জনতার প্রতিনিধি পালাবো কেন? -আলাপচারিতায় মেয়র আরিফ by চৌধুরী মুমতাজ আহমদ
‘নগরবাসী আমায় ভালবাসেন। ভালবেসেই আমাকে তারা সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত করেছেন। তাদের সে ভালবাসার ঋণ শোধে আমি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। নগর ও নগরবাসীর সঙ্গে এই ভালবাসাবাসিই বোধহয় আমার অপরাধ হয়েছে। সে অপরাধেই আমার মাথায় ঝুলছে একটি হত্যা মামলা। তা-ও যে মানুষটাকে আমি ভীষণ রকম শ্রদ্ধা করি সেই শাহ এএমএস কিবরিয়া- যিনি পুরো সিলেটের গর্ব, তাকেই হত্যার দায় চেপেছে আমার কাঁধে। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলবো এ ঘৃণ্য হত্যাকা-ের সঙ্গে আমার সামান্যতমও সংশ্লিষ্টতা নেই।’ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিটে অভিযুক্ত সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এভাবেই এ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা নাকচ করে দিলেন। আজ সম্পূরক চার্জশিট গ্রহণ প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত হবে। হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ১-এর বিচারক রোকেয়া খাতুন এ সিদ্ধান্ত দেবেন। এ প্রসঙ্গেই গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মানবজমিনের সঙ্গে কথা হয় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর।
পালিয়ে আছেন কিনা-এমন প্রশ্নে আরিফুল হকের সাফ জবাব, ‘আমি জনতার প্রতিনিধি, আমি পালাবো কেন? বিশেষ প্রয়োজনে কিছুদিন সিলেটের বাইরে ছিলাম, এখন সিলেটেই আছি।’ আরিফ বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। চার্জশিট গ্রহণের আগ পর্যন্ত তো আমি কোন আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে পারি না। চার্জশিট গ্রহণের পর ওয়ারেন্ট হোক বা না হোক আমি আইনের আশ্রয় নেবো।’
তার অনুপস্থিতিতে সিটি করপোরেশনের কাজ থমকে আছে কিনা জানতে চাইলে মেয়র আরিফ বলেন, ‘করপোরেশনের কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটে এমন দীর্ঘসময় আমার অনুপস্থিতি ছিল না। তবুও যা কিছু কাজ ছিল সবই সম্পন্ন করেছি।’ তিনি বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখুন, অনিষ্পন্ন কোন ফাইল করপোরেশনে পাবেন না।’
কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিটে নিজের অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বক্তব্য, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। সকল বিষয় চিন্তা করে আমার এ উপলব্ধি হয়েছে যে, মেয়র হওয়াই আমার জন্য কাল হয়েছে। মেয়র নির্বাচিত না হলে হয়তো আমাকে এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো না।’ আরিফ বলেন, ‘পবিত্র কোরান শরীফ হাতে নিয়ে আমি বলতে পারবো এ ঘটনায় আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। মুফতি হান্নানের সঙ্গেও আমার কোন বৈঠক হয়নি। তাকে আমি কোনদিন সরাসরি দেখিওনি। টিভি-পত্রিকার বদৌলতেই শুধু তার চেহারাটি আমার চেনা।’ আবেগ মেশানো কণ্ঠে মেয়র আরিফ বলে চলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এই প্রথম নয়। আগেও অনেকবার হয়েছে। আমি মনে করি, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ছায়া আছে আমার উপর। প্রতিবারই সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে মান-সম্মান নিয়ে ঘরে ফিরেছি। এবারও ইনশাআল্লাহ তাই হবে।’
