এমপিদের হস্তক্ষেপে নাকাল ইউপি চেয়ারম্যানরা
সরকারদলীয় এমপিদের অযাচিত হস্তক্ষেপে নাকাল হয়ে পড়েছেন রাজশাহীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। এমপির হুকুমের তোয়াক্কা করা ছাড়া কোনো কাজই করতে পারছেন না তারা। ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা বা কৃষি ভর্তুকির মতো দরিদ্রদের খাতেও রয়েছে এমপিদের কর্তৃত্ব। ফলে চেয়ারম্যানরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। এতে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন। পাশাপাশি মুখ থুবড়ে পড়েছে সুশাসনও। জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হচ্ছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে সংসদ সদস্যরা বলছেন হস্তক্ষেপ নয়, বরং চেয়ারম্যান-মেম্বারদের চুরি ঠেকাতে তাদের কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়।
সংবিধানে তৃণমূল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য স্থানীয় সরকারকে প্রতিনিধিত্বমূলক এবং একই সঙ্গে জনগণের অংশগ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সংবিধানে ৪টি অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা ও কার্যকারিতা বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় এমপিদের কর্তৃত্বের কাছে হার মানছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। তারা বলছেন, এমপির অনুমতি ছাড়া কোনো কাজই করা যায় না। এতে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহ্জাহান আলী বলেন, এমপি সাহেব বা তার দলীয় লোকদের ভাগ দেয়া ছাড়া জনহিতকর কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ভাগ বসাতে দলীয় নেতাদের স্থানীয় কমিটিতে জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছেন এমপি। প্রকল্প থেকে তারা কমিশন নেন। ফলে কাক্সিক্ষত কাজ হয় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমপির এই নির্দেশ উপেক্ষা করলে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ফারুক ইমাম সুমন বলেন, আমরা শুধু নামেই চেয়ারম্যান। সব কাজ পরিচালনা করেন এমপি সাহেবরা। তাদের মনোনীত দলীয় প্রতিনিধিদের কাছে আমরা জিম্মি। পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আর প্রশাসনের দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন কাজ করা কঠিন। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার, ইউএনও এবং পিআইওকে ভাগ না দিলে কাজ করা মুশকিল। সরকারি দলের লোকেরা বিভিন্ন গরিব মানুষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে বিভিন্ন ভাতার কার্ড দেয়ার জন্য আমাদের প্রেসার দেয়। কাজেই স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে আত্মতৃপ্তি থাকে না। দুস্থ মানুষের উপকারও হয় না। মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউপি চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন সরকার জানান, এমপি সাহেব অলিখিতভাবে আমাদের উপদেষ্টা সেজে বসে আছেন। তার প্রতিনিধিরা বিভিন্ন প্রকল্পে আমাদের ঘাড়ের ওপর চেপে বসে আছে। তাদের ৪০ ভাগ কমিশন না দিলে উপজেলা কমিটি থেকে কোনো প্রকল্প পাস হয় না। চেয়ারম্যানদের অবস্থা ঠিক এরকম- হাত পা বেঁধে সাঁতার দিতে বলা। বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুর রহমান মাতু বলেন, এমপি সাহেবের সঙ্গে মানিয়ে চলা ছাড়া উপায় নেই।পবা উপজেলার হুজরীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্পে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি থাকার কথা। কিন্তু তারা এমপি সাহেবের কাছে ভালো থাকার জন্য তা করেন না। এমপিই তার মনোনীত দলীয় প্রতিনিধিকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। এতে সুষ্ঠুভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। তবে চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ প্রামাণিক বলেন, একজন চেয়ারম্যান হচ্ছেন সর্বদলীয়। সবার উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করবেন। এখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি বা অন্য দল বলে কোনো পার্থক্য থাকার কথা নয়। আমরা এখানে ব্যবসা করতে আসিনি। জনগণের সেবা করতে এসেছি। এখানে এমপি ও তার দলের নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই তাকে কাজ করতে হয়। মিলেমিশে কাজ করলে তো সমস্যা থাকে না। এছাড়া গোদাগাড়ী উপজেলার একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এডিপিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমপি সাহেবের লোকদের ৫০ ভাগ কমিশন না দিলে আমরা কাজ করতে পারি না। