সেখানে আজ মিনিটে মিনিটে
দৃশ্যবদল হয়েছে। টেলিভিশনের কল্যানে গোটা জাতি দেখেছে দৃশ্য থেকে
দৃশ্যান্তর। আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুকে ঘিরে খালেদা জিয়ার কার্যালয়
বিকেল তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত কখনো ছিল থমথমে, কখনো সরবগরম, কখনো
শোকে মুহ্যমান, কখনো নিরাপত্তার বেড়াজালে ঘেরা, আর সবশেষে ছিল হতাশা। সকাল
বেলা ছিল না নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি। গোয়েন্দাদের সন্দিগ্ধ চোখে আটকে
যাওয়ার ভয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আসা-যাওয়া ছিল না বললেই চলে। রোদ
ছড়ানো হাল্কা হিমেল হাওয়া বইছিল চারপাশে। বেলা তিনটার দিকে খালেদা-তনয়ের
মৃত্যুর খবর ছড়ালে ওলটপালট হয়ে যায় চারপাশ। আধঘন্টার মধ্যে চলে আসেন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান ও উপদেষ্টা
সাবিহউদ্দিন আহমেদ। এরপর এক ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও নেতা-কর্মীদের তেমন
দেখা যাচ্ছিল না। সাড়ে চারটার দিকে ধীরে ধীরে সরগরম হতে থাকে বিএনপির এই
কার্যালয়, যেখানে টানা ২১ দিন রয়েছেন খালেদা জিয়া। এরপর আস্তে আস্তে
শোকাতুর নেত্রীকে সমবেদনা জানাতে আসা নেতাকর্মী, স্বজনের পদভারে সরগরম হতে
থাকে দোতলা ভবনের এদিক-ওদিক। বিএনপি নেত্রীর অবরোধ-আন্দোলনে যাঁরা একটি
বারও উঁকি-ঝুঁকি দেননি তাঁরাও পালা করে চলে আসেন এখানে।
এভাবে চলে আসেন বিএনপির কারাবন্দী নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে, বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ চৌধুরী, এলডিপি নেতা অলি আহমদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ ইব্রাহিম। এছাড়া আসেন মওদুদ আহমেদ, অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, খন্দাকার মাহবুবুর রহমানসহ আরও অনেকে। গুলশান তখন যেন অবরোধ-মুক্ত এক সরগরম এলাকা।
সূর্য ডোবার কিছু আগে লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান চলে যাওয়ার সময় বলেন, খালেদা জিয়ার ঘর বন্ধ। করো সঙ্গে কথা বলছেন না। তবে গণমাধ্যমের সবাই জানতে চাইছেন, কোকোর মরদেহ দেশে আসবে কবে? কিন্তু স্পষ্ট উত্তর কিছুতেই মিলছিল না তাঁদের। কারণ কার্যালয় ভবনের ভেতরে সাংবাদিকদের যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একসময় বিএনপি কার্যালয়ের তথ্য কর্মকর্তা শামসুদ্দীন দিদার জানান, রোববার মালয়েশিয়ার নাগারা মসজিদের কোকোর প্রথম জানাজা হবে। এর পর সিদ্ধান্ত তাঁর লাশ কবে দেশে আনা হবে।
তবে অলি আহমদ বেরিয়ে যাওয়ার সময় জানান, খালেদা জিয়া অসুস্থ। আর তখন থেকেই সব কিছু হতে থাকে উষ্ণ।
সন্ধ্যার পর স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও মঈন খান সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া কথা বলছেন না। ইশারায় ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন। তবে আন্দোলন চলবে বলে খালেদা জানিয়েছেন। বড় ছেলে তারেক রহমান লন্ডন থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন বার্তায় শীতল-শোকাতুর গুলশানে গ্রীষ্মের দাবদাহ বইতে শুরু করে। বাতাসে ফিসফাস বাড়তে থাকে।
এসএসএফ, পিজিআর সদস্যরা দল বেঁধে চলে আসায় আলোর ঔজ্জ্বল্য বেড়ে যায়।
তখনও কার্যালয়ের ভেতর গেটের সামনে রাখা খালেদা জিয়ার সাদা জিপ সরানো হাচ্ছিল না।
