কতদিন পর...
কার্যত 'অবরুদ্ধ' থেকে টানা ১৬ দিন পর
বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের গুলশানের কার্যালয়ে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়া। শনিবার রাতে তার গাড়িটি যখন গুলশানের বাড়ি থেকে বের হয়, তখন তাতে
জাতীয় পতাকা ছিল না। দীর্ঘ বছর পর খালেদা জিয়ার গাড়িতে শোভা পাচ্ছিল শুধু
দলীয় পতাকা। রাত পৌনে ৮টায় খালেদা জিয়ার গাড়ি বাসা থেকে বের হওয়ার সময় এর
সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতার পুলিশ প্রটোকলও ছিল না, যা এতদিন দেখা যেত। তবে
সামনে-পেছনে পাহারায় ছিল পুলিশের দুটি গাড়ি। এতে ১২ জন পুলিশ ছিল। এ ছাড়া
দুটি মাইক্রোবাসে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীরা।
কার্যালয়ে ঢুকেই চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিএনপি
চেয়ারপারসন। বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর
রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত
ছিলেন। নবম সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে গাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার
করতেন খালেদা জিয়া। তবে গত ৫ জানুয়ারি বিএনপিবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনে
জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দলটির সিনিয়র
প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেটও
প্রকাশ করেছে সংসদ। বিএনপি এই নির্বাচনকে 'অবৈধ' বলে তা বাতিলের দাবিতে
আন্দোলনে রয়েছে।
বিএনপি কার্যালয়ে আগে থেকেই ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, জয়নুল আবদিন ফারুক, নুরে আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, নিলুফার চৌধুরী মনিসহ দলের নেতারা। হালকা গোলাপি রঙের শাড়ি ও একই রঙের চাদর পরা খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নামলে তারা নেত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সর্বশেষ গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গুলশান কার্যালয়ে যান খালেদা জিয়া। নির্বাচন ঠেকাতে গত ২৪ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে গণতন্ত্র অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। এ কর্মসূচির পর ২৬ ডিসেম্বর থেকে তার গুলশানের বাড়ি ও কার্যালয়ে পুলিশ পাহারা বাড়ানো হয়। খালেদা জিয়ার অভিযোগ, এর মধ্য দিয়ে কার্যত তাকে গৃহবন্দি করা হয়; যদিও সরকারের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সমাবেশে যোগ দিতে বাধা পান বিএনপি চেয়ারপারসন। অবশ্য খালেদা জিয়ার বাসার আঙিনায় কিছু সাংবাদিক প্রবেশ করলে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে অবরোধ চলবে বলে জানান তিনি। দলীয় নেতারাও তার সঙ্গে দেখা করতে যেতে বাধা পান। দলের সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খালেদা জিয়া গৃহবন্দি কি-না জানতে চান। একই সঙ্গে তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অবরুদ্ধ অবস্থায় অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আলবার্ট কোনসে ও কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন গুলশানের বাড়িতে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। নির্বাচনের পর গত ৮ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বাসার সামনে থেকে পুলিশের অতিরিক্ত পাহারা সরিয়ে নেওয়া হয়। পুলিশের বক্তব্য, নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বিরোধীদলীয় নেতার বাড়িতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারা বাড়ানো হয়েছিল। ঝুঁকি কমে যাওয়ায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেই সঙ্গে সমঝোতার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বানও রয়েছে তার। চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক ঘণ্টা বৈঠক : ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জুনের সঙ্গে খালেদা জিয়া প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। রাত ৭টা ৪০ মিনিট থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ বৈঠক স্থায়ী হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি গুরুত্ব পায় বলে জানা গেছে। এ ছাড়া চীন-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়েও এ সময় আলোচনা হয়।
দলীয় নেতা ও পেশাজীবীদের সাক্ষাৎ :গতকাল রাতে সাক্ষাৎ করেছেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও বিএনপিপন্থি পেশাজীবী নেতারা। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করে যাওয়ার পর দেখা করতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামালউদ্দিন সবুজ, অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম, অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদারসহ চিকিৎসক, আইনজীবী, কৃষিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।
