ক্যাপ্টেনের ৩৬ বছর জেল
দক্ষিণ কোরিয়ায় ফেরিডুবিতে তিন শতাধিক লোকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্যাপ্টেনের ৩৬ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। মঙ্গলবার সিউলের একটি আদালত এ রায় দেন। বার্তাসংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, মর্মান্তিক ওই ঘটনায় দায়িত্বে ব্যাপক অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফেরির ক্যাপ্টেন লি জুন-সিওককে এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এপ্রিলে ৪৭৬ আরোহী নিয়ে সিওল নামক এ ফেরি দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে ডুবে যায়। এতে তিন শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়। তাদের বেশির ভাগই স্কুলের শিক্ষার্থী। বিদ্যালয় থেকে নৌভ্রমণে গিয়েছিল ওই শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম হয় এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি উঠে। উদ্ধার অভিযানে ব্যর্থতার অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে পার্ক গুয়েন হির সরকার।
এ ঘটনায় ফেরির ক্যাপ্টেন লি জুন-সিওক ও অন্য ১৪ জন ক্রুর বিরুদ্ধে বিচার চলছে।প্রসিকিউটররা ফেরির ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ এনে মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানান। তবে বিচারক তাকে এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। লির বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং তার বাকি জীবনটা হয়তো কারাগারেই থাকতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, আদালতে ঘুরে ফিরে যে প্রশ্নটি বারবার আসছে তা হল- তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা এবং দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ আছে কিনা। একটি ভিডিওতে লিকে ফেরিডুবির সময় আরোহীদের ফেলে নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় ফেরির ক্যাপ্টেন লি জুন-সিওক ও অন্য ১৪ জন ক্রুর বিরুদ্ধে বিচার চলছে।প্রসিকিউটররা ফেরির ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ এনে মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানান। তবে বিচারক তাকে এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। লির বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং তার বাকি জীবনটা হয়তো কারাগারেই থাকতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, আদালতে ঘুরে ফিরে যে প্রশ্নটি বারবার আসছে তা হল- তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা এবং দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ আছে কিনা। একটি ভিডিওতে লিকে ফেরিডুবির সময় আরোহীদের ফেলে নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে দেখা গেছে।
No comments