দুদক ও পুলিশের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে জনগণ : সাবেক প্রধান বিচারপতি
সাবেক
প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক বলেছেন, দিন
দিন দুদক এবং পুলিশের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছেন জনগণ। দুর্নীতিবাজদের
বিরুদ্ধে দুদকের উচিত জনগণকে দৃশ্যমান অ্যাকশন দেখানো। মঙ্গলবার দুপুরে
শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস
উপলক্ষে দুদক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা
বলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মাকসুদুল হাসান খানের
সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দুদকের ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান মো. সাহাবুদ্দিনু, দুদক কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ। বিচারপতি
খায়রুল হক বলেন, ডাকাতির ঘটনার পরেও মানুষ পুলিশের কাছে যেতে চায় না। কারণ
ডাকাত যা নেবার তো নিয়েছে, এখন আবার পুলিশকে দিতে হবে এবং নতুন করে নানা
হয়রানির শিকার হবার ভয়ে পুলিশকে এড়িয়ে যেতে চায়। একইভাবে বড় বড়
দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আসার পরও যখন তারা ছাড়া পেয়ে যায় এবং
ন্যায়বিচার জনগণ দেখতে পায় না, তখন জনগণ স্বাভাবিক কারণেই দুদকের প্রতি আর
আস্থা রাখতে পারছে না।
এ বি এম খায়রুল হক বলেন, মানুষ পুলিশের কাছে যেতে যেমন ভয় পায়, তেমনি দুদকে আসতেও ভয় পাচ্ছেন। ফলে জনগণ দুদকের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা দেখতে চায়। আর এ স্বচ্ছতার স্বার্থে দুদকের কার্যক্রম ওয়েভ সাইটে দেয়া উচিত। মানুষের সঙ্গে আচরনে দুদককে ডিগনিটি বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, দুর্নীতি মুক্ত ও আলোকিত দেশ গড়তে হলে, আগে নিজেদের দুর্নীতি মুক্ত হতে হবে। দুর্নীতিবাজরা কখনো দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়তে পারবে না।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমানকে পরামর্শ দিয়েছিলাম আদালতে কতিপয় দুর্নীতিপরায়ণ বেঞ্চ অফিসারকে ধরার জন্য। কিন্তু ভয়ে এ বিষয়ে অগ্রসর হননি দুদকের সাবেক চেয়ারম্যন। তিনি বলেন, দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা এবং আদালতে পিপিদের গাফেলতির কারণে বেশির ভাগ মামলা খারিজ হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ দুদকের মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিলে নানা অসংগতির এবং দীর্ঘসূত্রিতায় ন্যায় বিচার পাচ্ছে না ভিকটিমরা। এমনকি দীর্ঘসূত্রতার ফলে মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী আদালতে আসেন না।
দুদকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, টিআইবি কোনো বিশেষ গোষ্ঠির এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এরা ঘরের শক্র বিভীষণ। তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, দুদককে যে দায়মুক্তি কমিশন বলে আখ্যায়িত করেছেন তার প্রমাণ আপনাকে দিতে হবে। তিনি খালেদা জিয়াকে আয়নায় নিজের চেহারা দেখার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আপনার আমলেই বিশ্বে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ চাম্পিয়ন হয়েছিল।
এর আগে সকালে দুদক কার্যালয়ের সামন থেকে একটি র্যালি বের হয়ে কাকরাইল, নয়াপল্টন মোড়, বিজয়নগর, জাতীয় প্রেসকাবের সামনে গিয়ে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এ বি এম খায়রুল হক বলেন, মানুষ পুলিশের কাছে যেতে যেমন ভয় পায়, তেমনি দুদকে আসতেও ভয় পাচ্ছেন। ফলে জনগণ দুদকের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা দেখতে চায়। আর এ স্বচ্ছতার স্বার্থে দুদকের কার্যক্রম ওয়েভ সাইটে দেয়া উচিত। মানুষের সঙ্গে আচরনে দুদককে ডিগনিটি বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, দুর্নীতি মুক্ত ও আলোকিত দেশ গড়তে হলে, আগে নিজেদের দুর্নীতি মুক্ত হতে হবে। দুর্নীতিবাজরা কখনো দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়তে পারবে না।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমানকে পরামর্শ দিয়েছিলাম আদালতে কতিপয় দুর্নীতিপরায়ণ বেঞ্চ অফিসারকে ধরার জন্য। কিন্তু ভয়ে এ বিষয়ে অগ্রসর হননি দুদকের সাবেক চেয়ারম্যন। তিনি বলেন, দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা এবং আদালতে পিপিদের গাফেলতির কারণে বেশির ভাগ মামলা খারিজ হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ দুদকের মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিলে নানা অসংগতির এবং দীর্ঘসূত্রিতায় ন্যায় বিচার পাচ্ছে না ভিকটিমরা। এমনকি দীর্ঘসূত্রতার ফলে মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী আদালতে আসেন না।
দুদকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, টিআইবি কোনো বিশেষ গোষ্ঠির এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এরা ঘরের শক্র বিভীষণ। তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, দুদককে যে দায়মুক্তি কমিশন বলে আখ্যায়িত করেছেন তার প্রমাণ আপনাকে দিতে হবে। তিনি খালেদা জিয়াকে আয়নায় নিজের চেহারা দেখার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আপনার আমলেই বিশ্বে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ চাম্পিয়ন হয়েছিল।
এর আগে সকালে দুদক কার্যালয়ের সামন থেকে একটি র্যালি বের হয়ে কাকরাইল, নয়াপল্টন মোড়, বিজয়নগর, জাতীয় প্রেসকাবের সামনে গিয়ে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
No comments