১২০০০ কর্মী যাবে মালয়েশিয়া by রোকনুজ্জামান পিয়াস
আগামী জানুয়ারিতে ১২ হাজার কর্মী যাবে মালয়েশিয়ায়। এ ছাড়া গৃহকর্মী হিসেবে বেশ কিছু নারী কর্মীও পাঠানো হবে। আগামী ডিসেম্বরে সে দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে এ ব্যাপারে চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে। এর আগেই সব ধরনের আলোচনা এগিয়ে রাখা হবে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন একথা জানিয়েছেন। সচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে সে দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলেও তিনি জানান। সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের নেতৃত্বে জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক বেগম শামসুন নাহার ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুল ইসলাম ছাড়াও সরকারের পররাষ্ট্র ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন। ৫দিন মালয়েশিয়ায় অবস্থান শেষে প্রতিনিধি দলটি গত বুধবার দেশে ফেরে। এদিকে জানুয়ারিতে ওই সংখ্যক কর্মী প্রেরণ করতে পারলে ২০১২ সালে জি টু জি পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এ যাবৎকালে এটাই হবে সেদেশে কর্মী প্রেরণের সবচেয়ে বড় চালান। এ পদ্ধতিতে দেশটি কর্মী প্রেরণ এখনও ধীরগতির। যদিও ওই সময় মালয়েশিয়ায় প্রেরণের উদ্দেশ্যে ১৪ লাখ কর্মীর ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত সেখান থেকে গেছে মাত্র সাড়ে ৫ হাজারের মতো। এ পদ্ধতি চালুর শুরু থেকেই বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো এর বিরোধিতা করে আসছে। এদিকে এ পদ্ধতিতে কর্মী প্রেরণের ধীরগতির কথা স্বীকার করলেও কর্মকর্তাদের দাবি এতে বিদেশগামীদের ভোগান্তি কমেছে।
সচিব জানান, নিয়মিত সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ায় যায় প্রতিনিধি দলটি। এর আগে গত মাসে সে দেশের একজন মন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। মালয়েশিয়া অবস্থানকালে সে দেশের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, হিউম্যান রিসোর্স সেক্রেটারি এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দু’টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় কর্মী প্রেরণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আগে জি টু জি পদ্ধতির মাধ্যমে শুধু বনায়ন খাতে কর্মী নিয়োগ করা হতো। কিন্তু এবার আরও কিছু খাতে কাজের জন্য কর্মী প্রেরণ করা হবে। তারা কৃষিখাতের পাশাপাশি ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কলকারখানায় ১২ হাজার পুরুষ শ্রমিক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া গৃহকর্মী হিসেবে নারী শ্রমিক নেয়ার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি। তবে নারী কর্মীর সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে অবস্থানকালে দু’টি সভা ছাড়াও ২টি কারখানা ভিজিট করে প্রতিনিধি দল। যেখানে বাংলাদেশীরা কর্মরত রয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হয়। ৫ই নভেম্বর সারওয়াক প্রদেশ পরিদর্শন করেন তারা। ওই এলাকায়ই উল্লিখিত ১২ হাজার কর্মী প্রেরণ করা হবে। এর আগে ২০০৯ সালে থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যায়। পরে মালয়েশিয়া সরকার বনায়ন খাতে জি টু জি (সরকারিভাবে) পদ্ধতিতে কর্মী নেয়ার আগ্রহ দেখায়। যদিও বরাবরই এ পদ্ধতির বিরোধিতা করে আসছে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সি। তাদের বিরোধিতার মুখেই এ পদ্ধতিতে ২০১৩ সালের মার্চ মাস থেকে সরকারিভাবে কর্মী পাঠানো শুরু হয়। