জনবল সংকটে রেলওয়ে
জনবলের অভাবে দেশের ট্রেন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। সেই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে রেল যোগাযোগ। গতকাল যুগান্তরে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টেশন মাস্টার, গার্ড ও চালক স্বল্পতার কারণে রেলের একটি রুট বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে রেলওয়ের চার বিভাগে ট্রেন চলাচল। লোকবলের ঘাটতি থাকায় বিভিন্ন রুটে দুজনের পরিবর্তে একজন করে চালক ও গার্ড দিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে। এর ফলে স্বভাবতই দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে গেছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক।
রেলের উন্নয়নে সরকারের তরফ থেকে নানা পরিকল্পনার কথা বলা হলেও দেখা যাচ্ছে এ খাতটি এখনও উপেক্ষিত রয়ে গেছে। উপরন্তু অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে রেল যোগাযোগের অবনতি ঘটছে দিন দিন। ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে দেশের ১৩২টি রেলস্টেশন। এগুলো নতুন করে চালু করার পরিকল্পনা নেয়া হলেও স্টেশন মাস্টারের অভাবে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। পর্যাপ্ত ইঞ্জিন ও বগি আমদানি এবং রেললাইন সংস্কার ও সম্প্রসারণের উদ্যোগেও তেমন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। রেলকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের কথা চালু আছে। রেলের উন্নয়ন হোক, এটা চায় না কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী। এজন্যই কি এ খাত এতটা উপেক্ষিত?
অভিযোগ আছে, রেলে যথাসময়ে নতুন লোক নিয়োগ না দিয়ে একটি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্তদের যাতে চুক্তিতে নিয়োগ দেয়া হয় সেটাই এ সংকট সৃষ্টির উদ্দেশ্য। রেলে এ সংস্কৃতি চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এর পেছনে রয়েছে অবৈধ অর্থবাণিজ্য। এতে একদিকে রেলে নতুন দক্ষ লোক সৃষ্টি হচ্ছে না, অন্যদিকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেলওয়ে। কারণ চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়মিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভাতা দিতে হয়। এভাবে রেলওয়ের লোকসানের বোঝা ক্রমেই বাড়ছে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক, এর ফলে উপেক্ষিত হচ্ছে জনস্বার্থ।
রেলকে বলা হয় যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম। কাজেই জনস্বার্থের বিবেচনায় এ খাতের উন্নয়ন সবসময় অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবি রাখে। অথচ আমাদের দেশে ঘটছে এর উল্টোটি। এখানে দুর্নীতিবাজ ও কায়েমি গোষ্ঠীর স্বার্থেই যেন সবকিছু নির্ধারিত হয়। সরকারের উচিত অবিলম্বে এ অবস্থার অবসানে দৃষ্টি দেয়া। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে রেলের উন্নয়নে মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে রেলের জনবলের ঘাটতি দূর করতে হবে অবিলম্বে। অতীতে রেলের নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। কাজেই নিয়োগের ক্ষেত্রে যাতে শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় থাকে, সংশ্লিষ্টদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
অভিযোগ আছে, রেলে যথাসময়ে নতুন লোক নিয়োগ না দিয়ে একটি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্তদের যাতে চুক্তিতে নিয়োগ দেয়া হয় সেটাই এ সংকট সৃষ্টির উদ্দেশ্য। রেলে এ সংস্কৃতি চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এর পেছনে রয়েছে অবৈধ অর্থবাণিজ্য। এতে একদিকে রেলে নতুন দক্ষ লোক সৃষ্টি হচ্ছে না, অন্যদিকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেলওয়ে। কারণ চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়মিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভাতা দিতে হয়। এভাবে রেলওয়ের লোকসানের বোঝা ক্রমেই বাড়ছে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক, এর ফলে উপেক্ষিত হচ্ছে জনস্বার্থ।
রেলকে বলা হয় যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম। কাজেই জনস্বার্থের বিবেচনায় এ খাতের উন্নয়ন সবসময় অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবি রাখে। অথচ আমাদের দেশে ঘটছে এর উল্টোটি। এখানে দুর্নীতিবাজ ও কায়েমি গোষ্ঠীর স্বার্থেই যেন সবকিছু নির্ধারিত হয়। সরকারের উচিত অবিলম্বে এ অবস্থার অবসানে দৃষ্টি দেয়া। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে রেলের উন্নয়নে মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে রেলের জনবলের ঘাটতি দূর করতে হবে অবিলম্বে। অতীতে রেলের নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। কাজেই নিয়োগের ক্ষেত্রে যাতে শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় থাকে, সংশ্লিষ্টদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
No comments