চট্টগ্রামে লক্ষাধিক অবৈধ যানবাহন
চট্টগ্রামে ৬৫ শতাংশ যানবাহনের নেই বৈধ কাগজপত্র। তারপরও এসব যানবাহন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সড়ক-মহাসড়ক। বিআরটিএর হিসাবে চট্টগ্রামে বৈধ যানবাহন আছে দেড় লাখের বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৩৭ হাজারের ফিটনেস নেই। এর বাইরেও লক্ষাধিক যানবাহন নগরীতে চলাচল করছে। যেগুলোর বিআরটিএর অনুমোদন নেই। ট্রাফিক ও থানা পুলিশকে মাসিক হারে মাসোয়ারা দিয়ে ওইসব যানবাহন সড়কে চলাচল করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সোমবার থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে বিআরটিএ। প্রথম দিনে ৭৬টি ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযানের ফলে মঙ্গলবার বিআরটিএতে গাড়ির লাইসেন্স নবায়ন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়ার জন্য শত শত যানবাহন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। চালকদের অভিযোগ, বিআরটিএতে দালাল ছাড়া গাড়ির কাগজপত্র নবায়ন করা অনেকটাই অসম্ভব। কাগজপত্র নবায়ন বাবদ নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে।
বিআরটিএর সহকারী পরিচালক শেখ মো. রোকন উদ্দিন জানান, চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরীতে ১ লাখ ৬১ হাজার ৯০৪টি যানবাহন বিভিন্ন সড়কে চলাচল করছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ৫৬ হাজার ৯৯৫টি, অটোরিকশা ৪৪ হাজার ৬৬টি, অটোটেম্পো ২ হাজার ৩১৯টি, মোটরকার ২৫ হাজার ২৭২টি, মোটরজিপ ২ হাজার ২০টি, মাইক্রোবাস ১০ হাজার ৮৭৯টি, পিকআপ ৪ হাজার ৬৭৪টি, বাস/মিনিবাস ২ হাজার ৮৫৫টি, হিউম্যানহলার ১ হাজার ৫০৩টি, ট্রাক ও অন্যান্য ১১ হাজার ৩২১টি। নিবন্ধিত এসব গাড়ির মধ্যে ৩৭ হাজার ৮১০টির বর্তমানে ফিটনেস নেই। তার মধ্যে মহানগরীতে ২৯ হাজার ৩১৪টি এবং জেলায় রয়েছে ৮ হাজার ৪৯৬টি। চট্টগ্রামে ৮৪ হাজার ৬৬৭ জন চালককে লাইসেন্স দিয়েছে বিআরটিএ। এর মধ্যে মহানগরীতে ৫০ হাজার ৯২৭ ও জেলায় রয়েছে ৩৩ হাজার ৭৪০ জন চালকের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে বৈধ ও অবৈধ মিলে আড়াই লাখ যানবাহন রয়েছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ যানবাহনের বিআরটিএ কর্তৃক কোনো অনুমোদন নেই। এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ব্যাটারিচালিত টমটম, টুকটুকি টেম্পো, ২০ হাজার নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা। অপর ৬০ শতাংশ যানবাহনের মধ্যে ২৫ শতাংশ যানবাহনের রুট পারমিট, ফিটনেস, বীমাসহ অন্যান্য কাগজপত্রে কোনো না কোনো ক্রটি রয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাসহ সামান্য কিছু গণপরিবহন রয়েছে যেগুলোর কাগজপত্র সময়মতো নবায়ন করা হয়। এ ধরনের যানবাহনের সংখ্যা মাত্র ৩৫ শতাংশ।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে অবৈধ যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান। প্রথম দিনে চট্টগ্রামে ৭৬টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়। এসব গাড়ি থেকে জরিমানা বাবদ আদায় করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৩০০ টাকা। এ সময় আটক করা হয়েছে ৬টি ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স। বিআরটিএর বিশেষ অভিযানের কারণে অবৈধ চালক-মালিকের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার বিআরটিএ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত গাড়ির লাইন। কাগজপত্র নবায়নের জন্য এসব যানবাহন আনা হয়েছে। এখানে আসা কয়েকজন চালক জানিয়েছেন, বিআরটিএতে কাগজপত্র নবায়নে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়। দালাল ছাড়া এখানে কোনো কাজই ঠিকভাবে করা যায় না। তাই প্রতিটি কাগজপত্র নবায়নে হাজার হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে।
নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে নৈরাজ্য : এদিকে নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে নগরীতে চলছে চরম নৈরাজ্য। ওইসব সিএনজি অটোরিকশা বিভিন্ন শ্রমিক মালিক সংগঠন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) এবং সার্জেন্টের টোকেন নিয়ে সড়কে চলাচল করছে। নগরীর নম্বরবিহীন অটোরিকশাগুলোকে ট্রাফিক পুলিশ যাতে হয়রানি না করে সেজন্য উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যার রিট মামলা নং-১১৫৯৪। আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে পুঁজি করে চট্টগ্রাম অটোরিকশা অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠন ও ট্রাফিক পুলিশ প্রতি মাসে কোটি টাকার বাণিজ্য করছে। নামসর্বস্ব কিছু পত্রিকার স্টিকার ব্যবহার করে নম্বরবিহীন ৪০০ সিএনজি অটোরিকশা নগরীতে চলাচল করছে বলে ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বেবিট্যাক্সি ড্রাইভার সহকারী শ্রমিক ইউনিয়নের নামেও চলছে শতাধিক সিএনজি।
চট্টগ্রাম অটোরিকশা অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েকজন চালক চানিয়েছেন, শুধু নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা চালানোর জন্য তারা এ সমিতিতে ভর্তি হয়েছেন। এজন্য তাদের ভর্তি ফি বাবদ দিতে হয়েছে এককালীন ৫ হাজার টাকা, প্রতি মাসে দিতে হচ্ছে ৩ হাজার টাকা করে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম অটোটেম্পো অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হারুন জানান, সমিতির নামে ১৭শ গাড়ি সড়কে চলাচল করছে। এসব গাড়িকে রেজিস্ট্রেশন না দেয়া পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ যাতে হয়রানি না করে সেজন্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ডিসি ট্রাফিক (বন্দর) মো. সুজায়েত ইসলাম জানান, বিআরটিএর বিশেষ অভিযান ছাড়াও প্রতিদিন ট্রাফিক পুলিশ অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, মামলা দিয়ে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তবে ট্রাফিকের কোনো টিআই কিংবা সার্জেন্ট টোকেন দিয়ে অবৈধভাবে টাকা আদায় করার অভিযোগ আসেনি।
বিআরটিএর সহকারী পরিচালক শেখ মো. রোকন উদ্দিন জানান, চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরীতে ১ লাখ ৬১ হাজার ৯০৪টি যানবাহন বিভিন্ন সড়কে চলাচল করছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ৫৬ হাজার ৯৯৫টি, অটোরিকশা ৪৪ হাজার ৬৬টি, অটোটেম্পো ২ হাজার ৩১৯টি, মোটরকার ২৫ হাজার ২৭২টি, মোটরজিপ ২ হাজার ২০টি, মাইক্রোবাস ১০ হাজার ৮৭৯টি, পিকআপ ৪ হাজার ৬৭৪টি, বাস/মিনিবাস ২ হাজার ৮৫৫টি, হিউম্যানহলার ১ হাজার ৫০৩টি, ট্রাক ও অন্যান্য ১১ হাজার ৩২১টি। নিবন্ধিত এসব গাড়ির মধ্যে ৩৭ হাজার ৮১০টির বর্তমানে ফিটনেস নেই। তার মধ্যে মহানগরীতে ২৯ হাজার ৩১৪টি এবং জেলায় রয়েছে ৮ হাজার ৪৯৬টি। চট্টগ্রামে ৮৪ হাজার ৬৬৭ জন চালককে লাইসেন্স দিয়েছে বিআরটিএ। এর মধ্যে মহানগরীতে ৫০ হাজার ৯২৭ ও জেলায় রয়েছে ৩৩ হাজার ৭৪০ জন চালকের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে বৈধ ও অবৈধ মিলে আড়াই লাখ যানবাহন রয়েছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ যানবাহনের বিআরটিএ কর্তৃক কোনো অনুমোদন নেই। এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ব্যাটারিচালিত টমটম, টুকটুকি টেম্পো, ২০ হাজার নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা। অপর ৬০ শতাংশ যানবাহনের মধ্যে ২৫ শতাংশ যানবাহনের রুট পারমিট, ফিটনেস, বীমাসহ অন্যান্য কাগজপত্রে কোনো না কোনো ক্রটি রয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাসহ সামান্য কিছু গণপরিবহন রয়েছে যেগুলোর কাগজপত্র সময়মতো নবায়ন করা হয়। এ ধরনের যানবাহনের সংখ্যা মাত্র ৩৫ শতাংশ।