মৃত্যুর পর স্বজনরা উধাও
তরুণীর লাশটি হাসপাতালে পড়ে আছে। মৃত্যুর আগে তার সঙ্গে বোন ও ভগ্নিপতি পরিচয়ে দু’জন ছিলেন। বারবার মোবাইল ফোনে তার প্রেমিক খবর নিয়েছেন। কিন্তু মৃত্যুর পর তরুণীর কোন স্বজনকেই পাওয়া যাচ্ছে না। কে এই তরুণী? তার পুরো পরিচয়ও জানা যায়নি। তবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবন্ধন খাতায় তার নাম মোসাম্মৎ রেখা আক্তার (২০) লেখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ১০টায় হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ১১ নম্বর ইউনিটের ৩২ নম্বর শয্যায় মারা যান তিনি। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোববার সকাল পৌনে ১১টায় তাকে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর পর তার কোন স্বজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মুশফিকুর রহমান জানান, স্বজনদের খোঁজ করা হচ্ছে। নিহতের লাশটি হাসপাতালের লাশ সংরক্ষণাগারে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তির সময় তার সঙ্গে ছিলেন এক মধ্যবয়সী পুরুষ। নিজেকে তিনি আবুল কালাম নামে পরিচয় দিয়েছেন। হাসপাতালের নিবন্ধন খাতায় নিহত রেখার সম্পূর্ণ ঠিকানা নেই। এতে লেখানো হয়েছে কুড়িল, বিশ্বরোড, ঢাকা। হাসপাতালে রেখা যে শয্যায় থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এর পাশের শয্যার রোগী আনোয়ার হোসেন জানান, আবুল কালাম রেখার ভগ্নিপতি ও তার স্ত্রী রেখার বোন বলে তিনি জেনেছেন। রেখার ইসিজি করানোর টাকা ছিল না আবুল কালামের কাছে। তিনি টাকা সংগ্রহের কথা বলে বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে তার স্ত্রীকেও আর দেখা যায়নি। ওয়ার্ডের নার্স সান্ত্বনা রানী জানান, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে রেখাকে ইসিজি করার কথা বলার পর আবুল কালাম ও তার স্ত্রীকে আর পাওয়া যায়নি। রেখার সঙ্গে একটি মোবাইফোন রয়েছে। ওই ফোনে সংরক্ষিত বিভিন্ন ফোন নম্বরে কল দিলেও কেউ তার স্বজন বলে দাবি করছেন না। এমনকি তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাও কেউ বলতে পারছেন না। তবে সবুজ নামে পিরোজপুরের এক ব্যক্তি নিজেকে নির্মাণ শ্রমিক পরিচয় দিয়ে জানিয়েছেন, রেখার সঙ্গে তার ফোনে পরিচয়। পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক। ফোনেই রেখার সঙ্গে কথা হতো তার। কখনও রেখাকে দেখেননি সবুজ। এমনকি তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাও তার জানা নেই। তবে রেখা একজন গৃহপরিচারিকা বলে জানান তিনি। রেখা রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক বাড়িতে কর্মরত ছিলেন।
হাসপাতালে ভর্তির সময় তার সঙ্গে ছিলেন এক মধ্যবয়সী পুরুষ। নিজেকে তিনি আবুল কালাম নামে পরিচয় দিয়েছেন। হাসপাতালের নিবন্ধন খাতায় নিহত রেখার সম্পূর্ণ ঠিকানা নেই। এতে লেখানো হয়েছে কুড়িল, বিশ্বরোড, ঢাকা। হাসপাতালে রেখা যে শয্যায় থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এর পাশের শয্যার রোগী আনোয়ার হোসেন জানান, আবুল কালাম রেখার ভগ্নিপতি ও তার স্ত্রী রেখার বোন বলে তিনি জেনেছেন। রেখার ইসিজি করানোর টাকা ছিল না আবুল কালামের কাছে। তিনি টাকা সংগ্রহের কথা বলে বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে তার স্ত্রীকেও আর দেখা যায়নি। ওয়ার্ডের নার্স সান্ত্বনা রানী জানান, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে রেখাকে ইসিজি করার কথা বলার পর আবুল কালাম ও তার স্ত্রীকে আর পাওয়া যায়নি। রেখার সঙ্গে একটি মোবাইফোন রয়েছে। ওই ফোনে সংরক্ষিত বিভিন্ন ফোন নম্বরে কল দিলেও কেউ তার স্বজন বলে দাবি করছেন না। এমনকি তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাও কেউ বলতে পারছেন না। তবে সবুজ নামে পিরোজপুরের এক ব্যক্তি নিজেকে নির্মাণ শ্রমিক পরিচয় দিয়ে জানিয়েছেন, রেখার সঙ্গে তার ফোনে পরিচয়। পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক। ফোনেই রেখার সঙ্গে কথা হতো তার। কখনও রেখাকে দেখেননি সবুজ। এমনকি তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাও তার জানা নেই। তবে রেখা একজন গৃহপরিচারিকা বলে জানান তিনি। রেখা রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক বাড়িতে কর্মরত ছিলেন।
No comments