গণমাধ্যমকে আত্মনিয়ন্ত্রণ শিখতে হবে : গওহর
প্রধানমন্ত্রীর
আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, গণমাধ্যমকে
আত্মনিয়ন্ত্রণ শিখতে হবে। নিজেদেরকে নিজেদেরই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না
হলে অন্যরা নিয়ন্ত্রণ করবে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদেরও নিজেদের নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রফেশনের এথিকসের বাইরে গিয়ে কোনো সংবাদকর্মীর কাজ করা ঠিক নয়। এর ব্যত্যয় ঘটলেই নিজের উপর আঘাত আসে। সংবাদকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরো বলেন, সত্য যেদিকে নিয়ে যাবে, তাদের সেদিকে যেতে হবে। ড্রাম্যাটিক নিউজ দিলেই হবে না। তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে। তথ্য না থাকলে ওই সংবাদ প্রপাগান্ডা হয়ে যাবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার-২০১৪ প্রদান এবং ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতার সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
টিআইবি ধানমন্ডির দৃক গ্যালারিতে আজ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে সভাপতিত্ব করেন টিআইবি ট্রাস্টিবোর্ডের সভাপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় আরো বক্তৃতা করেন টিআইবি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের বার্তা প্রধান খালেদ মহিউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক আলমগীর স্বপন, বাংলা ভিশনের বার্তা সম্পাদক শারমিন রিনভী ও ৭১’ টেলিভিশনের প্রতিবেদক নাদিয়া শারমিন।
ড. রিজভী বলেন, গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না। সরকারের জবাবদিহিতা একমাত্র গণমাধ্যমই নিশ্চিত করতে পারে। তবে কোনো ধরণের হুমকি বা ভয়ের কাছে সারেন্ডার না করে সংবাদকর্মীদের কাজ করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, সভ্যতার ভিত্তি হচ্ছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। এতে বাধা দিলে কোন সমাজ উন্নত হতে পারে না। তাই কারো মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর সরকার বা অন্য কারো বাধা দেয়ার অধিকার নেই। প্রয়োজনে ওই মতামতের উপর অন্য কেউ চ্যালেঞ্জ করে দ্বিমত প্রকাশ করতে পারেন, কিন্তু বাধা দেয়ার অধিকার নেই।
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, তবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে কোনো ধর্ম বা সম্প্রদায়কে আঘাত দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করার অধিকারও কারো নেই।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে মিডিয়াকে ব্যবহার করে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যা এ প্রফেশনের এথিকসে কাম্য নয়। আর এ ঘটনায় তখন অনেক সংখ্যালঘুর উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।
ড. রিজভী বলেন, মিডিয়ার স্বাধীনতা এখন মালিকদের স্বাধীনতা হয়ে গেছে। মালিকদের স্বার্থ রা না করলে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের চাকরি হারাতে হয়। কোন সুবিধা ছাড়াই যখন-তখন তাদের বের করে দেয়া হয়। এটা মিডিয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যা।
তিনি বলেন, করপোরেট মালিকরা এভাবে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে সরকারের উপর অপ্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগ করতে চায়। সরকার এখানে কিছু করতে পারে না। কিছু করতে গেলে গণমাধ্যমের উপর হস্তেেপর অভিযোগ আনা হয়। তাই গণমাধ্যমকেই উদ্যোগ নিতে হবে কীভাবে করপোরেটদের কন্ট্রোল কমানো যায়।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি গওহর রিজভী সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য তিন সংবাদকর্মী ও তিন ক্যামেরা পারসনকে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন।
এ বছর টিআইবির সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পুরস্কার পেয়েছেন এইচএম আলাউদ্দিন (দৈনিক পূর্বাচল), অরূপ রায় (প্রথম আলো) ও সাজ্জাদ পারভেজ (যমুনা টিভি)।
সূত্র : বাসস।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদেরও নিজেদের নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রফেশনের এথিকসের বাইরে গিয়ে কোনো সংবাদকর্মীর কাজ করা ঠিক নয়। এর ব্যত্যয় ঘটলেই নিজের উপর আঘাত আসে। সংবাদকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরো বলেন, সত্য যেদিকে নিয়ে যাবে, তাদের সেদিকে যেতে হবে। ড্রাম্যাটিক নিউজ দিলেই হবে না। তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে। তথ্য না থাকলে ওই সংবাদ প্রপাগান্ডা হয়ে যাবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার-২০১৪ প্রদান এবং ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতার সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
টিআইবি ধানমন্ডির দৃক গ্যালারিতে আজ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে সভাপতিত্ব করেন টিআইবি ট্রাস্টিবোর্ডের সভাপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় আরো বক্তৃতা করেন টিআইবি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের বার্তা প্রধান খালেদ মহিউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক আলমগীর স্বপন, বাংলা ভিশনের বার্তা সম্পাদক শারমিন রিনভী ও ৭১’ টেলিভিশনের প্রতিবেদক নাদিয়া শারমিন।
ড. রিজভী বলেন, গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকবে না। সরকারের জবাবদিহিতা একমাত্র গণমাধ্যমই নিশ্চিত করতে পারে। তবে কোনো ধরণের হুমকি বা ভয়ের কাছে সারেন্ডার না করে সংবাদকর্মীদের কাজ করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, সভ্যতার ভিত্তি হচ্ছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। এতে বাধা দিলে কোন সমাজ উন্নত হতে পারে না। তাই কারো মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর সরকার বা অন্য কারো বাধা দেয়ার অধিকার নেই। প্রয়োজনে ওই মতামতের উপর অন্য কেউ চ্যালেঞ্জ করে দ্বিমত প্রকাশ করতে পারেন, কিন্তু বাধা দেয়ার অধিকার নেই।
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, তবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে কোনো ধর্ম বা সম্প্রদায়কে আঘাত দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করার অধিকারও কারো নেই।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে মিডিয়াকে ব্যবহার করে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যা এ প্রফেশনের এথিকসে কাম্য নয়। আর এ ঘটনায় তখন অনেক সংখ্যালঘুর উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।
ড. রিজভী বলেন, মিডিয়ার স্বাধীনতা এখন মালিকদের স্বাধীনতা হয়ে গেছে। মালিকদের স্বার্থ রা না করলে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের চাকরি হারাতে হয়। কোন সুবিধা ছাড়াই যখন-তখন তাদের বের করে দেয়া হয়। এটা মিডিয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যা।
তিনি বলেন, করপোরেট মালিকরা এভাবে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে সরকারের উপর অপ্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগ করতে চায়। সরকার এখানে কিছু করতে পারে না। কিছু করতে গেলে গণমাধ্যমের উপর হস্তেেপর অভিযোগ আনা হয়। তাই গণমাধ্যমকেই উদ্যোগ নিতে হবে কীভাবে করপোরেটদের কন্ট্রোল কমানো যায়।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি গওহর রিজভী সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য তিন সংবাদকর্মী ও তিন ক্যামেরা পারসনকে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন।
এ বছর টিআইবির সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পুরস্কার পেয়েছেন এইচএম আলাউদ্দিন (দৈনিক পূর্বাচল), অরূপ রায় (প্রথম আলো) ও সাজ্জাদ পারভেজ (যমুনা টিভি)।
সূত্র : বাসস।
No comments