‘খান ভাইদের’ আ.লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি -টাঙ্গাইলে ফারুক হত্যার বার্ষিকী
বক্তব্য দেন ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ |
টাঙ্গাইলের
আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকীতে আয়োজিত সমাবেশে
দলের নেতারা সাংসদ আমানুর রহমান খান (রানা) ও তাঁর ভাইদের দল থেকে বহিষ্কার
এবং গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। জেলা শহরের নিরালা মোড়ে
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গতকাল রোববার ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয় ‘আওয়ামী
সমর্থক পরিবার’-এর ব্যানারে। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রাজ্জাকের
সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল-২ আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ খন্দকার
আসাদুজ্জামানসহ আওয়ামী লীগের প্রায় এক ডজন নেতা। গতকাল ছিল ফারুক হত্যার
দ্বিতীয় বার্ষিকী। সাংসদ খন্দকার আসাদুজ্জামান বলেন, খুনি চক্র যাতে
আওয়ামী লীগে থাকতে না পারে সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফারুক আহমেদের খুনিদের স্থান এই সমাজে হতে পারে না। ফারুক আহমেদের
স্ত্রী নাহার আহমেদ বলেন, তদন্তে বের হয়ে এসেছে এই হত্যাকাণ্ডে সাংসদ
আমানুর খান এবং তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সহিদুর রহমান খান
(মুক্তি), ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান (কাকন) ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়
সহসভাপতি সানিয়াত খান (বাপ্পা) জড়িত। খুনিদের স্থান আওয়ামী লীগে থাকতে
পারে না। তিনি আমানুর ও তাঁর ভাইদের ফারুক আহমেদের হত্যাকারী উল্লেখ করে
তাঁদের অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান, প্রচার সম্পাদক শরীফ হাজারী, ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুর রহমান, ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম টাঙ্গাইল শাখার সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শওকত রেজা, জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর ইসলাম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাহমুদুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি শহরে নিজ বাসার কাছ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান, প্রচার সম্পাদক শরীফ হাজারী, ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুর রহমান, ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম টাঙ্গাইল শাখার সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শওকত রেজা, জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর ইসলাম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাহমুদুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি শহরে নিজ বাসার কাছ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
No comments