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার দাবি করা হয় জি টু জি পদ্ধতির প্রস্তাব মালয়েশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকেই দেয়া হয় এবং তারা জানিয়ে দেয় এর বাইরে তারা কোন কর্মী নেবে না। এজন্য সারা দেশে সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদে প্রায় ১৪ লাখ কর্মীর ডাটাবেজ তৈরি করা হয়। লটারির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ১১ হাজার ৫৩৮ জনকে বাছাই করা হয়। কিন্তু এতদিনে গেছে ৫ হাজারের মতো লোক। কর্মী প্রেরণের ধীরগতির কারণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন বলেন, অতীতেও বিভিন্ন কারণে কর্মী নিয়োগ বন্ধ ছিল। ইতিপূর্বে সেখানে ৩ বার বন্ধ হয়েছে। পুনরায় চালুও হয়েছে। এটা নতুন কোন বিষয় নয়। উল্লেখ্য, রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় যেতে সাড়ে ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা গুনতে হয়। কিন্তু জি টু জি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় যেতে তাদের সর্বসাকল্যে খরচ হয় ৩৫-৪০ হাজার টাকা। এদিকে সরকার নির্ধারিত এ পদ্ধতির বাইরেও কেউ কেউ মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সচিব জানান, নিয়মিত সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ায় যায় প্রতিনিধি দলটি। এর আগে গত মাসে সে দেশের একজন মন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। মালয়েশিয়া অবস্থানকালে সে দেশের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, হিউম্যান রিসোর্স সেক্রেটারি এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দু’টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় কর্মী প্রেরণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আগে জি টু জি পদ্ধতির মাধ্যমে শুধু বনায়ন খাতে কর্মী নিয়োগ করা হতো। কিন্তু এবার আরও কিছু খাতে কাজের জন্য কর্মী প্রেরণ করা হবে। তারা কৃষিখাতের পাশাপাশি ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কলকারখানায় ১২ হাজার পুরুষ শ্রমিক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া গৃহকর্মী হিসেবে নারী শ্রমিক নেয়ার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি। তবে নারী কর্মীর সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে অবস্থানকালে দু’টি সভা ছাড়াও ২টি কারখানা ভিজিট করে প্রতিনিধি দল। যেখানে বাংলাদেশীরা কর্মরত রয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হয়। ৫ই নভেম্বর সারওয়াক প্রদেশ পরিদর্শন করেন তারা। ওই এলাকায়ই উল্লিখিত ১২ হাজার কর্মী প্রেরণ করা হবে। এর আগে ২০০৯ সালে থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যায়। পরে মালয়েশিয়া সরকার বনায়ন খাতে জি টু জি (সরকারিভাবে) পদ্ধতিতে কর্মী নেয়ার আগ্রহ দেখায়। যদিও বরাবরই এ পদ্ধতির বিরোধিতা করে আসছে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সি। তাদের বিরোধিতার মুখেই এ পদ্ধতিতে ২০১৩ সালের মার্চ মাস থেকে সরকারিভাবে কর্মী পাঠানো শুরু হয়। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার দাবি করা হয় জি টু জি পদ্ধতির প্রস্তাব মালয়েশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকেই দেয়া হয় এবং তারা জানিয়ে দেয় এর বাইরে তারা কোন কর্মী নেবে না। এজন্য সারা দেশে সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদে প্রায় ১৪ লাখ কর্মীর ডাটাবেজ তৈরি করা হয়। লটারির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ১১ হাজার ৫৩৮ জনকে বাছাই করা হয়। কিন্তু এতদিনে গেছে ৫ হাজারের মতো লোক। কর্মী প্রেরণের ধীরগতির কারণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন বলেন, অতীতেও বিভিন্ন কারণে কর্মী নিয়োগ বন্ধ ছিল। ইতিপূর্বে সেখানে ৩ বার বন্ধ হয়েছে। পুনরায় চালুও হয়েছে। এটা নতুন কোন বিষয় নয়। উল্লেখ্য, রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় যেতে সাড়ে ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা গুনতে হয়। কিন্তু জি টু জি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় যেতে তাদের সর্বসাকল্যে খরচ হয় ৩৫-৪০ হাজার টাকা। এদিকে সরকার নির্ধারিত এ পদ্ধতির বাইরেও কেউ কেউ মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
No comments