বন্ধ করে দেয়া হলো ভাইবার-ট্যাঙ্গো
নিরাপত্তার
কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশী ব্যবহারকারীদের জন্য ভাইবার ও ট্যাঙ্গোর সেবা বন্ধ
করে দিয়েছে সরকার। কথা বলা ও চ্যাট করা ছাড়াও ফটো ও ভিডিও মেসেজ পাঠানো যায়
ভাইবার ও ট্যাঙ্গো সফটওয়্যার দিয়ে। থ্রিজি, ফোরজি এবং ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে
কাজ করে থাকে এই দুটি সফটওয়্যার। ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়েগুলোর
(আইআইজি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিটিআরসির নির্দেশে গতকাল ভোররাত থেকে এ
দুটি ফ্রি ‘অ্যাপ্লিকেশন’ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিটিআরসির নির্দেশে প্রথমে
সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সেবা দুটি বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও পরে রাত ১১টা ৫৯
মিনিট পর্যন্ত বন্ধের সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়। সরকারের এ সিদ্ধান্ত
বাস্তবায়ন করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। বিটিআরসি
জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকেই ধাপে ধাপে বন্ধ করা হয়েছে ভাইবার ও ট্যাঙ্গো।
প্রথমে মোবাইল অপারেটরগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে আইআইজি
প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন এক
কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার অনুরোধের ভিত্তিতে এ দুটি সেবা বন্ধ করা
হয়েছে। তিনি জানান, প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত এ
দুটি অ্যাপের সেবা বাংলাদেশে বন্ধ থাকবে। তবে প্রয়োজনে এই সময় আরও বাড়তে
পারে। জনপ্রিয় এই দুটি সেবা বন্ধ করে দেয়ার পর গ্রামীণফোন তাদের ওয়েবসাইটে
দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিটিআরসির তরফে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায়
তাদের কাছে একটি নির্দেশনা আসে। এতে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে অবিলম্বে
ভাইবার এবং ট্যাঙ্গো বন্ধ রাখতে বলা হয়। এ নির্দেশনা পাওয়ার পর গ্রামীণফোন
সকাল পৌনে নয়টা থেকে তাদের গ্রাহকদের এই সেবা বন্ধ করে দেয়। সেবা দিতে না
পারায় গ্রামীণফোনের তরফ থেকে গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়
বিজ্ঞপ্তিতে। এদিকে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের সাহায্যে এই সেবাগ্রহণকারীদের
মধ্যে গতকাল থেকেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। মোবাইলের সাধারণ গ্রাহকরা
এই সেবা না পেয়ে অনেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ভাইবার ও ট্যাঙ্গোর মতো
অ্যাপ ব্যবহার করে অপরাধীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছে বলে এর আগেও
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা জানান, ফোন কল পর্যবেক্ষণের
মাধ্যমে অপরাধীদের ওপর নজর রাখতে পারলেও ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন
অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে যোগাযোগকারীদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
বিরোধী জোটের হরতাল-অবরোধে এসব অ্যাপ ব্যবহার করে কর্মীরা নিজেদের মধ্যে
যোগাযোগ করছে বলেও গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে। ব্যাপক ধর পাকড়ের মধ্যে
বিরোধী রাজনৈতিক জোটের নেতারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য
ইন্টারন্টেভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আলোচনা রয়েছে।
No comments