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে অবৈধ যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান। প্রথম দিনে চট্টগ্রামে ৭৬টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়। এসব গাড়ি থেকে জরিমানা বাবদ আদায় করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৩০০ টাকা। এ সময় আটক করা হয়েছে ৬টি ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স। বিআরটিএর বিশেষ অভিযানের কারণে অবৈধ চালক-মালিকের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার বিআরটিএ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত গাড়ির লাইন। কাগজপত্র নবায়নের জন্য এসব যানবাহন আনা হয়েছে। এখানে আসা কয়েকজন চালক জানিয়েছেন, বিআরটিএতে কাগজপত্র নবায়নে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়। দালাল ছাড়া এখানে কোনো কাজই ঠিকভাবে করা যায় না। তাই প্রতিটি কাগজপত্র নবায়নে হাজার হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে।
নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে নৈরাজ্য : এদিকে নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে নগরীতে চলছে চরম নৈরাজ্য। ওইসব সিএনজি অটোরিকশা বিভিন্ন শ্রমিক মালিক সংগঠন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) এবং সার্জেন্টের টোকেন নিয়ে সড়কে চলাচল করছে। নগরীর নম্বরবিহীন অটোরিকশাগুলোকে ট্রাফিক পুলিশ যাতে হয়রানি না করে সেজন্য উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যার রিট মামলা নং-১১৫৯৪। আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে পুঁজি করে চট্টগ্রাম অটোরিকশা অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠন ও ট্রাফিক পুলিশ প্রতি মাসে কোটি টাকার বাণিজ্য করছে। নামসর্বস্ব কিছু পত্রিকার স্টিকার ব্যবহার করে নম্বরবিহীন ৪০০ সিএনজি অটোরিকশা নগরীতে চলাচল করছে বলে ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বেবিট্যাক্সি ড্রাইভার সহকারী শ্রমিক ইউনিয়নের নামেও চলছে শতাধিক সিএনজি।
চট্টগ্রাম অটোরিকশা অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েকজন চালক চানিয়েছেন, শুধু নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা চালানোর জন্য তারা এ সমিতিতে ভর্তি হয়েছেন। এজন্য তাদের ভর্তি ফি বাবদ দিতে হয়েছে এককালীন ৫ হাজার টাকা, প্রতি মাসে দিতে হচ্ছে ৩ হাজার টাকা করে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম অটোটেম্পো অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হারুন জানান, সমিতির নামে ১৭শ গাড়ি সড়কে চলাচল করছে। এসব গাড়িকে রেজিস্ট্রেশন না দেয়া পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ যাতে হয়রানি না করে সেজন্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ডিসি ট্রাফিক (বন্দর) মো. সুজায়েত ইসলাম জানান, বিআরটিএর বিশেষ অভিযান ছাড়াও প্রতিদিন ট্রাফিক পুলিশ অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, মামলা দিয়ে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তবে ট্রাফিকের কোনো টিআই কিংবা সার্জেন্ট টোকেন দিয়ে অবৈধভাবে টাকা আদায় করার অভিযোগ আসেনি।
No comments