পাকিস্তানি সেই বীর বালকের সর্বোচ্চ পুরস্কারের সুপারিশ
জীবন দিয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলা থেকে নিজের স্কুল রক্ষা করলো এক দুঃসাহসিক পাকিস্তানি বালক। এ বীরোচিত ঘটনায় পাকিস্তানের গোলযোগপূর্ণ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পুলিশ তাকে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারে ভূষিত করার সুপারিশ করেছে। খবর এএফপি’র। সোমবার দেশটির খাইবার পাকতুনখোয়া প্রদেশের হাঙ্গু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনের মতো সেদিনও আইতাজ হাসান (১৫) বন্ধুদের নিয়ে স্কুলের বাইরে খেলছিল। এমন সময় তার চোখে পড়ে শরীরে বোমা বেঁধে একজন আত্মঘাতী হামলাকারী স্কুলের দিকে এগিয়ে আসছে। এটি দেখে আইতাজ হাসানের বন্ধুরা দৌঁড়ে পালালেও সে হামলাকারীকে স্কুলের প্রবেশ পথে বাধা দেয় সেখানে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সেখানেই বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আইতাজ হাসান মারাত্মকভাবে আহত হলে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায়। তার এই জীবনের বিনিময়ে ওই স্কুলের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী প্রাণে বেঁচে যায়।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, খাইবার পাকতুনখোয়ার পুলিশ প্রধান নাসির খান দুররানি আইতাজ হাসানকে মরণোত্তর পুরস্কার দেয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত সুপারিশ করেন। পুলিশের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ওই স্কুলে প্রবেশের চেষ্টা করে। সেখানে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত ছিল। আইতাজ হাসান তার জীবনের বিনিময়ে সাহসিকতার সঙ্গে ওই বোমা হামলাকারীকে থামায়। তার এই দুঃসাহসিকতায় কয়েকশ’ নিরীহ শিক্ষার্থী প্রাণে বেঁচে যায়। পাকিস্তানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বেসামরিক পুরস্কার রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে আইতাজ হাসানকে কোনো পুরস্কার দেয়া হবে। হাসানের বাবা মুজাহিদ আলী বাঙ্গাশ বৃহস্পতিবার এএফপিকে বলেন, ছেলের মৃত্যুতে আমি দুঃখ পাননি। বরং ছেলের এই মৃত্যুতে আমি অনেক গর্বিত। তিনি বলেন, কেননা, আমার ছেলে হয়তো আমাকে কাঁদিয়ে চলে গেছে কিন্তু হাজার মায়ের কান্না থামিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশীদেরকে আমি বলেছি, আমার ছেলে বীর। আমি শহীদের বাবা। আমাকে শান্তনার বদলে সাধুবাদ জানান। আমি আরও খুশি হব। আমার ২য় ছেলেটিও যদি দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করে।
No comments