চট্টগ্রামে বাংলাদেশের লক্ষ্য ঐতিহাসিক ধবলধোলাই
১৪ পেরিয়ে ১৫-তে পা রাখা এক দস্যি-দামাল কিশোর। তার দস্যিপনায় পর্যুদস্ত (পড়ুন পরাজিত) প্রতিপক্ষ। ঢাকায়, খুলনায় নিরঙ্কুশ জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে, টেস্ট র্যাংকিংয়ে এক ধাপ উপরে উঠে বন্দর নগরীতে এবার জয়ের নোঙর ফেলার অপেক্ষায়। হ্যাঁ, বাংলাদেশ দলের কথাই বলা হচ্ছে। ১০ নভেম্বর টেস্ট ক্রিকেটে ১৪ বছর পূর্ণ হল বাংলাদেশের। ১৪ বছরে গায়েগতরে বাড়-বাড়ন্ত হয়েছে ২০০০ সালের নবজাতক। ৮৭ টেস্ট খেলে আজ চট্টগ্রামে ৮৮তম সাদা পোশাকের ম্যাচ শুরু করতে যাচ্ছে। সামনে নড়বড়ে জিম্বাবুয়ে। সেই প্রতিপক্ষ, নয় বছর আগে যাদের হারিয়ে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু নয় বছরে যেভাবে জয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা ছিল, সেভাবে হয়নি। ২০১৪-র শেষে এসে সেই কিশোর ফিরে পেল তার স্বভাবজাত দস্যিপনা। ২-০-তে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নির্ভার মুশফিকুররা। চট্টগ্রামে লক্ষ্য ৩-০। জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করা। এখন ‘মিশন পসিবল’। নিজেদের আঙিনায় এই প্রথম তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। ৩-০-তে তা জিতলে সেটি হবে ঐতিহাসিক এক বিজয়। যদিও বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করেন, প্রথম দুটি টেস্টে যতটা সহজে জিতেছেন, চট্টগ্রামে তা হবে না। ভালো খেলার প্রতিশ্র“তি দিয়ে মুশফিকুর চট্টগ্রামেও জেতার ব্যাকুলতা প্রকাশে পিছপা হননি। ব্যক্তিগত অর্জনের দিক দিয়েও আজ তার মুকুটে যোগ হবে আরেকটি পালক। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস করতে নামার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্টে নেতৃত্ব দেয়ার নজির গড়বেন মুশফিকুর। হাবিবুল বাশার ১৮টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশকে। মুশফিকুরের এটি অধিনায়ক হিসেবে ১৯তম টেস্ট। খেলা শুরু হবে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে। সরাসরি দেখা যাবে গাজী টিভিতে।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ হেরে বসে আছে। চট্টগ্রামে তারা যেকোনো মূল্যে চাইবে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা এড়াতে। কিন্তু চাইলেই তো আর হবে না। সাকিব আল হাসান তাদের সামনে সাক্ষাৎ যমদূত হিসেবে অবির্ভূত হয়েছেন। চাঁটিগার ছেলে তামিম ইকবাল ফিরেছেন ফর্মে।তাইজুল ও জুবায়েরের তেজোদ্দীপ্ত তারুণ্যে আরও শাণিত হয়েছে স্বাগতিকরা। প্রশ্ন শুধু একটাই, আত্মতুষ্টি বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে না তো? চলতি ফর্ম ও ধারাবাহিকতার ট্রেন চট্টগ্রামেও ঠিকমতো চলবে তো? প্রথম দুটি টেস্টে জিম্বাবুয়ের অশেষ দুর্গতির কারণ হয়েছে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ। হ্যামিলটন মাসাকাদজাই একমাত্র স্পিন দেখেশেুনে সামলাতে অভ্যস্ত। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ! অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর ঢাকা ও খুলনায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে ব্যর্থ হয়েছেন। শেষ টেস্টে সফরকারীরা তার কাছ থেকেও প্রতিরোধ প্রত্যাশা করবে। তেমনিভাবে দলে ফেরা ক্রেগ আরভিনের কাছেও সাহায্য প্রত্যাশী কোণঠাসা জিম্বাবুয়ে। ঢাকা ও খুলনায় স্পিনবান্ধব উইকেটে নাভিশ্বাস উঠেছিল টেলরদের। চট্টগ্রামের পিচ পেসার ও স্পিনারদের সমান দৃষ্টিতে দেখবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবুও স্বাগতিকরা স্পিন-অস্ত্রেই মেজবানদের শহরে আফ্রিকার দেশটিকে আতিথ্য দেয়ার পক্ষে।বাংলাদেশ দলে শামসুর রহমানের জায়গায় এসেছেন ইমরুল কায়েস। তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করবেন ইমরুল। বিশ্রাম দেয়া হতে পারে শাহাদাত হোসেনকে। শফিউল ইসলাম সিরিজে প্রথম একাদশে সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। এনামুল হকের ভাগ্যে এবারও খেলার সুযোগ নেই। খুলনা টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে শুভাগত হোম হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ায় সাতে এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারের অবস্থানের কোনো হেরফের হচ্ছে না।