যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি মিসর
মিসরে ২০১১ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে ৮৪৬ জন আন্দোলনকারী নিহত হন। এ ঘটনায় বিচারের মুখোমুখি করা হলেও গত শনিবার আদালত খালাস দেন ওই আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারককে। এর পরিপ্রেক্ষিতে উঠছে অনেক প্রশ্ন। বার্তা সংস্থার এপির বিশ্লেষণে সেসব প্রশ্নের উত্তর— মোবারক কি শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছেন?
হত্যার নির্দেশের অভিযোগ থেকে খালাস পেলেও গত মে মাসে দুর্নীতির দায়ে তিন বছরের সাজা হয় মোবারকের। তিনি ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে বন্দী আছেন। অর্থাৎ ইতিমধ্যে সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় তাঁকে বন্দী থাকতে হয়েছে। বন্দী থাকা এই দিনগুলো দুর্নীতির মামলার সাজা হিসেবে ধরা হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। তাই মোবারকের মুক্তির প্রশ্নে নিশ্চিত উত্তরও মিলছে না।
বিচারক কি হত্যার নির্দেশ থেকে মোবারককে পুরোপুরি মুক্তি দিয়েছেন?
বিচারক মাহমুদ আল-রাশিদি কৌশলগতভাবে মোবারককে খালাস দেন। বিচারক রায়ে বলেন, বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় প্রথমে মোবারকের নিরাপত্তাপ্রধানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে এতে মোবারকের নামও যুক্ত করা হয়, যা ঠিক হয়নি। এ কারণেই তাঁকে হত্যার অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে?
রায়ের বিরুদ্ধে মিসরের সর্বোচ্চ আইনি কর্তৃপক্ষ ‘কোর্ট অব ক্যাসেশন’-এ আপিল করা যাবে।
তাহলে ৮৪৬ জনকে হত্যার জন্য দায়ী কে?
ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৭০ জন পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হলেও সবাই খালাস পেয়েছেন। সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাব বা আত্মরক্ষায় গুলি চালানোয় তাঁদের খালাস দেওয়া হয়। তাই প্রশ্ন উঠেছে, এসব হত্যাকাণ্ডের দায় কার?
আদালতের সিদ্ধান্ত মিসরে কী প্রভাব ফেলবে?
এ প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করবে, কাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে তার ওপর। সরকারপন্থী গণমাধ্যমগুলোর দাবি, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই মোবারক খালাস পেয়েছেন। এখানে সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির কোনো প্রভাব নেই। কিন্তু সিসির হাতে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ও মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকেরা মনে করেন, হোসনি মোবারকের সরকারের সঙ্গে বর্তমান সরকারের পার্থক্য খুবই কম। এ ছাড়া এই রায়ের ফলে ২০১১ সালে মোবারক-বিরোধী আন্দোলেন মূল ভূমিকায় থাকা ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারপন্থীরা আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বেন।
রায়ে মিসরীয়দের প্রতিক্রিয়া কী?
২০১১ সালের পর থেকে মিসরীয়দের মূল উদ্বেগের বিষয় হলো তাঁদের নিরাপত্তা ও অর্থনীতি। এ কারণে মোবারকের বিচারের প্রতি তাঁদের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। শনিবার রায় ঘোষণার পরপরই কায়রোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ২০১১ সালে মোবারকবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু তাহরির স্কয়ারের আশপাশে শনিবার হাজার হাজার মানুষ রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বিক্ষোভ-সহিংসতায় দুজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। গত রোববারও বিক্ষোভ হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট সিসির প্রতিক্রিয়া কী?
সিসির দপ্তর থেকে গত রোববার এক বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি আদালতের রায়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না। তবে তিনি নিহত বিক্ষোভকারীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও দেখাশোনা করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
হত্যার নির্দেশের অভিযোগ থেকে খালাস পেলেও গত মে মাসে দুর্নীতির দায়ে তিন বছরের সাজা হয় মোবারকের। তিনি ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে বন্দী আছেন। অর্থাৎ ইতিমধ্যে সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় তাঁকে বন্দী থাকতে হয়েছে। বন্দী থাকা এই দিনগুলো দুর্নীতির মামলার সাজা হিসেবে ধরা হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। তাই মোবারকের মুক্তির প্রশ্নে নিশ্চিত উত্তরও মিলছে না।
বিচারক কি হত্যার নির্দেশ থেকে মোবারককে পুরোপুরি মুক্তি দিয়েছেন?
বিচারক মাহমুদ আল-রাশিদি কৌশলগতভাবে মোবারককে খালাস দেন। বিচারক রায়ে বলেন, বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় প্রথমে মোবারকের নিরাপত্তাপ্রধানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে এতে মোবারকের নামও যুক্ত করা হয়, যা ঠিক হয়নি। এ কারণেই তাঁকে হত্যার অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে?
রায়ের বিরুদ্ধে মিসরের সর্বোচ্চ আইনি কর্তৃপক্ষ ‘কোর্ট অব ক্যাসেশন’-এ আপিল করা যাবে।
তাহলে ৮৪৬ জনকে হত্যার জন্য দায়ী কে?
ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৭০ জন পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হলেও সবাই খালাস পেয়েছেন। সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাব বা আত্মরক্ষায় গুলি চালানোয় তাঁদের খালাস দেওয়া হয়। তাই প্রশ্ন উঠেছে, এসব হত্যাকাণ্ডের দায় কার?
আদালতের সিদ্ধান্ত মিসরে কী প্রভাব ফেলবে?
এ প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করবে, কাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে তার ওপর। সরকারপন্থী গণমাধ্যমগুলোর দাবি, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই মোবারক খালাস পেয়েছেন। এখানে সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির কোনো প্রভাব নেই। কিন্তু সিসির হাতে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ও মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকেরা মনে করেন, হোসনি মোবারকের সরকারের সঙ্গে বর্তমান সরকারের পার্থক্য খুবই কম। এ ছাড়া এই রায়ের ফলে ২০১১ সালে মোবারক-বিরোধী আন্দোলেন মূল ভূমিকায় থাকা ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারপন্থীরা আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বেন।
রায়ে মিসরীয়দের প্রতিক্রিয়া কী?
২০১১ সালের পর থেকে মিসরীয়দের মূল উদ্বেগের বিষয় হলো তাঁদের নিরাপত্তা ও অর্থনীতি। এ কারণে মোবারকের বিচারের প্রতি তাঁদের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। শনিবার রায় ঘোষণার পরপরই কায়রোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ২০১১ সালে মোবারকবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু তাহরির স্কয়ারের আশপাশে শনিবার হাজার হাজার মানুষ রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বিক্ষোভ-সহিংসতায় দুজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। গত রোববারও বিক্ষোভ হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট সিসির প্রতিক্রিয়া কী?
সিসির দপ্তর থেকে গত রোববার এক বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি আদালতের রায়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না। তবে তিনি নিহত বিক্ষোভকারীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও দেখাশোনা করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
No comments