বরিশালে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ: আহত ৪০, আটক ১৪
(বরিশালে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজীর শিক্ষার্থীরা আজ বুধবার সকালে শহরের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সামনে দশ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশেরা শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে সড়িয়ে দেয়। এতে অনেকেই আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ছবি: মো. সাইয়ান, প্রথম আলো) বরিশালে
সড়ক অবরোধকারী ইনস্টিটিউট এন্ড হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) শিক্ষার্থীদের ওপর
লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল
নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় ৩ পুলিশ কনস্টেবলসহ ৪০ জন আহত হয়েছেন। আজ সকাল ১১টার
দিকে নগরীর বান্দ রোড শেবাচিম হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৪
শিক্ষার্র্থীকে আটক করে পুলিশ। আহত শিক্ষার্থীদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, অবিলম্বে ‘বাংলাদেশ
ডিপোমা মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড’ গঠন, ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা মেডিকেল
টেকনোলজি ও ফার্মেসী কোর্স চালু, নতুন পদ সৃষ্টি, আইনগত সমস্য নিষ্পত্তি,
সরকারি চাকুরিতে ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ও ফার্মসিষ্টদের দ্বিতীয়
শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা পদমর্যাদা, উচ্চ শিক্ষা সম্প্রসারণে বি.এস.সি ও
এম.এম. সি কোর্স চালু করাসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকাল ১০ টায়
শিক্ষার্থীরা বান্দরোডে মানববন্ধন শুরু করে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া আইএইচটি
শিক্ষার্থী মো. হোসেন জানায়, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের
দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যদার দাবিতে কিছুদিন ধরেই তারা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন
করে আসছিলেন। সকালে বান্দ রোডে মেডিকেল কলেজের সামনে তারা শান্তিপূর্ণ
বিক্ষোভ সমাবেশ করছিলেন। কিন্তু পুলিশ বিনা উস্কানীতে তাদের উপর নির্বিচারে
লাঠিচার্জ করায় ত্রিশ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। লাঠিচার্জে তাদের শান্তিপূর্ণ
বিক্ষোভ সমাবেশ প- হয়ে যায়। বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) শাখওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা ইট-পাটক্কেল
নিক্ষেপ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠি চার্জ করতে বাধ্য হয়। এতে
পুলিশের সার্জেন্ট কামরুল ইসলাম ও কনেস্টেবল বেল্লাল হোসেনসহ পুলিশের তিন
সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান
তিনি। বরিশাল নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিন) গোলাম রউফ খান পিপিএম জানান,
রাস্তা অবরোধ করে দাবি আদায় হয়না। দাবি আদায়ের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের
কাছে যেতে হয়। এর আগেও তারা সড়ক অবরোধ করেছিল। তখন তাদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে
পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ সড়ক অবরোধকালে পুলিশ তাদের বোঝাতে গেলে
শিক্ষার্থীরা অনাকাঙ্খিত আচরণ করায় জনগনের চলাচলের স্বার্থে পুলিশ বল
প্রয়োগে বাধ্য হয়েছে।
No comments