এর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী, মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সদ্য সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরা, নিলোফার চৌধুরী মনি, নির্বাহী সদস্য শামা ওবায়েদ, জেবা খান, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরাও সাক্ষাৎ করেন। এর মধ্যে ছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী, হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও বড় ছেলের স্ত্রী।
দীর্ঘদিন পর খালেদা জিয়া অফিস করায় দলের নেতাকর্মীরা তার অফিসের সামনে ভিড় করেন। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর আগমনে সরগরম হয়ে ওঠে কার্যালয় প্রাঙ্গণ। এ ছাড়া সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেয় সাদা পোশাকের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।
বিএনপি কার্যালয়ে আগে থেকেই ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, জয়নুল আবদিন ফারুক, নুরে আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, নিলুফার চৌধুরী মনিসহ দলের নেতারা। হালকা গোলাপি রঙের শাড়ি ও একই রঙের চাদর পরা খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নামলে তারা নেত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সর্বশেষ গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গুলশান কার্যালয়ে যান খালেদা জিয়া। নির্বাচন ঠেকাতে গত ২৪ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে গণতন্ত্র অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। এ কর্মসূচির পর ২৬ ডিসেম্বর থেকে তার গুলশানের বাড়ি ও কার্যালয়ে পুলিশ পাহারা বাড়ানো হয়। খালেদা জিয়ার অভিযোগ, এর মধ্য দিয়ে কার্যত তাকে গৃহবন্দি করা হয়; যদিও সরকারের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সমাবেশে যোগ দিতে বাধা পান বিএনপি চেয়ারপারসন। অবশ্য খালেদা জিয়ার বাসার আঙিনায় কিছু সাংবাদিক প্রবেশ করলে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে অবরোধ চলবে বলে জানান তিনি। দলীয় নেতারাও তার সঙ্গে দেখা করতে যেতে বাধা পান। দলের সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খালেদা জিয়া গৃহবন্দি কি-না জানতে চান। একই সঙ্গে তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অবরুদ্ধ অবস্থায় অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আলবার্ট কোনসে ও কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন গুলশানের বাড়িতে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। নির্বাচনের পর গত ৮ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বাসার সামনে থেকে পুলিশের অতিরিক্ত পাহারা সরিয়ে নেওয়া হয়। পুলিশের বক্তব্য, নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বিরোধীদলীয় নেতার বাড়িতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারা বাড়ানো হয়েছিল। ঝুঁকি কমে যাওয়ায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেই সঙ্গে সমঝোতার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বানও রয়েছে তার। চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক ঘণ্টা বৈঠক : ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জুনের সঙ্গে খালেদা জিয়া প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। রাত ৭টা ৪০ মিনিট থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ বৈঠক স্থায়ী হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি গুরুত্ব পায় বলে জানা গেছে। এ ছাড়া চীন-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়েও এ সময় আলোচনা হয়।
দলীয় নেতা ও পেশাজীবীদের সাক্ষাৎ :গতকাল রাতে সাক্ষাৎ করেছেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও বিএনপিপন্থি পেশাজীবী নেতারা। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করে যাওয়ার পর দেখা করতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামালউদ্দিন সবুজ, অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম, অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদারসহ চিকিৎসক, আইনজীবী, কৃষিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।
এর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী, মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সদ্য সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরা, নিলোফার চৌধুরী মনি, নির্বাহী সদস্য শামা ওবায়েদ, জেবা খান, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরাও সাক্ষাৎ করেন। এর মধ্যে ছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী, হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও বড় ছেলের স্ত্রী।
দীর্ঘদিন পর খালেদা জিয়া অফিস করায় দলের নেতাকর্মীরা তার অফিসের সামনে ভিড় করেন। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর আগমনে সরগরম হয়ে ওঠে কার্যালয় প্রাঙ্গণ। এ ছাড়া সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেয় সাদা পোশাকের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।
No comments