রাতের ট্রেন যাচ্ছে দিনে
পিছু
ছাড়ছে না ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়। অবরোধের শুরুতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা দেরিতে
ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যায়। কিন্তু এখন কোন সময়ের ট্রেন কখন যাচ্ছে তার কোন
নির্দিষ্ট সময় নেই। একেবারে ভেঙে পড়েছে সিডিউল ব্যবস্থা। একদিন আগের রাতের
ট্রেন যাচ্ছে পরদিন বিকালে। আর সকালের যাত্রার কথা থাকলে যাত্রীরা তাদের
কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের দেখা পাচ্ছেন পরদিন মধ্যরাতে। এর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা
যাত্রার অপেক্ষায় তারা অবস্থান করছেন স্টেশনে। দিনের যাত্রী রাত কাটাচ্ছেন
স্টেশনেই। এমন চিত্র দেখা গেছে, রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনসহ দেশের প্রত্যেক
রেল স্টেশনে। এনিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভের অন্ত নেই। ২০ দলীয় জোটের লাগাতার
অবরোধে বিভিন্ন স্থানে রেল লাইন উপড়ে ফেলাসহ নাশকতা হওয়ায় সারা দেশের রেলের
যোগাযোগ ব্যবস্থায় এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে
কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা বাসে পেট্রল বোমা ও অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির কারণে
গন্তব্যে যেতে রেলপথকেই ভরসা হিসেবে নিয়েছেন। কিন্তু এখানেও স্বস্তি মিলছে
না তাদের। টিকিট তো নেই-ই, আর পেলেও কখন যাত্রা করতে পারবেন তার কোন
নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। স্টেশনে বসে থেকে দেখা পাচ্ছেন না নির্দিষ্ট ট্রেনের।
অনেকে হতাশ হয়ে ফেরত দিচ্ছেন টিকিট।
গতকাল কমলাপুর স্টেশনে দেখা গেছে, পরিবার-পরিজন নিয়ে প্লাটফর্মে অপেক্ষা করছেন খুলনা, কুষ্টিয়া, লালমনিরহাট, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন গন্তব্যের কয়েক হাজার যাত্রী। যাত্রীরা জানান, কোন ট্রেনই এখন ১০-১২ ঘণ্টার আগে যাচ্ছে না। তাছাড়া, রাস্তায় চলছে ধীরগতিতে। সব মিলিয়ে এক হ-য-ব-র-ল অবস্থা চলছে রেল ব্যবস্থায়। রাজশাহীর এক যাত্রী দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় বসেছিলেন। আগের দিন ওইদিনের টিকিট কেটে পরদিনও বসেছিলেন যাত্রার অপেক্ষায়। দুপুরের পর থেকে স্টেশনের দেওয়ালে ঝোলানো মনিটরে কয়েকবার রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ছাড়ার পরিবর্তিত সময়সূচি জানানো হলেও রাত ৮টায় জানানো হয়, ট্রেনটি মধ্যরাতের আগে ঢাকা ছাড়ছে না। রাজশাহীগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেসের যাত্রী বিক্রম রায় বলেন, দুপুর থেকে অপেক্ষার পর রাত ৮টায় তাদের ট্রেনটি কমলাপুর ছেড়েছে, যা আগেরদিন সকালে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
স্টেশনের কর্মকর্তারা জানান, চিত্রা এক্সপ্রেস আগের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসার কথা থাকলেও পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সেটি ছাড়েনি। ঢাকা-দিনাজপুর রুটে চলাচলকারী একতা এক্সপ্রেসও সন্ধ্যা ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ২৪ ঘণ্টা পিছিয়ে গেছে যাত্রাসূচি। কর্তৃপক্ষ জানায়, রেলপথে নাশকতার বিষয়টি মাথায় রেখেই গতি কমানো ছাড়াও বুঝেশুনে চালাতে হচ্ছে। আর এ কারণেই সময়সূচির এমন এলোমেলো অবস্থা। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার নিপেন্দ্র সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, অবরোধে নাশকতার আশঙ্কায় রাতের বেলা ট্রেনের গতি ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে রাখা হচ্ছে। এছাড়া, এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনের মধ্যবর্তী লাইন শাটল ট্রেন পাঠিয়ে চেক করা হচ্ছে। ফলে সারা দেশে ট্রেনের নির্ধারিত সময়সূচি এলোমেলো হয়ে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ অবস্থায় বিলম্ব করে হলেও রেল যোগাযোগ সচল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সূচি বিপর্যয়ের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে নিপেন্দ্র সাহা জানান, কেউ চাইলে টিকিট ফেরত নেয়া হচ্ছে, পরিবর্তনও করে দেয়া হচ্ছে।
গতকাল কমলাপুর স্টেশনে দেখা গেছে, পরিবার-পরিজন নিয়ে প্লাটফর্মে অপেক্ষা করছেন খুলনা, কুষ্টিয়া, লালমনিরহাট, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন গন্তব্যের কয়েক হাজার যাত্রী। যাত্রীরা জানান, কোন ট্রেনই এখন ১০-১২ ঘণ্টার আগে যাচ্ছে না। তাছাড়া, রাস্তায় চলছে ধীরগতিতে। সব মিলিয়ে এক হ-য-ব-র-ল অবস্থা চলছে রেল ব্যবস্থায়। রাজশাহীর এক যাত্রী দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় বসেছিলেন। আগের দিন ওইদিনের টিকিট কেটে পরদিনও বসেছিলেন যাত্রার অপেক্ষায়। দুপুরের পর থেকে স্টেশনের দেওয়ালে ঝোলানো মনিটরে কয়েকবার রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ছাড়ার পরিবর্তিত সময়সূচি জানানো হলেও রাত ৮টায় জানানো হয়, ট্রেনটি মধ্যরাতের আগে ঢাকা ছাড়ছে না। রাজশাহীগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেসের যাত্রী বিক্রম রায় বলেন, দুপুর থেকে অপেক্ষার পর রাত ৮টায় তাদের ট্রেনটি কমলাপুর ছেড়েছে, যা আগেরদিন সকালে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
স্টেশনের কর্মকর্তারা জানান, চিত্রা এক্সপ্রেস আগের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসার কথা থাকলেও পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সেটি ছাড়েনি। ঢাকা-দিনাজপুর রুটে চলাচলকারী একতা এক্সপ্রেসও সন্ধ্যা ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ২৪ ঘণ্টা পিছিয়ে গেছে যাত্রাসূচি। কর্তৃপক্ষ জানায়, রেলপথে নাশকতার বিষয়টি মাথায় রেখেই গতি কমানো ছাড়াও বুঝেশুনে চালাতে হচ্ছে। আর এ কারণেই সময়সূচির এমন এলোমেলো অবস্থা। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার নিপেন্দ্র সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, অবরোধে নাশকতার আশঙ্কায় রাতের বেলা ট্রেনের গতি ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে রাখা হচ্ছে। এছাড়া, এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনের মধ্যবর্তী লাইন শাটল ট্রেন পাঠিয়ে চেক করা হচ্ছে। ফলে সারা দেশে ট্রেনের নির্ধারিত সময়সূচি এলোমেলো হয়ে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ অবস্থায় বিলম্ব করে হলেও রেল যোগাযোগ সচল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সূচি বিপর্যয়ের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে নিপেন্দ্র সাহা জানান, কেউ চাইলে টিকিট ফেরত নেয়া হচ্ছে, পরিবর্তনও করে দেয়া হচ্ছে।
No comments