সংরক্ষিত এলাকা অরক্ষিত- জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা– :নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙা : অনায়াসে চলছে অনুপ্রবেশ by হারুন আল রশীদ
(নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে যাওয়ায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে সংরক্ষিত জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা। সম্প্রতি তোলা ছবি l সাবিনা ইয়াসমিন) জাতীয়
সংসদ ভবন সংরক্ষিত এলাকা। সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু সংরক্ষিত ওই
এলাকায় এখন যে কেউ যেকোনো সময় ঢুকতে পারেন বিনা বাধায়। সেখানে গেলেই ওই
এলাকা অরক্ষিত থাকার এ দৃশ্য দেখা যায়। কারণ সংসদ ভবন এলাকার নিরাপত্তার
জন্য দেওয়া সীমানাবেষ্টনীর অনেক অংশই ভাঙা বা উপড়ে পড়ে রয়েছে। এক বছরের
বেশি সময় ধরে এ অবস্থা। বেষ্টনী না থাকা এসব অংশ দিয়ে অনাহুত লোকজন
হরহামেশা ভেতরে ঢুকছে, বের হচ্ছে। ফটক থেকে দূরে হওয়ায় ফটকে থাকা প্রহরীদের
পক্ষেও এই অনুপ্রবেশ ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে এই এলাকা
নিরাপত্তাঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করেন সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা এবং ওই
এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত ব্যক্তিরা। সংসদ সচিবালয়ের সূত্র
জানায়, ভাঙা বেষ্টনী ঠিক করার জন্য গত এক বছরে সংসদ ভবন এবং ওই এলাকার
তত্ত্বাবধানকারী গণপূর্ত বিভাগকে দুই দফায় চিঠি দেওয়া হলেও তা মেরামত করা
হয়নি।
রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত এলাকা সংসদ ভবনে ঢোকার জন্য তিন দিকে তিনটি প্রবেশপথ (ফটক) রয়েছে। এগুলোতে নিরাপত্তারক্ষীরাও রয়েছেন। তিনটি ফটক ছাড়া বাকি অংশ ছিল লোহার বেষ্টনী দিয়ে ঘেরা। কিন্তু ওই বেষ্টনীর বেশির ভাগ অংশ ভেঙে গেছে। সীমানাপ্রাচীর করার জন্য কিছু অংশ উপড়ে রাখা হয়েছে। এক বছর ধরে বেষ্টনী রক্ষণাবেক্ষণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বেষ্টনী না থাকা অরক্ষিত এসব অংশ রয়েছে পশ্চিম, পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে।
গত বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি কলস ও বালতি নিয়ে মাটিতে নুয়ে থাকা বেষ্টনী পার হয়ে বাইরে আসছেন। কিছুক্ষণ পর পর ওই পথ দিয়ে জারিকেনসহ বিভিন্ন পাত্র নিয়ে কয়েকজনকে আসতে দেখা গেল। কথা বলে জানা গেল, তাঁরা ওই এলাকায় ফুটপাতে চটপটি, ফুচকাসহ বিভিন্ন খাবার বিক্রি করেন। প্রয়োজনীয় পানি আনেন সংসদ ভবনের আসাদগেটসংলগ্ন ফটকের দক্ষিণ দিকের পানির পাম্প থেকে। প্রতিদিনই তাঁরা এভাবে পানি আনেন। এ ছাড়া ভেতরে সবুজ চত্বরে কম বয়সী কয়েকজনকে বসে থাকতে বা আড্ডা দিতে দেখা গেল।
পূর্ব দিকের বেশির ভাগ জায়গায় ২০১৩ সালে প্রাচীর করার জন্য বেষ্টনী উপড়ে ফেলা হয়। সেখানে প্রতি পাঁচ ফুট অন্তর একটি করে পিলার করার জন্য গর্ত করা হয়েছে। একই জায়গায় ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ মেট্রোরেলের পথ তৈরির জন্য বেষ্টনীর পাঁচ ফুট ভেতরে মাটি পরীক্ষার কাজ করছে। এ জন্যও বেশ কিছু গর্ত করা হয়েছে।
নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে সংসদ ভবন এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে যখন কড়াকড়ি আরোপ করা হয়, তখন অনেকে বেষ্টনীর ভাঙা অংশ দিয়ে ঢুকে পড়েন। এঁদের বেশির ভাগই মন্ত্রী-সাংসদদের সাক্ষাৎপ্রার্থী।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে সংসদ ভবন এলাকার লোহার বেষ্টনী সরিয়ে প্রাচীর করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই বছরের শেষ দিকে কাজ শুরুও হয়েছিল। কিন্তু পরিবেশবাদীদের আপত্তির মুখে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবেশবাদীরা দাবি করেন, প্রাচীর দিয়ে বিশ্বের অন্যতম এই স্থাপত্য নিদর্শনকে চোখের আড়াল করা যাবে না। এতে এর স্থাপত্যমান নষ্ট হবে।
সংসদ সচিবালয় এরপর ভারত, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, কানাডাসহ কয়েকটি দেশের আইন সভা ভবনের নকশা যাচাই করে বেষ্টনী তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আড়াই ফুট উঁচু প্রাচীরের ওপর থাকবে ছয় ফুট উঁচু ইস্পাতের গ্রিল। গত সপ্তাহ থেকে আসাদগেটসংলগ্ন পশ্চিম পাশে এই বেষ্টনী তৈরি শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নতুন বেষ্টনী তৈরি করতে সময় লাগবে। কিন্তু তা হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তাবেষ্টনী থাকবে না, তা হতে পারে না। যেসব গর্ত করা হয়েছে, তার কারণে পথচারীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারেন। সে জন্যই সাময়িকভাবে হলেও আগের বেষ্টনী মেরামত করা উচিত।
