জিডির তদন্তে ১৬৪ দিন
কম্পিউটারের জন্য ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন
না আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগের প্রসিকিউটর
ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ। অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মতো স্পর্শকাতর একটি
বিভাগ থেকে তার চালিত কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তিনি
২২ জুন রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এই জিডির
তদন্ত শাহবাগ থানা থেকে ডিবি পুলিশের হাতে আসে। কিন্তু ১৬৪ দিন পার হলেও
কোনো কূল-কিনারা হয়নি। একই সঙ্গে সিপিউর হার্ডডিস্কের সংযোগ
বিচ্ছিন্নকারীদের কাউকেই এখনও গোয়েন্দা পুলিশ আইনের আওতায় আনতে পারেনি। তাই
গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এ ঘটনার তদন্ত ঢিমেতালে হওয়া নিয়ে প্রশ্ন
ওঠেছে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ যুগান্তরকে বলেন, ‘এটি দুর্ভাগ্যজনক একটি বিষয় যে- একটি জিডির তদন্ত করতে আজ মাসের পর মাস পার হয়ে যাচ্ছে। অথচ কোনো কিনারা হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, আমি কম্পিউটারের জন্য ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। আমার ওই কম্পিউটারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছে যা নখদর্পণে ছিল। অফিসে এসে অন্য কম্পিউটারে কাজ করলেও সেখানে সব ধরনের তথ্য মজুদ নেই।’
ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ যুগান্তরকে আরও বলেন, ‘আমি বিষয়টি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধানকেও জানিয়েছি। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।’ ব্যারিস্টার ড. তুরিন বলেন, ‘আমার কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতেই সিপিউর হার্ডডিস্কের সংযোগ খোলা হয়েছিল। এ ধরনের চাঞ্চল্যকর ঘটনার তদন্ত দ্রুত করা প্রয়োজন হলেও অজ্ঞাত কারণে তা ঢিমেতালে হচ্ছে। যা রহস্যজনক বলেও মনে করেন এই আইনজ্ঞ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজের ওই কম্পিউটারটি পাসওয়ার্ড দিয়ে সংরক্ষিত ছিল। তিনি ১৫ থেকে ১৯ জুন তিনি ছুটিতে ছিলেন। ছুটি শেষে ২২ জুন অফিসে যোগদান করে তার কম্পিউটর ও প্রিন্টারসহ সরঞ্জামাদি এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পান। ব্যারিস্টার তুরিন পরে তার অফিস স্টাফ (এমএলএসএস) আশিক ও হারুনসহ কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে সবার উপস্থিতিতে সিপিইউর হার্ডডিস্কসহ সব তার খোলা পেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে জিডি করেন। ভয়াবহ ক্ষতির আশংকায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় ২২ জুন একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইন্সপেক্টর ফজলুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, তারা জিডির তদন্ত করছেন। কিন্তু তা এখনও তদন্তাধীন আছে। সিআইডির বিশেষজ্ঞ দলের কাছে ব্যারিস্টার তুরিনের কম্পিউটারের সিপিইউর হার্ডডিস্ক পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে এখনও কোনো ধরনের বিশেষজ্ঞ মতামত মেলেনি। তাই তদন্ত যেখানে ছিল সেখানেই আছে। ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিআইডির যে টিমের কাছে ‘বিশেষজ্ঞ মতামতের’ জন্য হার্ডডিস্ক দেয়া হয় তারাই বিলম্ব করেছে। টিমের একজন সদস্য দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে ছিলেন। এদিকে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ জানায়, এ ধরনের তদন্তে সময় লাগে। কারণ বেশি ডাটা থাকলে অ্যানালাইসিসে বেশি সময় লেগে যায়।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) কৃষ্ণপদ রায় যুগান্তরকে বলেন, সিআইডির কাছ থেকে বিশেষজ্ঞ মতামত পেলে তা তদন্তে সহায়ক হতো। এটির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। হার্ডডিস্ক থেকে তথ্য কপি বা খোয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেলে আমাদের কাছে থাকা তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে সন্দেহভাজনদের আইনের আওতায় এনে রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে বলেছে, প্রসিকিউটর তুরিনের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তার কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কপি করতে বা মুছে ফেলতে কোনো চক্র হার্ডডিস্কের সংযোগ খুলেছে। অবশ্য যুগান্তরের কাছেও এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রসিকিউটর তুরিন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই কম্পিউটারে মামলাসংক্রান্ত ও তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি ছিল। স্পর্শকাতর বিচারাধীন মামলার তথ্য ছাড়াও জামায়াতের বিচারের জন্য সাক্ষীদের তালিকাও সংরক্ষণ ছিল সেখানে। জুন মাসে হার্ডডিস্কের সংযোগ তছনছের ৭০ দিন পর ২৭ আগস্ট রাজধানীর রাজারবাগের বাসায় খুন হন মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী। তিনি জামায়াতের বিচারের সাক্ষীদের মধ্যে ইসলামিক চিন্তাবিদ তালিকায় ছিলেন।
