মুদ্রা শুরু ৫ টাকা দিয়ে
দেশে
বাজারে প্রচলিত এক টাকা, দুই টাকার নোট ও সমমানের কয়েন (ধাতব মুদ্রা)
বাজার থেকে তুলে নেয়া হবে। সর্বনিম্ন মুদ্রা হিসেবে পাঁচ টাকার কয়েন বা নোট
চালু করা হবে। আর এটি হবে খুব শিগগিরই। গতকাল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল
মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান,
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান ও অর্থসচিবসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভ্যাট আইন সংশোধন নিয়ে বৈঠক করেন
অর্থমন্ত্রী। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান,
সর্বনিম্ন মুদ্রা হবে ৫ টাকা। বাজারে প্রচলিত এক টাকা ও দুই টাকার মুদ্রা ও
কাগুজে টাকার প্রচলন থাকবে না। প্রচলিত এসব মুদ্রা বাজার থেকে উঠিয়ে নিতে
প্রায় ৩০০ কোটি টাকা লাগবে। এ মুদ্রা ও কাগুজে টাকা উঠিয়ে নেয়ার পর পাঁচ
টাকার নতুন নোট চালু করা হবে। এতে কারা বেশি লাভবান হবেন জানতে চাইলে
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের চেয়ে সাধারণ মানুষই বেশি লাভবান হবেন। ব্যবহার
অযোগ্য টাকা নিয়ে মানুষকে আর ঘুরতে হবে না। বাজারে এক টাকা ও দুই টাকার
চকলেট আছে তা কেনার সময় কী হবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন,
বাজারে কী এক টাকায় চকলেট পাওয়া যায়? এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায়
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে জানান,
বিষয়টি একদমই অযৌক্তিক ও অন্যায্য। কারণ এতে করে খুচরা পর্যায়ে পণ্যের দাম
বেড়ে যাবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে নিম্ন আয়ের মানুষ। যদিও অর্থনৈতিকভাবে বড় কোন
সমস্যা হবে না। কিন্তু সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে
টাকার এতটা অবমূল্যায়ন হয়নি যে পাঁচ টাকার নিচে টাকা থাকতে পারবে না। যার
বুদ্ধিতেই কাজটা করুক, অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
No comments