মুজাহিদের আপিল শুনানি ১৪ জানুয়ারি
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের করা আপিলের শুনানি আগামী ১৪ জানুয়ারি শুরু হবে। আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ মুজাহিদের আপিল শুনানির এ তারিখ ধার্য করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে গত বছরের ১১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন মুজাহিদ। মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবী নিধনের পরিকল্পনা ও সহযোগিতা করার দায়ে গত বছরের ১৭ জুলাই মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। রায় ঘোষণার ২৫ দিনের মাথায় আপিল করে আসামিপক্ষ। আপিলের পর মুজাহিদের আইনজীবী তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেছিলেন, আপিলে আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে খালাসের আরজি রয়েছে। ১১৫টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ৯৫ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে তিন হাজার ৮০০ পৃষ্ঠার নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলার রায়ে বলা হয়, মুজাহিদের বিরুদ্ধে গঠন করা সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। তৃতীয় অভিযোগে (ফরিদপুরের রণজিৎ নাথকে আটক রেখে নির্যাতন) আসামিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পঞ্চম অভিযোগে (নাখালপাড়া সেনাক্যাম্পে আলতাফ মাহমুদ, রুমী, বদি, আজাদ, জুয়েল হত্যাকাণ্ড) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ষষ্ঠ (বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড) ও সপ্তম অভিযোগে (বাকচরে হিন্দুদের হত্যা ও নিপীড়ন) মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ষষ্ঠ অভিযোগের সঙ্গে প্রথম অভিযোগ (সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন হত্যা) একীভূত করায় এতে আলাদা করে শাস্তি ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় ও চতুর্থ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালে মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলার রায়ে বলা হয়, মুজাহিদের বিরুদ্ধে গঠন করা সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। তৃতীয় অভিযোগে (ফরিদপুরের রণজিৎ নাথকে আটক রেখে নির্যাতন) আসামিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পঞ্চম অভিযোগে (নাখালপাড়া সেনাক্যাম্পে আলতাফ মাহমুদ, রুমী, বদি, আজাদ, জুয়েল হত্যাকাণ্ড) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ষষ্ঠ (বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড) ও সপ্তম অভিযোগে (বাকচরে হিন্দুদের হত্যা ও নিপীড়ন) মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ষষ্ঠ অভিযোগের সঙ্গে প্রথম অভিযোগ (সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন হত্যা) একীভূত করায় এতে আলাদা করে শাস্তি ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় ও চতুর্থ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
No comments