ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে ভাবতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
শীতকালের
মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি ভাবতে
বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে
‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০১৪’-এর খসড়ায় সিটি
করপোরেশন প্রশাসকদের মেয়াদ ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করার প্রস্তাব নিয়ে
আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। মন্ত্রিসভার কয়েক জন সিনিয়র সদস্যের
বিরোধিতার মুখে স্থানীয় সরকার বিভাগে উত্থাপিত প্রস্তাবটি আরও পর্যবেক্ষণের
জন্য ফেরত পাঠানো হয়। এ বিষয়ে নিয়মিত ব্রিফিং- এ মন্ত্রিপরিষদ সচিব
মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ অধ্যাদেশটি
উপস্থাপন করে। মন্ত্রিসভা মনে করে, এটি আরও গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা
দরকার। অন্যান্য বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পর্যালোচনা করে আবার নিয়ে
আসবে। মন্ত্রিসভার একজন সিনিয়র মন্ত্রী জানান, সিটি করপোরেশনের প্রশাসকদের
মেয়াদ ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করার প্রস্তাব পাঠায় স্থানীয় সরকার বিভাগ।
তখন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল
ইসলাম মাহমুদ মেয়াদ না বাড়ানোর পক্ষে মত দেন। তারা বলেন, এখন প্রশাসকদের
মেয়াদ ছয় মাসের বদলে এক বছর করা হলে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যাবে।
বিভিন্নজন নানা কথা বলবেন। ওই মন্ত্রী জানান, সিনিয়র মন্ত্রীদের এমন
বিরোধিতার মুখে প্রধানমন্ত্রী তাদের মতকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, প্রশাসকদের
মেয়াদ ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করা ঠিক হবে না। এটা বাদ দিন। শীতের মধ্যে
আগামী বছরের প্রথম দিকে ইলেকশন দিয়ে দিন। নির্বাচনে পাস-ফেল প্রসঙ্গে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাস-ফেল যা হওয়ার হবে। এদিকে মন্ত্রিসভার এমন
সিদ্ধান্তের কারণে দুই ডিসিসি’র প্রশাসকের মেয়াদ আর বাড়ছে না। মন্ত্রিপরিষদ
বৈঠক থেকে প্রস্তাব ফেরত যাওয়ায় তা আর বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
সর্বশেষ ২০০২ সালের ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে (ডিসিসি) সাদেক হোসেন খোকা মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালে। তখন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকায় মেয়াদ শেষ হলেও ডিসিসি নির্বাচন হয়নি। তৎকালীন সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত পূর্ববর্তী মেয়রের দায়িত্ব পালনের বিধান ছিল। সে অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ডিসিসি নির্বাচন না দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নামে ডিসিসিকে কার্যত দুই ভাগ করে ২০১১ সালের ২৯শে ডিসেম্বর। একই সঙ্গে আইন পরিবর্তন করে ছয় মাস মেয়াদে প্রশাসক নিয়োগের ব্যবস্থা করে। ২০০৩ সালের ৩রা ডিসেম্বর প্রথম দফায় প্রশাসক নিয়োগ হয়। এরপর থেকে বিভক্ত ডিসিসিতে চার দফা প্রশাসক বদল হয়ে পঞ্চম দফার প্রশাসকরাও মেয়াদ পূরণ করতে চলেছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠান না হওয়ায় ছয় মাস পর বারবার প্রশাসক পরিবর্তনের জায়গায় এক বছর করার জন্য ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০১৪’ উপস্থাপন হয়েছিল। তবে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশেনের নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এমন তাগিদের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মনজুর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সিটি করপোরেশন আইনটি সংশোধনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন হয়েছিল। তা ফেরত এসেছে। এখন আমরা সেটা মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা-পর্যালোচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেবো। এদিকে সীমানা জটিলতার দোহাই দিয়ে গত আট বছর ঢাকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে না। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বরাবরই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সীমানা নির্ধারণ করে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির কথা বলে আসছে। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।
মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে ‘তরুণ’ রেলমন্ত্রী
মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে ইয়াং (তরুণ) মন্ত্রীর খেতাব পেলেন ৬৭ বছর বয়সে সদ্য বিয়ের পিঁড়িতে বসা রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এনিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে গতকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে হঠাৎ করেই একজন মন্ত্রী জানতে চান, আমাদের মধ্যে সবচেয়ে তরুণ কে? মন্ত্রিসভার এক সদস্য জানান, মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে ইয়াং (তরুণ) কে- এ প্রশ্নের উত্তরে তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে ইয়াং মজিবুল হক। তিনি সবার শেষে বিয়ে করেছেন। তখন মন্ত্রিসভার সদস্যরা হাস্যরসে মেতে ওঠেন। এর আগে গত ৩১শে অক্টোবর কুমিল্লার চান্দিনার মীরাখলা গ্রামের হনুফা আক্তার রিক্তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। গায়ে হলুদ, বৌভাতসহ বিয়ের নানা আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে এখনও পর্যন্ত আলোচনায় আসছেন মুজিবুল হক। সর্বশেষ গত শনিবার বিয়ে উপলক্ষে প্রায় ৩০ হাজার এলাকাবাসীকে দাওয়াত করে খাইয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ২০০২ সালের ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে (ডিসিসি) সাদেক হোসেন খোকা মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালে। তখন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকায় মেয়াদ শেষ হলেও ডিসিসি নির্বাচন হয়নি। তৎকালীন সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত পূর্ববর্তী মেয়রের দায়িত্ব পালনের বিধান ছিল। সে অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ডিসিসি নির্বাচন না দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নামে ডিসিসিকে কার্যত দুই ভাগ করে ২০১১ সালের ২৯শে ডিসেম্বর। একই সঙ্গে আইন পরিবর্তন করে ছয় মাস মেয়াদে প্রশাসক নিয়োগের ব্যবস্থা করে। ২০০৩ সালের ৩রা ডিসেম্বর প্রথম দফায় প্রশাসক নিয়োগ হয়। এরপর থেকে বিভক্ত ডিসিসিতে চার দফা প্রশাসক বদল হয়ে পঞ্চম দফার প্রশাসকরাও মেয়াদ পূরণ করতে চলেছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠান না হওয়ায় ছয় মাস পর বারবার প্রশাসক পরিবর্তনের জায়গায় এক বছর করার জন্য ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০১৪’ উপস্থাপন হয়েছিল। তবে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশেনের নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এমন তাগিদের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মনজুর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সিটি করপোরেশন আইনটি সংশোধনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন হয়েছিল। তা ফেরত এসেছে। এখন আমরা সেটা মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা-পর্যালোচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেবো। এদিকে সীমানা জটিলতার দোহাই দিয়ে গত আট বছর ঢাকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে না। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বরাবরই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সীমানা নির্ধারণ করে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির কথা বলে আসছে। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।
মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে ‘তরুণ’ রেলমন্ত্রী
মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে ইয়াং (তরুণ) মন্ত্রীর খেতাব পেলেন ৬৭ বছর বয়সে সদ্য বিয়ের পিঁড়িতে বসা রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এনিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে গতকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে হঠাৎ করেই একজন মন্ত্রী জানতে চান, আমাদের মধ্যে সবচেয়ে তরুণ কে? মন্ত্রিসভার এক সদস্য জানান, মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে ইয়াং (তরুণ) কে- এ প্রশ্নের উত্তরে তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে ইয়াং মজিবুল হক। তিনি সবার শেষে বিয়ে করেছেন। তখন মন্ত্রিসভার সদস্যরা হাস্যরসে মেতে ওঠেন। এর আগে গত ৩১শে অক্টোবর কুমিল্লার চান্দিনার মীরাখলা গ্রামের হনুফা আক্তার রিক্তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। গায়ে হলুদ, বৌভাতসহ বিয়ের নানা আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে এখনও পর্যন্ত আলোচনায় আসছেন মুজিবুল হক। সর্বশেষ গত শনিবার বিয়ে উপলক্ষে প্রায় ৩০ হাজার এলাকাবাসীকে দাওয়াত করে খাইয়েছেন তিনি।
No comments