বিশ্বব্যাংকের ৫১৬ কোটি টাকা প্রত্যাহার
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়া ও
নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগে বিশ্বব্যাংক ওয়াসার একটি প্রকল্প থেকে ৫১৬ কোটি
টাকা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন
শীর্ষক ওয়াসার প্রকল্প থেকে সংস্থাটি এ অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। ৫ বছর মেয়াদি এ
প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংক যে ঋণ দিয়েছিল তার অর্ধেকই ফিরিয়ে নেয়ায় এর
ব্যয় কমে যাচ্ছে। ফলে প্রকল্পের আকারও ছোট হচ্ছে। এদিকে প্রকল্পটির মেয়াদ
শেষ হয়ে যাওয়ায়, এর সময় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে আজ
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় ব্যয় কমিয়ে
প্রকল্পেও মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। পরিকল্পনা কমিশন
সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, রাজধানীবাসীর জন্য পানি সরবরাহ
ও স্যানিটেশন সমস্যা কমিয়ে আনতে ২০০৮ সালে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।
২০১৩-এর জুন নাগাদ এর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা
হয়েছিল ১ হাজার ১৬০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ ছিল ১
হাজার ৪৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। বাকি অর্থ সরকারি তহবিল থেকে জোগান দেয়ার কথা।
বিশ্বব্যাংক ৫১৬ কোটি টাকা ফেরত নেয়ায় প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৬৪৪ কোটি
১২ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় বিশ্বব্যাংক এ খাতে তাদের ঋণের প্রায় অর্ধেকই বাতিল করে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের তারা যে মাস্টার প্ল্যান দিয়েছিল, সেখানেও পরিবর্তন করা হয়েছে। এ কারণে ব্যয়েও হ্রাস-বৃদ্ধি হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনা ছাড়াই কাজগুলো করা হয়। যে বিষয়গুলো সংযোজন বা বিয়োজন হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- স্যুয়ার মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন কাজ। মাস্টার প্ল্যানের সুপারিশ অনুযায়ী অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কাজগুলোর নকশা প্রণয়ন, দরপত্র দলিল প্রস্তুতের কাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা মেহরিন এ মাহবুব বলেন,এটি স্লো মুভিং প্রকল্প হওয়ায় বাস্তবায়নে সময় কম থাকায় কিছু কিছু অংশ বাদ দেয়া হয়েছে। তবে মূল প্রকল্পের কাজ চলছে।
সূত্র জানায়, প্রকল্পের অন্য একটি প্রধান অঙ্গ ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন। এর আওতায় রামপুরা ও কমলাপুরে দুটি বড় ধরনের স্টর্ম ওয়াটার পাম্প স্টেশন নির্মাণ এবং নগরীর নিষ্কাশন খালগুলো পুনর্বাসন ও উন্নয়নের কাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে এগুলো বাস্তবায়নাধীন আছে। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী দুই ধাপের দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগের কাজটি শেষ করতে ২ বছরেরও অধিক সময় লাগে। এতে কাজের গতি কমে যায়। ২০১২-এর ডিসেম্বরে কাজগুলোর চুক্তি কার্যকর হয়। এতে কাজ দুটি ১৩ সালের জুনের মধ্যে শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এ কারণে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।
সংশোধনী প্রস্তাব বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আরাস্তু খান জানান, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা মহানগরীর নির্ধারিত স্থানে ওয়াটার ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। এছাড়া ঢাকার স্যানিটেশন পরিকল্পনার উন্নয়নে এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে বিধায় প্রকল্পটির সংশোধন অনুমোদন বিবেচনাযোগ্য। তাই একনেকে অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও আয়তন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশনের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পর্যন্ত নগরীর মাত্র ৩৮ শতাংশ লোককে ড্রেনেজ সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। শহরের অনেক এলাকায় নিুআয়ের লোকজন এখনও পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সুবিধাদি পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০০৫ থেকে ০৮ সালে প্রজেক্ট প্রিপারেশন ফ্যাসিলিটিজের আওতায় সমীক্ষা পরিচালিত হয়।
ওই সমীক্ষার সুপারিশ ও বাস্তবতার নিরিখে ঢাকা শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার পুনর্বাসন ও উন্নয়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন শীর্ষক মূল প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়নের জন্য০৮ সালের ২৩ অক্টোবর একনেকে অনুমোদিত হয় এবং ০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রকল্পটি স্যুয়ার কম্পোনেন্টের ভৌত কাজ সম্পন্ন করতে ৩ থেকে ৪ বছর সময় প্রয়োজন হবে এবং তা কোনোভাবেই প্রকল্প মেয়াদের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার নয়। এর ফলে স্যুয়ার কম্পোনেন্টের পরিকল্পনা খাতে কিছু বরাদ্দ রেখে মূল প্রকল্পের উন্নয়ন ও পুনর্বাসন কাজ প্রকল্প থেকে বাদ দিয়ে প্রকল্পটির অনুকূলে বিশ্বব্যাংকের ঋণ ১৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নির্ধারণ করা হয়। যাতে প্রকল্পের মেয়াদকাল নভেম্বর ০৮ হতে ডিসেম্বর ১৫ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এ অবস্থায় প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রক্রিয়াকরণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব প্রেরণ করেছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত মে মাসে প্রকল্পটির ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে দুটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইএমইডি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) প্রকল্পটির ওপর একটি প্রাথমিক মূল্যায়ন রিপোর্ট পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করে এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের প্রধানকে আহ্বায়ক করে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি প্রকল্পটির কার্যক্রমগুলো পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করে। পিইসি সভার সুপারিশ আইএমডির মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে প্রকল্পটির পুনর্গঠিত ডিপিপি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় বিশ্বব্যাংক এ খাতে তাদের ঋণের প্রায় অর্ধেকই বাতিল করে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের তারা যে মাস্টার প্ল্যান দিয়েছিল, সেখানেও পরিবর্তন করা হয়েছে। এ কারণে ব্যয়েও হ্রাস-বৃদ্ধি হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনা ছাড়াই কাজগুলো করা হয়। যে বিষয়গুলো সংযোজন বা বিয়োজন হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- স্যুয়ার মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন কাজ। মাস্টার প্ল্যানের সুপারিশ অনুযায়ী অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কাজগুলোর নকশা প্রণয়ন, দরপত্র দলিল প্রস্তুতের কাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা মেহরিন এ মাহবুব বলেন,এটি স্লো মুভিং প্রকল্প হওয়ায় বাস্তবায়নে সময় কম থাকায় কিছু কিছু অংশ বাদ দেয়া হয়েছে। তবে মূল প্রকল্পের কাজ চলছে।
সূত্র জানায়, প্রকল্পের অন্য একটি প্রধান অঙ্গ ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন। এর আওতায় রামপুরা ও কমলাপুরে দুটি বড় ধরনের স্টর্ম ওয়াটার পাম্প স্টেশন নির্মাণ এবং নগরীর নিষ্কাশন খালগুলো পুনর্বাসন ও উন্নয়নের কাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে এগুলো বাস্তবায়নাধীন আছে। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী দুই ধাপের দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগের কাজটি শেষ করতে ২ বছরেরও অধিক সময় লাগে। এতে কাজের গতি কমে যায়। ২০১২-এর ডিসেম্বরে কাজগুলোর চুক্তি কার্যকর হয়। এতে কাজ দুটি ১৩ সালের জুনের মধ্যে শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এ কারণে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।
সংশোধনী প্রস্তাব বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আরাস্তু খান জানান, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা মহানগরীর নির্ধারিত স্থানে ওয়াটার ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। এছাড়া ঢাকার স্যানিটেশন পরিকল্পনার উন্নয়নে এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে বিধায় প্রকল্পটির সংশোধন অনুমোদন বিবেচনাযোগ্য। তাই একনেকে অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও আয়তন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশনের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পর্যন্ত নগরীর মাত্র ৩৮ শতাংশ লোককে ড্রেনেজ সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। শহরের অনেক এলাকায় নিুআয়ের লোকজন এখনও পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সুবিধাদি পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০০৫ থেকে ০৮ সালে প্রজেক্ট প্রিপারেশন ফ্যাসিলিটিজের আওতায় সমীক্ষা পরিচালিত হয়।
ওই সমীক্ষার সুপারিশ ও বাস্তবতার নিরিখে ঢাকা শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার পুনর্বাসন ও উন্নয়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন শীর্ষক মূল প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়নের জন্য০৮ সালের ২৩ অক্টোবর একনেকে অনুমোদিত হয় এবং ০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রকল্পটি স্যুয়ার কম্পোনেন্টের ভৌত কাজ সম্পন্ন করতে ৩ থেকে ৪ বছর সময় প্রয়োজন হবে এবং তা কোনোভাবেই প্রকল্প মেয়াদের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার নয়। এর ফলে স্যুয়ার কম্পোনেন্টের পরিকল্পনা খাতে কিছু বরাদ্দ রেখে মূল প্রকল্পের উন্নয়ন ও পুনর্বাসন কাজ প্রকল্প থেকে বাদ দিয়ে প্রকল্পটির অনুকূলে বিশ্বব্যাংকের ঋণ ১৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নির্ধারণ করা হয়। যাতে প্রকল্পের মেয়াদকাল নভেম্বর ০৮ হতে ডিসেম্বর ১৫ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এ অবস্থায় প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রক্রিয়াকরণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব প্রেরণ করেছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত মে মাসে প্রকল্পটির ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে দুটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইএমইডি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) প্রকল্পটির ওপর একটি প্রাথমিক মূল্যায়ন রিপোর্ট পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করে এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের প্রধানকে আহ্বায়ক করে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি প্রকল্পটির কার্যক্রমগুলো পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করে। পিইসি সভার সুপারিশ আইএমডির মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে প্রকল্পটির পুনর্গঠিত ডিপিপি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে।
No comments