তাঁকে খেল না অ্যানাকোন্ডা
পল রোজোলি |
ইচ্ছা ছিল অ্যানাকোন্ডার খাবার হয়ে ঢুকবেন তার পেটে। সারা বিশ্ব দেখবে সেই দৃশ্য। কিন্তু হল না, অ্যানাকোন্ডা খেল না তাঁকে। ধ্বংসের হাত থেকে আমাজন বন রক্ষায় বিশ্ববাসীকে আগ্রহী করতে এমন উদ্ভট পরিকল্পনায় করেছিলেন মার্কিন প্রকৃতিবিদ পল রোজোলি। পরিকল্পনা মতো জীবন্তই অ্যানাকোন্ডার পেটে ঢুকতে প্রস্তুত হলেন রোজোলি। পুরো ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণের প্রস্তুতিও নেওয়া হলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে পেটে ভরেনি অ্যানাকোন্ডা। ফলে ওই সাপের জীবন্ত মানুষ ভক্ষণের দৃশ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে দর্শকেরা। তবে সাপের সঙ্গে রোজোলির ভয়ংকর সংগ্রামের দৃশ্য দেখার সুযোগ পেয়েছে তারা। খবর এএফপির। (অ্যানাকোন্ডার সঙ্গে পল রোজোলির ধস্তাধস্তির একটি মুহূর্ত। তাঁর ফেসবুকে প্রকাশিত ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি)
সাপটি রোজোলিকে গিলে ফেলার পরিবর্তে তাঁর পুরো শরীর পেঁচিয়ে ধরে। সাধারণত কোনো খাবার শিকার ধরে পেটে ভরার আগে এটাই করে থাকে অ্যানাকোন্ডা। পেঁচিয়ে ধরায় রোজোলির জন্য পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কারণ, তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁর ডাকে সহযোগীরা চলে আসায় রোজোলি প্রাণে বেঁচে গেছেন।
রোজোলি জানিয়েছেন, আমাজন রক্ষায় এক দশক ধরে কাজ করতে গিয়েই তাঁর মাথায় ওই পরিকল্পনা আসে। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সবাই জানে আমাজন শেষ হয়ে যাচ্ছে। সবাই বলবে, এই বনের গুরুত্ব কত। কিন্তু আজ পর্যন্ত লোকজন এদিকে যথেষ্ট দৃষ্টি দিচ্ছে না।’
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রোজোলির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দম বন্ধ হওয়া এড়াতে তাঁকে কার্বন ফাইবার ব্যবহার করে বিশেষভাবে নির্মিত স্যুট দিয়ে মুড়িয়ে দেন বিশেষজ্ঞরা। তার সঙ্গে যুক্ত ছিল শ্বাস গ্রহণের ব্যবস্থাও। আরও ছিল কয়েকটি ক্যামেরা এবং সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগের একটি পদ্ধতি।
সরঞ্জামগুলো সঙ্গে নিয়ে আমাজনে অ্যানাকোন্ডার সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে রোজোলির দলটি। টানা ৬০ দিন হন্যে হয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে একটি স্ত্রী অ্যানাকোন্ডা পান তাঁরা, যেটি লম্বায় ছিল ২০ ফুট। রোজোলি বলেন, ‘আমি যখন সাপটির কাছে গেলাম, সেটি আমাকে খাওয়ার চেষ্টাই করল না। বরং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল। আমি যখন কিছুটা উসকানি দিলাম; কিছুটা শিকারির মতো আচরণ করলাম, তাতে কাজ হলো। সাপটি ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করল।’
এরপর সাপটি রোজোলিকে আক্রমণ করে। তবে তাঁকে পুরোপুরি গিলে না ফেলে তাঁর পুরো শরীর পেঁচিয়ে ধরে। রোজোলি জানান, সাপটি তাঁকে এত শক্ত করে পেঁচিয়ে ধরে যে, একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল তাঁর হাত ভেঙে যেতে পারে। পাশাপাশি রোজোলির শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল এবং হৃৎস্পন্দন কমে আসছিল। ভয় পেয়ে গিয়ে তিনি সহযোগীদের কাছে সাহায্য চান। তাঁরা এলে সাপটি রোজোলিকে ফেলে পালিয়ে যায়।
সাপটি রোজোলিকে গিলে ফেলার পরিবর্তে তাঁর পুরো শরীর পেঁচিয়ে ধরে। সাধারণত কোনো খাবার শিকার ধরে পেটে ভরার আগে এটাই করে থাকে অ্যানাকোন্ডা। পেঁচিয়ে ধরায় রোজোলির জন্য পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কারণ, তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁর ডাকে সহযোগীরা চলে আসায় রোজোলি প্রাণে বেঁচে গেছেন।
রোজোলি জানিয়েছেন, আমাজন রক্ষায় এক দশক ধরে কাজ করতে গিয়েই তাঁর মাথায় ওই পরিকল্পনা আসে। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সবাই জানে আমাজন শেষ হয়ে যাচ্ছে। সবাই বলবে, এই বনের গুরুত্ব কত। কিন্তু আজ পর্যন্ত লোকজন এদিকে যথেষ্ট দৃষ্টি দিচ্ছে না।’
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রোজোলির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দম বন্ধ হওয়া এড়াতে তাঁকে কার্বন ফাইবার ব্যবহার করে বিশেষভাবে নির্মিত স্যুট দিয়ে মুড়িয়ে দেন বিশেষজ্ঞরা। তার সঙ্গে যুক্ত ছিল শ্বাস গ্রহণের ব্যবস্থাও। আরও ছিল কয়েকটি ক্যামেরা এবং সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগের একটি পদ্ধতি।
সরঞ্জামগুলো সঙ্গে নিয়ে আমাজনে অ্যানাকোন্ডার সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে রোজোলির দলটি। টানা ৬০ দিন হন্যে হয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে একটি স্ত্রী অ্যানাকোন্ডা পান তাঁরা, যেটি লম্বায় ছিল ২০ ফুট। রোজোলি বলেন, ‘আমি যখন সাপটির কাছে গেলাম, সেটি আমাকে খাওয়ার চেষ্টাই করল না। বরং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল। আমি যখন কিছুটা উসকানি দিলাম; কিছুটা শিকারির মতো আচরণ করলাম, তাতে কাজ হলো। সাপটি ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করল।’
এরপর সাপটি রোজোলিকে আক্রমণ করে। তবে তাঁকে পুরোপুরি গিলে না ফেলে তাঁর পুরো শরীর পেঁচিয়ে ধরে। রোজোলি জানান, সাপটি তাঁকে এত শক্ত করে পেঁচিয়ে ধরে যে, একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল তাঁর হাত ভেঙে যেতে পারে। পাশাপাশি রোজোলির শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল এবং হৃৎস্পন্দন কমে আসছিল। ভয় পেয়ে গিয়ে তিনি সহযোগীদের কাছে সাহায্য চান। তাঁরা এলে সাপটি রোজোলিকে ফেলে পালিয়ে যায়।
No comments