রাজশাহীতে এসআই স্বপনের মাদক বাণিজ্য
রাজশাহীর শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী রাকিব। নগরজুড়ে মাদকের রমরমা ব্যবসা তার। পুলিশের সঙ্গে বিশেষ করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার সরকারের সঙ্গে তার গভীর সখ্য। সম্প্রতি স্বপন কুমারকে দামি মোটরসাইকেলও উপহার দিয়েছেন রাকিব। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে বা মাস শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থও উপঢৌকন হিসেবে চলে যায় এ দারোগার কাছে।
অভিযোগে জানা গেছে, এসআই স্বপনই চালাচ্ছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে স্বপন কায়েম করেছেন আপন রাজত্ব। মাদক আটক করে বিক্রি করা, মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া, কলগার্ল দিয়ে টোপ ফেলে লোকজনকে ব্ল্যাকমেইলিং করা এবং নগরজুড়ে মাদক ব্যবসা ছড়িয়ে দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল ইয়াবা ব্যবসায়ী রাকিব নগরীর সাকুরা নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে একটি সাদা রংয়ের এ্যাপাচে মোটরসাইকেল কিনেন। সনজু ও শরিফুল নামে আরও দুই মাদক ব্যবসায়ী দেন ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা। রাকিব এই মোটরসাইকেলটি উপহার দেন এসআই স্বপনকে। বর্তমানে এই মোটরসাইকেলেই চড়ে বেড়াচ্ছেন স্বপন।জানা গেছে, মোটরসাইকেলের ক্রয় সংক্রান্ত শোরুমের কাগজ এসআই স্বপনের নামে। তবে দোকানের পেমেন্ট স্লিপে দেখা গেছে মোটরসাইকেলের ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন রাকিব ও অপর দুই মাদক ব্যবসায়ী সনজু ও শরিফুল। কিছুদিন আগে রাকিবকে ২০০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তার মামলাটি বোয়ালিয়া মডেল থানায় তদন্তাধীন রয়েছে।এসআই স্বপনের বিরুদ্ধে মাদক আটক করে পরে তা বিক্রি করে দেয়ার বহু অভিযোগ রয়েছে। ৪ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টায় মতিহার থানার কাজলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০০ বোতল ফেনসিডিলসহ বসুয়া মধ্যপাড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মাসুদ ওরফে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়। মিলনের সাদা ভেসপাসহ আটক ফেনসিডিল নিয়ে স্বপন গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যায় বলে এলাকার লোকজন জানান। পরদিন ৫ জুলাই ২০০ বোতলের মধ্যে মাত্র ৫০ বোতল ফেনসিডিল দিয়ে মিলনকে আদালতে চালান করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ ডিবির দারোগা স্বপন ১৫০ বোতল ফেনসিডিল বাইরে বিক্রি করে দেন।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই স্বপন বলেন, এলাকার লোকজন মিথ্যা কথা বলছেন। অন্যদিকে ১ জুলাই গভীর রাতে বিহারি কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বপনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ভারতীয় ১ হাজার ৮০০টি বেটনোভেট ক্রিমসহ সহিদার নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করে। ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পর ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে মালসহ সহিদারকে ছেড়ে দেয়া হয়। ডিবির ওই সময়ের ওসি নূর হোসেন খন্দকার ছুটিতে থাকায় স্বপন এই আটক বাণিজ্য করেন।আরও জানা যায়, নগরীর গুড়িপাড়ার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ফারুকের সঙ্গে এসআই স্বপনের প্রকাশ্য দহরম-মহরম পুলিশের মধ্যে একটি আলোচিত বিষয়। অভিযোগ রয়েছে, স্বপনের বাসার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সবকিছুই সরবরাহ করে ফারুক। ফারুক তার এলাকার অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের মালামালের গোপন তথ্য দিয়ে থাকে এসআই স্বপনকে। স্বপন সে অনুযায়ী অভিযান চালান। আটক করেন। পরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন। উদ্ধার মালামাল স্বপনের কাছ থেকে কিনে নেয় ফারুক। এভাবে গত ৬ মাসে লাখ লাখ টাকার আটক বাণিজ্য করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।এসআই স্বপন কলগার্ল দিয়ে টোপ ফেলে বিভিন্ন জনকে আটক করে মোটা অংকের টাকাও আদায় করে আসছেন। ৯ নভেম্বর কাজলার একটি বাড়ি থেকে সাদিয়া নামের এক কলগার্লকে কয়েকজন খদ্দেরসহ আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। সাদিয়া ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, এসআই স্বপন কলগার্ল দিয়ে টোপ ফেলে বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালায়। ছবি তুলে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে আদায় করে মোটা অংকের টাকা। স্বপনের এই চক্রে পুলিশের আরও কয়েকজন জড়িত বলে তিনি জানান।