সংসদ ভবনে গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল মোমেন চৌধুরীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, সংসদ ভবন এলাকার পরিধি ১৪ হাজার ৩৩৫ ফুট। এতে বেষ্টনী তৈরি করতে কম-বেশি এক বছর লাগতে পারে। মেট্রোরেলের মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে বলে পূর্ব পাশে বেষ্টনী মেরামত করা যাচ্ছে না।
রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত এলাকা সংসদ ভবনে ঢোকার জন্য তিন দিকে তিনটি প্রবেশপথ (ফটক) রয়েছে। এগুলোতে নিরাপত্তারক্ষীরাও রয়েছেন। তিনটি ফটক ছাড়া বাকি অংশ ছিল লোহার বেষ্টনী দিয়ে ঘেরা। কিন্তু ওই বেষ্টনীর বেশির ভাগ অংশ ভেঙে গেছে। সীমানাপ্রাচীর করার জন্য কিছু অংশ উপড়ে রাখা হয়েছে। এক বছর ধরে বেষ্টনী রক্ষণাবেক্ষণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বেষ্টনী না থাকা অরক্ষিত এসব অংশ রয়েছে পশ্চিম, পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে।
গত বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি কলস ও বালতি নিয়ে মাটিতে নুয়ে থাকা বেষ্টনী পার হয়ে বাইরে আসছেন। কিছুক্ষণ পর পর ওই পথ দিয়ে জারিকেনসহ বিভিন্ন পাত্র নিয়ে কয়েকজনকে আসতে দেখা গেল। কথা বলে জানা গেল, তাঁরা ওই এলাকায় ফুটপাতে চটপটি, ফুচকাসহ বিভিন্ন খাবার বিক্রি করেন। প্রয়োজনীয় পানি আনেন সংসদ ভবনের আসাদগেটসংলগ্ন ফটকের দক্ষিণ দিকের পানির পাম্প থেকে। প্রতিদিনই তাঁরা এভাবে পানি আনেন। এ ছাড়া ভেতরে সবুজ চত্বরে কম বয়সী কয়েকজনকে বসে থাকতে বা আড্ডা দিতে দেখা গেল।
পূর্ব দিকের বেশির ভাগ জায়গায় ২০১৩ সালে প্রাচীর করার জন্য বেষ্টনী উপড়ে ফেলা হয়। সেখানে প্রতি পাঁচ ফুট অন্তর একটি করে পিলার করার জন্য গর্ত করা হয়েছে। একই জায়গায় ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ মেট্রোরেলের পথ তৈরির জন্য বেষ্টনীর পাঁচ ফুট ভেতরে মাটি পরীক্ষার কাজ করছে। এ জন্যও বেশ কিছু গর্ত করা হয়েছে।
নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে সংসদ ভবন এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে যখন কড়াকড়ি আরোপ করা হয়, তখন অনেকে বেষ্টনীর ভাঙা অংশ দিয়ে ঢুকে পড়েন। এঁদের বেশির ভাগই মন্ত্রী-সাংসদদের সাক্ষাৎপ্রার্থী।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে সংসদ ভবন এলাকার লোহার বেষ্টনী সরিয়ে প্রাচীর করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই বছরের শেষ দিকে কাজ শুরুও হয়েছিল। কিন্তু পরিবেশবাদীদের আপত্তির মুখে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবেশবাদীরা দাবি করেন, প্রাচীর দিয়ে বিশ্বের অন্যতম এই স্থাপত্য নিদর্শনকে চোখের আড়াল করা যাবে না। এতে এর স্থাপত্যমান নষ্ট হবে।
সংসদ সচিবালয় এরপর ভারত, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, কানাডাসহ কয়েকটি দেশের আইন সভা ভবনের নকশা যাচাই করে বেষ্টনী তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আড়াই ফুট উঁচু প্রাচীরের ওপর থাকবে ছয় ফুট উঁচু ইস্পাতের গ্রিল। গত সপ্তাহ থেকে আসাদগেটসংলগ্ন পশ্চিম পাশে এই বেষ্টনী তৈরি শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নতুন বেষ্টনী তৈরি করতে সময় লাগবে। কিন্তু তা হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তাবেষ্টনী থাকবে না, তা হতে পারে না। যেসব গর্ত করা হয়েছে, তার কারণে পথচারীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারেন। সে জন্যই সাময়িকভাবে হলেও আগের বেষ্টনী মেরামত করা উচিত।
সংসদ ভবনে গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল মোমেন চৌধুরীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, সংসদ ভবন এলাকার পরিধি ১৪ হাজার ৩৩৫ ফুট। এতে বেষ্টনী তৈরি করতে কম-বেশি এক বছর লাগতে পারে। মেট্রোরেলের মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে বলে পূর্ব পাশে বেষ্টনী মেরামত করা যাচ্ছে না।
No comments