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এ ধরনের অন্যায় মেনে নিয়েই চলতে হচ্ছে। কিছু করার নেই আমাদের।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো চেয়ারম্যানদের দুষছেন সংসদ সদস্যরা। তারা বলছেন, চেয়ারম্যানদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সরকারদলীয় এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হতদরিদ্রদের জন্য ভিজিডি, ভিজিএফ, কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্প ও ভাতা বরাদ্দ দেন। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যানরা তা সঠিকভাবে বিতরণ করেন না। টাকার বিনিময়ে দুস্থ মানুষকে কার্ড দেন। গরিবের বরাদ্দ তারা খেয়ে ফেলেন। এগুলো বন্ধ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে দলীয় লোক দিয়ে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে বরং কাজের স্বচ্ছতা এসেছে। এ জন্যই চেয়ারম্যানরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক চৌধুরী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, যদি চেয়ারম্যান সাহেবরা নিজেদের যুধিষ্ঠির আর এমপিকে চোর মনে করেন তাহলে খোঁজ নিয়ে দেখা দরকার চেয়ারম্যান হওয়ার আগে কে কত বিঘা জমির মালিক ছিলেন আর চেয়ারম্যান হওয়ার পরে কত বিঘা জমি কিনেছেন। কোনো চেয়ারম্যানের সৎ সাহস নেই যে বলবেন, আমি তাদের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করি। বরং তারাই গরিব মানুষের চাল ওজনে কম দেন। যা আমি ঈদের আগে সরেজমিন গিয়ে নিজেই ধরেছি।স্থানীয় সরকার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকারের স্বাভাবিক ক্ষেত্রগুলো বিকাশে সহায়তার বদলে পদে পদে বাধার সম্মুখীন করা হচ্ছে। জাতীয় সরকার বেশি মাত্রায় ও পরিমাণে স্থানীয়তে রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে। তাতে বাড়ছে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত। সাংবিধানিকভাবে স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানটিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া জরুরি।এ বিষয়ে বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর রাজশাহী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী সুব্রত পাল বলেন, স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালী না হওয়ার পেছনে প্রধান বাধা হল সংসদ সদস্যদের বেআইনি হস্তক্ষেপ। উল্লেখ্য, রাজশাহীর নয়টি উপজেলায় ৭০টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।
সংবিধানে তৃণমূল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য স্থানীয় সরকারকে প্রতিনিধিত্বমূলক এবং একই সঙ্গে জনগণের অংশগ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সংবিধানে ৪টি অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা ও কার্যকারিতা বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় এমপিদের কর্তৃত্বের কাছে হার মানছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। তারা বলছেন, এমপির অনুমতি ছাড়া কোনো কাজই করা যায় না। এতে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহ্জাহান আলী বলেন, এমপি সাহেব বা তার দলীয় লোকদের ভাগ দেয়া ছাড়া জনহিতকর কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ভাগ বসাতে দলীয় নেতাদের স্থানীয় কমিটিতে জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছেন এমপি। প্রকল্প থেকে তারা কমিশন নেন। ফলে কাক্সিক্ষত কাজ হয় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমপির এই নির্দেশ উপেক্ষা করলে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ফারুক ইমাম সুমন বলেন, আমরা শুধু নামেই চেয়ারম্যান। সব কাজ পরিচালনা করেন এমপি সাহেবরা। তাদের মনোনীত দলীয় প্রতিনিধিদের কাছে আমরা জিম্মি। পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আর প্রশাসনের দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন কাজ করা কঠিন। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার, ইউএনও এবং পিআইওকে ভাগ না দিলে কাজ করা মুশকিল। সরকারি দলের লোকেরা বিভিন্ন গরিব মানুষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে বিভিন্ন ভাতার কার্ড দেয়ার জন্য আমাদের প্রেসার দেয়। কাজেই স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে আত্মতৃপ্তি থাকে না। দুস্থ মানুষের উপকারও হয় না। মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউপি চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন সরকার জানান, এমপি সাহেব অলিখিতভাবে আমাদের উপদেষ্টা সেজে বসে আছেন। তার প্রতিনিধিরা বিভিন্ন প্রকল্পে আমাদের ঘাড়ের ওপর চেপে বসে আছে। তাদের ৪০ ভাগ কমিশন না দিলে উপজেলা কমিটি থেকে কোনো প্রকল্প পাস হয় না। চেয়ারম্যানদের অবস্থা ঠিক এরকম- হাত পা বেঁধে সাঁতার দিতে বলা। বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুর রহমান মাতু বলেন, এমপি সাহেবের সঙ্গে মানিয়ে চলা ছাড়া উপায় নেই।পবা উপজেলার হুজরীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্পে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি থাকার কথা। কিন্তু তারা এমপি সাহেবের কাছে ভালো থাকার জন্য তা করেন না। এমপিই তার মনোনীত দলীয় প্রতিনিধিকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। এতে সুষ্ঠুভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। তবে চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ প্রামাণিক বলেন, একজন চেয়ারম্যান হচ্ছেন সর্বদলীয়। সবার উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করবেন। এখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি বা অন্য দল বলে কোনো পার্থক্য থাকার কথা নয়। আমরা এখানে ব্যবসা করতে আসিনি। জনগণের সেবা করতে এসেছি। এখানে এমপি ও তার দলের নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই তাকে কাজ করতে হয়। মিলেমিশে কাজ করলে তো সমস্যা থাকে না। এছাড়া গোদাগাড়ী উপজেলার একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এডিপিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমপি সাহেবের লোকদের ৫০ ভাগ কমিশন না দিলে আমরা কাজ করতে পারি না। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এ ধরনের অন্যায় মেনে নিয়েই চলতে হচ্ছে। কিছু করার নেই আমাদের।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো চেয়ারম্যানদের দুষছেন সংসদ সদস্যরা। তারা বলছেন, চেয়ারম্যানদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সরকারদলীয় এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হতদরিদ্রদের জন্য ভিজিডি, ভিজিএফ, কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্প ও ভাতা বরাদ্দ দেন। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যানরা তা সঠিকভাবে বিতরণ করেন না। টাকার বিনিময়ে দুস্থ মানুষকে কার্ড দেন। গরিবের বরাদ্দ তারা খেয়ে ফেলেন। এগুলো বন্ধ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে দলীয় লোক দিয়ে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে বরং কাজের স্বচ্ছতা এসেছে। এ জন্যই চেয়ারম্যানরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক চৌধুরী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, যদি চেয়ারম্যান সাহেবরা নিজেদের যুধিষ্ঠির আর এমপিকে চোর মনে করেন তাহলে খোঁজ নিয়ে দেখা দরকার চেয়ারম্যান হওয়ার আগে কে কত বিঘা জমির মালিক ছিলেন আর চেয়ারম্যান হওয়ার পরে কত বিঘা জমি কিনেছেন। কোনো চেয়ারম্যানের সৎ সাহস নেই যে বলবেন, আমি তাদের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করি। বরং তারাই গরিব মানুষের চাল ওজনে কম দেন। যা আমি ঈদের আগে সরেজমিন গিয়ে নিজেই ধরেছি।স্থানীয় সরকার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকারের স্বাভাবিক ক্ষেত্রগুলো বিকাশে সহায়তার বদলে পদে পদে বাধার সম্মুখীন করা হচ্ছে। জাতীয় সরকার বেশি মাত্রায় ও পরিমাণে স্থানীয়তে রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে। তাতে বাড়ছে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত। সাংবিধানিকভাবে স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানটিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া জরুরি।এ বিষয়ে বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর রাজশাহী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী সুব্রত পাল বলেন, স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালী না হওয়ার পেছনে প্রধান বাধা হল সংসদ সদস্যদের বেআইনি হস্তক্ষেপ। উল্লেখ্য, রাজশাহীর নয়টি উপজেলায় ৭০টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।
No comments