যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের অবসান চায়
(দেবযানী সংকট :মার্কিন কূটনীতিকের ভারত ত্যাগ)
দেবযানী খোবরাগাড়েকে নিয়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে টানাপড়েনের পর ভারতের
সঙ্গে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত
শুক্রবার দেশটি স্বীকার করেছে, ঘনিষ্ঠ দুই মিত্রের মধ্যকার বন্ধন একটি
প্রতিকূল সময় অতিক্রম করেছে। এদিকে ভারতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের
এক কূটনীতিককে গতকালই ফিরিয়ে নিয়েছে ওয়াশিংটন। গতকাল ভারতের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো অচলাবস্থা
নেই। তিনি বলেন, সমস্যা যদি থেকেও থাকে তবে তা কেটে যাবে। উভয় দেশ তা
সমাধান করবে বলেও জানান তিনি। খবর :এএফপি ও এনডিটিভি। এদিকে দেবযানীকে
স্বাগত জানান সালমান খুরশিদ। এ সময় দেবযানী সাংবাদিকদের বলেন, আমি কোনো
মন্তব্য করব না, আমাকে সমর্থন করায় সবাইকে ধন্যবাদ। যা বলার সরকার ও আমার
আইনজীবী বলবেন।
যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বাড়তি সময় ব্যয় করতে হবে বলে মনে করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন পিসাকি বলেন, 'স্পষ্টতই যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক একটি প্রতিকূল সময় অতিক্রম করেছে। আমরা আশা করি, এখন এর সমাপ্তি ঘটবে। পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে ভারতীয়রা আমাদের সঙ্গে লক্ষণীয় পদক্ষেপ নেবে এবং আরও গঠনমূলক অবস্থায় নিয়ে যাবে।' যুুক্তরাষ্ট্র এ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে স্পষ্টতই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কারনে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে একটি গভীর ও বৃহৎ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ওই বিচ্ছিন্ন ঘটনা দু'দেশের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ ও শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশক নয়।'
এদিকে দেবযানী দিলি্লতে পেঁৗছার পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতের অনুরোধে তারাও দিলি্লতে নিযুক্ত একজন কূটনীতিককে ওয়াশিংটনে ফিরিয়ে নিচ্ছে। দেবযানীর সমমর্যাদার কোনো কূটনীতিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফিরিয়ে নিতে বলেছিল দিলি্ল। সে অনুযায়ী গতকালই ওয়াশিংটনের উদ্দেশে দিলি্ল ছেড়েছেন একজন কূটনীতিক। তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে পিসাকি বলেন, 'এটি খুবই অনুতাপের বিষয় যে, আমাদের একজন কূটনীতিককে বহিষ্কার করা প্রয়োজন মনে করেছে ভারত। আমরা আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চাই। ওই প্রতিকূল সময়কে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাই।' তবে গতকাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দু'দেশের মধ্যে কোনো ধরনের অচলাবস্থা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
গত ১২ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে ভারতীয় কনস্যুলেটের সাবেক ডেপুটি কনসাল দেবযানী খোবরাগাড়েকে প্রকাশ্যে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে বিবস্ত্র করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ভারতীয় গৃহকর্মীর ভিসায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বেতন না দেওয়ার অভিযোগে এ কাণ্ড করে নিউইয়র্ক পুলিশ। এ ঘটনার পর ভারতজুড়ে মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেট এবং কূটনীতিকদের লক্ষ্য করে বেশকিছু পাল্টা ব্যবস্থা নেয় দিলি্ল। আদালত দেবযানীর বিরুদ্ধে অভিযোগও গঠন করেন। শেষ পর্যন্ত বুধবার ওয়াশিংটন তার পূর্ণ দায়মুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করায় তিনি ভারতের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেন।
দেবযানীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে :যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের মাধ্যমে দেবযানীকে দেওয়া কূটনৈতিক দায়মুক্তি সুবিধার বাইরে চলে গেছেন তিনি। এখন তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। ভবিষ্যতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে প্রথমেই মার্কিন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এসব তথ্য জানিয়ে জেন পিসাকি বলেন, দেবযানীর নাম, ভিসা ও অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য সব দফতরে পাঠানো হবে।
যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বাড়তি সময় ব্যয় করতে হবে বলে মনে করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন পিসাকি বলেন, 'স্পষ্টতই যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক একটি প্রতিকূল সময় অতিক্রম করেছে। আমরা আশা করি, এখন এর সমাপ্তি ঘটবে। পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে ভারতীয়রা আমাদের সঙ্গে লক্ষণীয় পদক্ষেপ নেবে এবং আরও গঠনমূলক অবস্থায় নিয়ে যাবে।' যুুক্তরাষ্ট্র এ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে স্পষ্টতই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কারনে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে একটি গভীর ও বৃহৎ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ওই বিচ্ছিন্ন ঘটনা দু'দেশের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ ও শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশক নয়।'
এদিকে দেবযানী দিলি্লতে পেঁৗছার পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতের অনুরোধে তারাও দিলি্লতে নিযুক্ত একজন কূটনীতিককে ওয়াশিংটনে ফিরিয়ে নিচ্ছে। দেবযানীর সমমর্যাদার কোনো কূটনীতিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফিরিয়ে নিতে বলেছিল দিলি্ল। সে অনুযায়ী গতকালই ওয়াশিংটনের উদ্দেশে দিলি্ল ছেড়েছেন একজন কূটনীতিক। তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে পিসাকি বলেন, 'এটি খুবই অনুতাপের বিষয় যে, আমাদের একজন কূটনীতিককে বহিষ্কার করা প্রয়োজন মনে করেছে ভারত। আমরা আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চাই। ওই প্রতিকূল সময়কে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাই।' তবে গতকাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দু'দেশের মধ্যে কোনো ধরনের অচলাবস্থা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
গত ১২ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে ভারতীয় কনস্যুলেটের সাবেক ডেপুটি কনসাল দেবযানী খোবরাগাড়েকে প্রকাশ্যে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে বিবস্ত্র করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ভারতীয় গৃহকর্মীর ভিসায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বেতন না দেওয়ার অভিযোগে এ কাণ্ড করে নিউইয়র্ক পুলিশ। এ ঘটনার পর ভারতজুড়ে মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেট এবং কূটনীতিকদের লক্ষ্য করে বেশকিছু পাল্টা ব্যবস্থা নেয় দিলি্ল। আদালত দেবযানীর বিরুদ্ধে অভিযোগও গঠন করেন। শেষ পর্যন্ত বুধবার ওয়াশিংটন তার পূর্ণ দায়মুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করায় তিনি ভারতের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেন।
দেবযানীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে :যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের মাধ্যমে দেবযানীকে দেওয়া কূটনৈতিক দায়মুক্তি সুবিধার বাইরে চলে গেছেন তিনি। এখন তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। ভবিষ্যতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে প্রথমেই মার্কিন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এসব তথ্য জানিয়ে জেন পিসাকি বলেন, দেবযানীর নাম, ভিসা ও অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য সব দফতরে পাঠানো হবে।
No comments