সাড়ে ৮টায় খালোদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস জানান, খালেদা জিয়া অসুস্থ, ইনজেকশন দিয়ে তাঁকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরে দেখা হবে।
দুই মিনিট যেতে না যেতেই গাড়িবহর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলে আসেন বিএনপি নেত্রীর কার্যালয়ের সামনে। কিন্তু ফটক খুলল না। মিনিট কয়েক পর প্রধানমন্ত্রী চলে গেলেন। আধঘণ্টা গেট বন্ধ। দুয়ার খুলল। ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আরএ গণির সঙ্গে ঘামভেজা মুখে মুওদুদ আহমদ চলে গেলেন। প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টার করা হলো। কিন্তু মওদুদ আহমদ রইলেন নীরব। নীরবেই চলে গেলেন।
এভাবে চলে আসেন বিএনপির কারাবন্দী নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে, বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ চৌধুরী, এলডিপি নেতা অলি আহমদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ ইব্রাহিম। এছাড়া আসেন মওদুদ আহমেদ, অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, খন্দাকার মাহবুবুর রহমানসহ আরও অনেকে। গুলশান তখন যেন অবরোধ-মুক্ত এক সরগরম এলাকা।
সূর্য ডোবার কিছু আগে লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান চলে যাওয়ার সময় বলেন, খালেদা জিয়ার ঘর বন্ধ। করো সঙ্গে কথা বলছেন না। তবে গণমাধ্যমের সবাই জানতে চাইছেন, কোকোর মরদেহ দেশে আসবে কবে? কিন্তু স্পষ্ট উত্তর কিছুতেই মিলছিল না তাঁদের। কারণ কার্যালয় ভবনের ভেতরে সাংবাদিকদের যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একসময় বিএনপি কার্যালয়ের তথ্য কর্মকর্তা শামসুদ্দীন দিদার জানান, রোববার মালয়েশিয়ার নাগারা মসজিদের কোকোর প্রথম জানাজা হবে। এর পর সিদ্ধান্ত তাঁর লাশ কবে দেশে আনা হবে।
তবে অলি আহমদ বেরিয়ে যাওয়ার সময় জানান, খালেদা জিয়া অসুস্থ। আর তখন থেকেই সব কিছু হতে থাকে উষ্ণ।
সন্ধ্যার পর স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও মঈন খান সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া কথা বলছেন না। ইশারায় ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন। তবে আন্দোলন চলবে বলে খালেদা জানিয়েছেন। বড় ছেলে তারেক রহমান লন্ডন থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন বার্তায় শীতল-শোকাতুর গুলশানে গ্রীষ্মের দাবদাহ বইতে শুরু করে। বাতাসে ফিসফাস বাড়তে থাকে।
এসএসএফ, পিজিআর সদস্যরা দল বেঁধে চলে আসায় আলোর ঔজ্জ্বল্য বেড়ে যায়।
তখনও কার্যালয়ের ভেতর গেটের সামনে রাখা খালেদা জিয়ার সাদা জিপ সরানো হাচ্ছিল না।
সাড়ে ৮টায় খালোদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস জানান, খালেদা জিয়া অসুস্থ, ইনজেকশন দিয়ে তাঁকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরে দেখা হবে।
দুই মিনিট যেতে না যেতেই গাড়িবহর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলে আসেন বিএনপি নেত্রীর কার্যালয়ের সামনে। কিন্তু ফটক খুলল না। মিনিট কয়েক পর প্রধানমন্ত্রী চলে গেলেন। আধঘণ্টা গেট বন্ধ। দুয়ার খুলল। ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আরএ গণির সঙ্গে ঘামভেজা মুখে মুওদুদ আহমদ চলে গেলেন। প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টার করা হলো। কিন্তু মওদুদ আহমদ রইলেন নীরব। নীরবেই চলে গেলেন।
No comments