জানতে চাইলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক) রেজাউল হায়দার যুগান্তরকে বলেন, প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ব্যবহত কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের প্রযুক্তিগত তদন্তে সবিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। টেকনোলজিকাল কারণে একটু সময় লাগছে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ যুগান্তরকে বলেন, ‘এটি দুর্ভাগ্যজনক একটি বিষয় যে- একটি জিডির তদন্ত করতে আজ মাসের পর মাস পার হয়ে যাচ্ছে। অথচ কোনো কিনারা হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, আমি কম্পিউটারের জন্য ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। আমার ওই কম্পিউটারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছে যা নখদর্পণে ছিল। অফিসে এসে অন্য কম্পিউটারে কাজ করলেও সেখানে সব ধরনের তথ্য মজুদ নেই।’
ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ যুগান্তরকে আরও বলেন, ‘আমি বিষয়টি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধানকেও জানিয়েছি। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।’ ব্যারিস্টার ড. তুরিন বলেন, ‘আমার কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতেই সিপিউর হার্ডডিস্কের সংযোগ খোলা হয়েছিল। এ ধরনের চাঞ্চল্যকর ঘটনার তদন্ত দ্রুত করা প্রয়োজন হলেও অজ্ঞাত কারণে তা ঢিমেতালে হচ্ছে। যা রহস্যজনক বলেও মনে করেন এই আইনজ্ঞ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজের ওই কম্পিউটারটি পাসওয়ার্ড দিয়ে সংরক্ষিত ছিল। তিনি ১৫ থেকে ১৯ জুন তিনি ছুটিতে ছিলেন। ছুটি শেষে ২২ জুন অফিসে যোগদান করে তার কম্পিউটর ও প্রিন্টারসহ সরঞ্জামাদি এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পান। ব্যারিস্টার তুরিন পরে তার অফিস স্টাফ (এমএলএসএস) আশিক ও হারুনসহ কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে সবার উপস্থিতিতে সিপিইউর হার্ডডিস্কসহ সব তার খোলা পেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে জিডি করেন। ভয়াবহ ক্ষতির আশংকায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় ২২ জুন একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইন্সপেক্টর ফজলুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, তারা জিডির তদন্ত করছেন। কিন্তু তা এখনও তদন্তাধীন আছে। সিআইডির বিশেষজ্ঞ দলের কাছে ব্যারিস্টার তুরিনের কম্পিউটারের সিপিইউর হার্ডডিস্ক পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে এখনও কোনো ধরনের বিশেষজ্ঞ মতামত মেলেনি। তাই তদন্ত যেখানে ছিল সেখানেই আছে। ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিআইডির যে টিমের কাছে ‘বিশেষজ্ঞ মতামতের’ জন্য হার্ডডিস্ক দেয়া হয় তারাই বিলম্ব করেছে। টিমের একজন সদস্য দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে ছিলেন। এদিকে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ জানায়, এ ধরনের তদন্তে সময় লাগে। কারণ বেশি ডাটা থাকলে অ্যানালাইসিসে বেশি সময় লেগে যায়।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) কৃষ্ণপদ রায় যুগান্তরকে বলেন, সিআইডির কাছ থেকে বিশেষজ্ঞ মতামত পেলে তা তদন্তে সহায়ক হতো। এটির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। হার্ডডিস্ক থেকে তথ্য কপি বা খোয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেলে আমাদের কাছে থাকা তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে সন্দেহভাজনদের আইনের আওতায় এনে রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে বলেছে, প্রসিকিউটর তুরিনের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তার কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কপি করতে বা মুছে ফেলতে কোনো চক্র হার্ডডিস্কের সংযোগ খুলেছে। অবশ্য যুগান্তরের কাছেও এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রসিকিউটর তুরিন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই কম্পিউটারে মামলাসংক্রান্ত ও তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি ছিল। স্পর্শকাতর বিচারাধীন মামলার তথ্য ছাড়াও জামায়াতের বিচারের জন্য সাক্ষীদের তালিকাও সংরক্ষণ ছিল সেখানে। জুন মাসে হার্ডডিস্কের সংযোগ তছনছের ৭০ দিন পর ২৭ আগস্ট রাজধানীর রাজারবাগের বাসায় খুন হন মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী। তিনি জামায়াতের বিচারের সাক্ষীদের মধ্যে ইসলামিক চিন্তাবিদ তালিকায় ছিলেন।
জানতে চাইলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক) রেজাউল হায়দার যুগান্তরকে বলেন, প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ব্যবহত কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের প্রযুক্তিগত তদন্তে সবিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। টেকনোলজিকাল কারণে একটু সময় লাগছে।
No comments