জিম্বাবুয়ের জন্য ভরসার জায়গা একটাই। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচ রানপ্রসবা। এই ভেন্যুতে শেষ দুটি টেস্ট ড্র হয়েছে। গত জানুয়ারিতে সমুদ্র-ঘেঁষা এই ভেন্যুতে ট্রিপল সেঞ্চুরি (৩১৯) করেছেন কুমার সাঙ্গাকার ড্র হওয়া ম্যাচে। কিন্তু স্বাগতিকদের বয়েই গেছে পরিসংখ্যান নিয়ে ভাবতে। আÍবিশ্বাস যখন তুঙ্গস্পর্শী, শরীরী ভাষা যখন শাণিত, তখন জয় ছাড়া আর কোনো ভাবনাই কাছে ঘেঁষতে দিতে নেই। ‘টেস্ট সিরিজে ২-০-তে এগিয়ে থাকার পর খেলতে নামার অনুভূতি দুর্লভ। তবে বাস্তবতায় সিরিজে এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ’, মুশফিকুর রহিমের মন্তব্য সতীর্থদের এই বার্তাই দিচ্ছে যে, পেশাদারি যুগে আত্মতুষ্টির কোনো অবকাশ নেই।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ হেরে বসে আছে। চট্টগ্রামে তারা যেকোনো মূল্যে চাইবে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা এড়াতে। কিন্তু চাইলেই তো আর হবে না। সাকিব আল হাসান তাদের সামনে সাক্ষাৎ যমদূত হিসেবে অবির্ভূত হয়েছেন। চাঁটিগার ছেলে তামিম ইকবাল ফিরেছেন ফর্মে।তাইজুল ও জুবায়েরের তেজোদ্দীপ্ত তারুণ্যে আরও শাণিত হয়েছে স্বাগতিকরা। প্রশ্ন শুধু একটাই, আত্মতুষ্টি বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে না তো? চলতি ফর্ম ও ধারাবাহিকতার ট্রেন চট্টগ্রামেও ঠিকমতো চলবে তো? প্রথম দুটি টেস্টে জিম্বাবুয়ের অশেষ দুর্গতির কারণ হয়েছে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ। হ্যামিলটন মাসাকাদজাই একমাত্র স্পিন দেখেশেুনে সামলাতে অভ্যস্ত। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ! অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর ঢাকা ও খুলনায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে ব্যর্থ হয়েছেন। শেষ টেস্টে সফরকারীরা তার কাছ থেকেও প্রতিরোধ প্রত্যাশা করবে। তেমনিভাবে দলে ফেরা ক্রেগ আরভিনের কাছেও সাহায্য প্রত্যাশী কোণঠাসা জিম্বাবুয়ে। ঢাকা ও খুলনায় স্পিনবান্ধব উইকেটে নাভিশ্বাস উঠেছিল টেলরদের। চট্টগ্রামের পিচ পেসার ও স্পিনারদের সমান দৃষ্টিতে দেখবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবুও স্বাগতিকরা স্পিন-অস্ত্রেই মেজবানদের শহরে আফ্রিকার দেশটিকে আতিথ্য দেয়ার পক্ষে।বাংলাদেশ দলে শামসুর রহমানের জায়গায় এসেছেন ইমরুল কায়েস। তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করবেন ইমরুল। বিশ্রাম দেয়া হতে পারে শাহাদাত হোসেনকে। শফিউল ইসলাম সিরিজে প্রথম একাদশে সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। এনামুল হকের ভাগ্যে এবারও খেলার সুযোগ নেই। খুলনা টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে শুভাগত হোম হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ায় সাতে এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারের অবস্থানের কোনো হেরফের হচ্ছে না।জিম্বাবুয়ের জন্য ভরসার জায়গা একটাই। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচ রানপ্রসবা। এই ভেন্যুতে শেষ দুটি টেস্ট ড্র হয়েছে। গত জানুয়ারিতে সমুদ্র-ঘেঁষা এই ভেন্যুতে ট্রিপল সেঞ্চুরি (৩১৯) করেছেন কুমার সাঙ্গাকার ড্র হওয়া ম্যাচে। কিন্তু স্বাগতিকদের বয়েই গেছে পরিসংখ্যান নিয়ে ভাবতে। আÍবিশ্বাস যখন তুঙ্গস্পর্শী, শরীরী ভাষা যখন শাণিত, তখন জয় ছাড়া আর কোনো ভাবনাই কাছে ঘেঁষতে দিতে নেই। ‘টেস্ট সিরিজে ২-০-তে এগিয়ে থাকার পর খেলতে নামার অনুভূতি দুর্লভ। তবে বাস্তবতায় সিরিজে এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ’, মুশফিকুর রহিমের মন্তব্য সতীর্থদের এই বার্তাই দিচ্ছে যে, পেশাদারি যুগে আত্মতুষ্টির কোনো অবকাশ নেই।
No comments