রাজনৈতিকভাবে আরিফ বিএনপির আদর্শের অনুসারী। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তার এই দুঃসময়ে দল কি সঙ্গে আছে-এমন প্রশ্নের বিপরীতে আরিফই পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘জিজ্ঞেস করুন কারা নেই সঙ্গে?’ মেয়র আরিফ বলেন ‘দলের সবাই যে আমায় পছন্দ করেন এমনটা বলবো না। তবে দলের কেউই বিশ্বাস করেন না আমি এমন কাজ করতে পারি। সকলেই আমার প্রতি সমব্যথী হয়েছেন- মাঠে নেমেছেন। তারা প্রত্যেকেই আমাকে ভরসা যুগিয়ে চলেছেন। শুধু দল নয়, সিলেটের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষই আমার সঙ্গে আছেন। আমার সবচেয়ে বড় শক্তি সিলেটের মানুষের ভালবাসা। আমাকে ভালবাসেন বলেই তারা বিশ্বাস করেননি তাদের আরিফ কোন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে-এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।’
পালিয়ে আছেন কিনা-এমন প্রশ্নে আরিফুল হকের সাফ জবাব, ‘আমি জনতার প্রতিনিধি, আমি পালাবো কেন? বিশেষ প্রয়োজনে কিছুদিন সিলেটের বাইরে ছিলাম, এখন সিলেটেই আছি।’ আরিফ বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। চার্জশিট গ্রহণের আগ পর্যন্ত তো আমি কোন আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে পারি না। চার্জশিট গ্রহণের পর ওয়ারেন্ট হোক বা না হোক আমি আইনের আশ্রয় নেবো।’
তার অনুপস্থিতিতে সিটি করপোরেশনের কাজ থমকে আছে কিনা জানতে চাইলে মেয়র আরিফ বলেন, ‘করপোরেশনের কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটে এমন দীর্ঘসময় আমার অনুপস্থিতি ছিল না। তবুও যা কিছু কাজ ছিল সবই সম্পন্ন করেছি।’ তিনি বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখুন, অনিষ্পন্ন কোন ফাইল করপোরেশনে পাবেন না।’
কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিটে নিজের অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বক্তব্য, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। সকল বিষয় চিন্তা করে আমার এ উপলব্ধি হয়েছে যে, মেয়র হওয়াই আমার জন্য কাল হয়েছে। মেয়র নির্বাচিত না হলে হয়তো আমাকে এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো না।’ আরিফ বলেন, ‘পবিত্র কোরান শরীফ হাতে নিয়ে আমি বলতে পারবো এ ঘটনায় আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। মুফতি হান্নানের সঙ্গেও আমার কোন বৈঠক হয়নি। তাকে আমি কোনদিন সরাসরি দেখিওনি। টিভি-পত্রিকার বদৌলতেই শুধু তার চেহারাটি আমার চেনা।’ আবেগ মেশানো কণ্ঠে মেয়র আরিফ বলে চলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এই প্রথম নয়। আগেও অনেকবার হয়েছে। আমি মনে করি, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ছায়া আছে আমার উপর। প্রতিবারই সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে মান-সম্মান নিয়ে ঘরে ফিরেছি। এবারও ইনশাআল্লাহ তাই হবে।’
রাজনৈতিকভাবে আরিফ বিএনপির আদর্শের অনুসারী। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তার এই দুঃসময়ে দল কি সঙ্গে আছে-এমন প্রশ্নের বিপরীতে আরিফই পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘জিজ্ঞেস করুন কারা নেই সঙ্গে?’ মেয়র আরিফ বলেন ‘দলের সবাই যে আমায় পছন্দ করেন এমনটা বলবো না। তবে দলের কেউই বিশ্বাস করেন না আমি এমন কাজ করতে পারি। সকলেই আমার প্রতি সমব্যথী হয়েছেন- মাঠে নেমেছেন। তারা প্রত্যেকেই আমাকে ভরসা যুগিয়ে চলেছেন। শুধু দল নয়, সিলেটের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষই আমার সঙ্গে আছেন। আমার সবচেয়ে বড় শক্তি সিলেটের মানুষের ভালবাসা। আমাকে ভালবাসেন বলেই তারা বিশ্বাস করেননি তাদের আরিফ কোন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে-এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।’
No comments