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই স্বপন কুমার সরকার যুগান্তরকে বলেন, আমি এসব কাজের সঙ্গে জড়িত নই। রাকিবের দেয়া মোটরসাইকেল প্রসঙ্গে বলেন, রাকিব কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে মোটরসাইকেল নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি দাবি করেন, তিনি স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, এসআই স্বপনই চালাচ্ছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে স্বপন কায়েম করেছেন আপন রাজত্ব। মাদক আটক করে বিক্রি করা, মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া, কলগার্ল দিয়ে টোপ ফেলে লোকজনকে ব্ল্যাকমেইলিং করা এবং নগরজুড়ে মাদক ব্যবসা ছড়িয়ে দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল ইয়াবা ব্যবসায়ী রাকিব নগরীর সাকুরা নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে একটি সাদা রংয়ের এ্যাপাচে মোটরসাইকেল কিনেন। সনজু ও শরিফুল নামে আরও দুই মাদক ব্যবসায়ী দেন ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা। রাকিব এই মোটরসাইকেলটি উপহার দেন এসআই স্বপনকে। বর্তমানে এই মোটরসাইকেলেই চড়ে বেড়াচ্ছেন স্বপন।জানা গেছে, মোটরসাইকেলের ক্রয় সংক্রান্ত শোরুমের কাগজ এসআই স্বপনের নামে। তবে দোকানের পেমেন্ট স্লিপে দেখা গেছে মোটরসাইকেলের ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন রাকিব ও অপর দুই মাদক ব্যবসায়ী সনজু ও শরিফুল। কিছুদিন আগে রাকিবকে ২০০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তার মামলাটি বোয়ালিয়া মডেল থানায় তদন্তাধীন রয়েছে।এসআই স্বপনের বিরুদ্ধে মাদক আটক করে পরে তা বিক্রি করে দেয়ার বহু অভিযোগ রয়েছে। ৪ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টায় মতিহার থানার কাজলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০০ বোতল ফেনসিডিলসহ বসুয়া মধ্যপাড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মাসুদ ওরফে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়। মিলনের সাদা ভেসপাসহ আটক ফেনসিডিল নিয়ে স্বপন গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যায় বলে এলাকার লোকজন জানান। পরদিন ৫ জুলাই ২০০ বোতলের মধ্যে মাত্র ৫০ বোতল ফেনসিডিল দিয়ে মিলনকে আদালতে চালান করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ ডিবির দারোগা স্বপন ১৫০ বোতল ফেনসিডিল বাইরে বিক্রি করে দেন।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই স্বপন বলেন, এলাকার লোকজন মিথ্যা কথা বলছেন। অন্যদিকে ১ জুলাই গভীর রাতে বিহারি কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বপনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ভারতীয় ১ হাজার ৮০০টি বেটনোভেট ক্রিমসহ সহিদার নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করে। ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পর ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে মালসহ সহিদারকে ছেড়ে দেয়া হয়। ডিবির ওই সময়ের ওসি নূর হোসেন খন্দকার ছুটিতে থাকায় স্বপন এই আটক বাণিজ্য করেন।আরও জানা যায়, নগরীর গুড়িপাড়ার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ফারুকের সঙ্গে এসআই স্বপনের প্রকাশ্য দহরম-মহরম পুলিশের মধ্যে একটি আলোচিত বিষয়। অভিযোগ রয়েছে, স্বপনের বাসার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সবকিছুই সরবরাহ করে ফারুক। ফারুক তার এলাকার অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের মালামালের গোপন তথ্য দিয়ে থাকে এসআই স্বপনকে। স্বপন সে অনুযায়ী অভিযান চালান। আটক করেন। পরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন। উদ্ধার মালামাল স্বপনের কাছ থেকে কিনে নেয় ফারুক। এভাবে গত ৬ মাসে লাখ লাখ টাকার আটক বাণিজ্য করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।এসআই স্বপন কলগার্ল দিয়ে টোপ ফেলে বিভিন্ন জনকে আটক করে মোটা অংকের টাকাও আদায় করে আসছেন। ৯ নভেম্বর কাজলার একটি বাড়ি থেকে সাদিয়া নামের এক কলগার্লকে কয়েকজন খদ্দেরসহ আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। সাদিয়া ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, এসআই স্বপন কলগার্ল দিয়ে টোপ ফেলে বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালায়। ছবি তুলে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে আদায় করে মোটা অংকের টাকা। স্বপনের এই চক্রে পুলিশের আরও কয়েকজন জড়িত বলে তিনি জানান।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই স্বপন কুমার সরকার যুগান্তরকে বলেন, আমি এসব কাজের সঙ্গে জড়িত নই। রাকিবের দেয়া মোটরসাইকেল প্রসঙ্গে বলেন, রাকিব কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে মোটরসাইকেল নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি দাবি করেন, তিনি স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
No comments