এমপি এনামুলের বিরুদ্ধে পুনঃ অনুসন্ধান চান দুদক কমিশনার
রাজশাহী-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি এনামুল
হকের বিরুদ্ধে পুনঃঅনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের
(দুদক) কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ। এর আগে তিনি মামলা
রুজুর পক্ষে এবং কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু নথিভুক্তির পক্ষে
মত দিয়েছিলেন। তবে এনামুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রতিবেদনের চূড়ান্ত
পরিণতি নির্ভর করছে দুদক চেয়ারম্যানের মতামতের ওপর। তিন সদস্যের কমিশনে
সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বিধায় অপর কমিশনার
(চেয়ারম্যান) মো. বদিউজ্জামান যে মতের সঙ্গে একমত পোষণ করবেন সেটিই হবে
কমিশনের সিদ্ধান্ত। তবে তিনি যদি মামলা রুজুর পক্ষে মত দেন তাহলে এনামুল
হকের বিষয়টি নতুন জটিলতার দিকে মোড় নেয়ার আশংকা রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা সরকারদলীয় প্রভাবশালী এমপি এনামুল হকের সম্পদ অনুসন্ধান প্রতিবেদনে মামলা রুজুর পক্ষে সুপারিশ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা। ১৬ সেপ্টেম্বর ২১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা যতন কুমার রায়। কিন্তু এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের প্রশ্নে বিভক্ত হয়ে পড়ে তিন সদস্যের কমিশন। কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ এনামুলের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করার পক্ষে মত দেন। পক্ষান্তরে বিষয়টি দুদকের তফসিলভুক্ত নয় মর্মে পর্যবেক্ষণ দিয়ে নথিভুক্তির পক্ষে মত দেন কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। সিদ্ধান্তহীনতার এ প্রেক্ষাপটে ৩ নভেম্বর সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পর্যবেক্ষণসহ মতামত পর্যালোচনা করে দেখার দায়িত্ব দেয়া হয় কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসির উদ্দীন আহমেদকে। কমিশনের এ সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনি বলেন, অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এনামুল হকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সম্পদ এবং তার ব্যক্তিগত সম্পদ পৃথক করা হয়নি। তিনি যদি সম্পদের যথাযথ আয়কর না দিয়ে থাকেন তাহলে এ বিষয়ে এনবিআর ব্যবস্থা নেবে। এটি দুদকের তফসিলভুক্ত নয়। তাই এ গ্রাউন্ডে মামলা হলে বিচারে দুদকের পক্ষে সুফল আসবে না। আয়কর নথিতে উল্লিখিত সম্পদের বাইরে অর্থ-সম্পদ থেকে থাকলেই কেবল দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ হিসেবে গণ্য হতো।
ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে মামলার পক্ষে মতামত দেন। পরে পর্যালোচনা শেষে স্বীয় অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি। পুন:অনুসন্ধানের পক্ষে মত দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, আমি আমার অবস্থানে (নথিভুক্তি) অনড় রয়েছি। ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ তার অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। তিনি পুন:অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে শুনেছি। এখন চেয়ারম্যান কি মতামত দেন সেটির ওপর নির্ভর করছে কমিশনের সিদ্ধান্ত। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামার ভিত্তিতে ২২ জানুয়ারি দুদক সরকারদলীয় ৭ প্রভাবশালীর সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করে। রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুল হক তাদের একজন। এনামুল হক ও তার স্ত্রী তহুরা হকের সম্পদ অনুসন্ধান করেন উপপরিচালক (বর্তমানে অবসরে) যতন কুমার রায়। তার দাখিলকৃত অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন চাওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এনামুল হক অডিট প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দুটি অডিট রিপোর্ট তৈরি করান। ভুয়া অডিট রিপোর্ট ব্যবহার করে তিনি আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন। এনা প্রপার্টিজের নেট প্রোফিট আফটার ট্যাক্স হয়েছে ৮৪ কোটি টাকা। অথচ ভুয়া অডিট রিপোর্ট দাখিল করে তিনি আয়কর শোধ করেছেন মাত্র ৮৭ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে তিনি আয় গোপন করেছেন। দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে এ গরমিলের কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি এনামুল।
দুদক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা সরকারদলীয় প্রভাবশালী এমপি এনামুল হকের সম্পদ অনুসন্ধান প্রতিবেদনে মামলা রুজুর পক্ষে সুপারিশ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা। ১৬ সেপ্টেম্বর ২১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা যতন কুমার রায়। কিন্তু এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের প্রশ্নে বিভক্ত হয়ে পড়ে তিন সদস্যের কমিশন। কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ এনামুলের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করার পক্ষে মত দেন। পক্ষান্তরে বিষয়টি দুদকের তফসিলভুক্ত নয় মর্মে পর্যবেক্ষণ দিয়ে নথিভুক্তির পক্ষে মত দেন কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। সিদ্ধান্তহীনতার এ প্রেক্ষাপটে ৩ নভেম্বর সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পর্যবেক্ষণসহ মতামত পর্যালোচনা করে দেখার দায়িত্ব দেয়া হয় কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসির উদ্দীন আহমেদকে। কমিশনের এ সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনি বলেন, অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এনামুল হকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সম্পদ এবং তার ব্যক্তিগত সম্পদ পৃথক করা হয়নি। তিনি যদি সম্পদের যথাযথ আয়কর না দিয়ে থাকেন তাহলে এ বিষয়ে এনবিআর ব্যবস্থা নেবে। এটি দুদকের তফসিলভুক্ত নয়। তাই এ গ্রাউন্ডে মামলা হলে বিচারে দুদকের পক্ষে সুফল আসবে না। আয়কর নথিতে উল্লিখিত সম্পদের বাইরে অর্থ-সম্পদ থেকে থাকলেই কেবল দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ হিসেবে গণ্য হতো।
ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে মামলার পক্ষে মতামত দেন। পরে পর্যালোচনা শেষে স্বীয় অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি। পুন:অনুসন্ধানের পক্ষে মত দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, আমি আমার অবস্থানে (নথিভুক্তি) অনড় রয়েছি। ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ তার অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। তিনি পুন:অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে শুনেছি। এখন চেয়ারম্যান কি মতামত দেন সেটির ওপর নির্ভর করছে কমিশনের সিদ্ধান্ত। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামার ভিত্তিতে ২২ জানুয়ারি দুদক সরকারদলীয় ৭ প্রভাবশালীর সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করে। রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুল হক তাদের একজন। এনামুল হক ও তার স্ত্রী তহুরা হকের সম্পদ অনুসন্ধান করেন উপপরিচালক (বর্তমানে অবসরে) যতন কুমার রায়। তার দাখিলকৃত অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন চাওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এনামুল হক অডিট প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দুটি অডিট রিপোর্ট তৈরি করান। ভুয়া অডিট রিপোর্ট ব্যবহার করে তিনি আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন। এনা প্রপার্টিজের নেট প্রোফিট আফটার ট্যাক্স হয়েছে ৮৪ কোটি টাকা। অথচ ভুয়া অডিট রিপোর্ট দাখিল করে তিনি আয়কর শোধ করেছেন মাত্র ৮৭ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে তিনি আয় গোপন করেছেন। দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে এ গরমিলের কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি এনামুল।
No comments