যৌন নির্যাতনের হুমকি দিয়েছে সিআইএ
আটক বন্দী, বিশেষ করে জঙ্গি সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য বের করতে নিষ্ঠুর সব কৌশল ব্যবহার করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ)। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাঁদের যৌন নির্যাতনের হুমকি দেওয়া হয়েছে, না ঘুমাতে দিয়ে দিনের পর দিন জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। কোনো তথ্য না পেয়েও বন্ধ হয়নি নির্যাতন। সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটির এক প্রতিবেদনে গোয়েন্দা সংস্থার এসব নির্যাতনের খবর জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, আজ কমিটির ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে ২০ জন বন্দীর সঙ্গে করা সিআইএর নির্যাতনের কথা জানানো হয়। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন ২০০০ সালে বোমা হামলার ঘটনায় আটক জ্যেষ্ঠ আল-কায়েদা নেতা আবদেল রহমান আল নাসিরি। আরেক বন্দী হলেন ওসামা বিন লাদেনের আল-কায়েদা দলের সদস্য সন্দেহে আটক ফিলিস্তিনি আবু জুবায়দাহ। কোনো বিরতি না দিয়ে তাঁকে পাঁচ দিন ধরে জাগিয়ে রাখা হয়। একটুও ঘুমাতে না দিয়ে চলতে থাকে জিজ্ঞাসাবাদ। এ সময় নানা অত্যাচার চলে তাঁর ওপর। প্রতিবেদনে আরও এক বন্দী বর্ণনা দিয়েছেন, কীভাবে সিআইএ কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাঁকে যৌন নির্যাতন করার হুমকি দেন।
প্রতিবেদনটি ছয় হাজার পৃষ্ঠার। এর মধ্যে ৫০০ পৃষ্ঠা প্রকাশ করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট বলেন, এ ধরনের আচরণ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মর্যাদাহানিকর। ৯/১১-এর হামলার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আটক জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় এসব আচরণ করার অনুমতি দেন। বুশের অনুমোদনেই হোয়াইট হাউস ও সিআইএ বন্দীদের ওপর এসব অত্যাচার চালাত বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আটক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার পক্ষে মত দেন।
সিআইএর নিপীড়নের এ খবর প্রকাশের বিরুদ্ধে ছিলেন রিপাবলিকানরা। এ ব্যাপারে রিপাবলিকান ও সিআইএ প্রবল আপত্তি জানায়। তবে ইনটেলিজেন্স কমিটির বেশির ভাগ সদস্য ডেমোক্র্যাট। তাঁরা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করার পক্ষে মত দেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট বলেন, ২০০৯ সালে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এসব অত্যাচার বন্ধ করার পক্ষে মত দেন।
২০০৯ সালে ওবামা জিজ্ঞাসাবাদের এসব কৌশল বাতিল করে দেন। তিনি বলেন, এসব কঠোর কৌশল প্রয়োগ করেও বন্দীদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য পায়নি সিআইএ। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মূলবোধকে নষ্ট করে এমন কৌশল বাদ দেওয়া উচিত।
ওই প্রতিবেদনে ২০ জন বন্দীর সঙ্গে করা সিআইএর নির্যাতনের কথা জানানো হয়। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন ২০০০ সালে বোমা হামলার ঘটনায় আটক জ্যেষ্ঠ আল-কায়েদা নেতা আবদেল রহমান আল নাসিরি। আরেক বন্দী হলেন ওসামা বিন লাদেনের আল-কায়েদা দলের সদস্য সন্দেহে আটক ফিলিস্তিনি আবু জুবায়দাহ। কোনো বিরতি না দিয়ে তাঁকে পাঁচ দিন ধরে জাগিয়ে রাখা হয়। একটুও ঘুমাতে না দিয়ে চলতে থাকে জিজ্ঞাসাবাদ। এ সময় নানা অত্যাচার চলে তাঁর ওপর। প্রতিবেদনে আরও এক বন্দী বর্ণনা দিয়েছেন, কীভাবে সিআইএ কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাঁকে যৌন নির্যাতন করার হুমকি দেন।
প্রতিবেদনটি ছয় হাজার পৃষ্ঠার। এর মধ্যে ৫০০ পৃষ্ঠা প্রকাশ করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট বলেন, এ ধরনের আচরণ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মর্যাদাহানিকর। ৯/১১-এর হামলার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আটক জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় এসব আচরণ করার অনুমতি দেন। বুশের অনুমোদনেই হোয়াইট হাউস ও সিআইএ বন্দীদের ওপর এসব অত্যাচার চালাত বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আটক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার পক্ষে মত দেন।
সিআইএর নিপীড়নের এ খবর প্রকাশের বিরুদ্ধে ছিলেন রিপাবলিকানরা। এ ব্যাপারে রিপাবলিকান ও সিআইএ প্রবল আপত্তি জানায়। তবে ইনটেলিজেন্স কমিটির বেশির ভাগ সদস্য ডেমোক্র্যাট। তাঁরা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করার পক্ষে মত দেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট বলেন, ২০০৯ সালে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এসব অত্যাচার বন্ধ করার পক্ষে মত দেন।
২০০৯ সালে ওবামা জিজ্ঞাসাবাদের এসব কৌশল বাতিল করে দেন। তিনি বলেন, এসব কঠোর কৌশল প্রয়োগ করেও বন্দীদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য পায়নি সিআইএ। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মূলবোধকে নষ্ট করে এমন কৌশল বাদ দেওয়া উচিত।
No comments