থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে
থাইল্যান্ডে
সহিংসতা আরও ব্যাপক আকার ধারনের আশঙ্কা করছেন দেশটির সেনাপ্রধান প্রায়ুথ
চান ও-চা। গতকাল শনিবার সকালে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে ৭
বিক্ষোভকারী আহত হওয়ার পর জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ আশঙ্কা
প্রকাশ করেন। এদিকে থাই উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজনে জরুরি অবস্থা
জারি করতে প্রস্তুত সরকার। আজ রোববার ইংলাকবিরোধীদের 'ব্যাংকক দখল করো'
কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে ২০ হাজার সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তা
সত্ত্বেও রাজধানীতে জড়ো হতে শুরু করেছে বিক্ষোভকারীরা। খবর : বিবিসি, এএফপি
ও রয়টার্স। ব্যাংকক অচল কর্মসূচির কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে
গেলে জরুরি অবস্থা জারি করতে প্রস্তুত সরকার। আজ রোববার থেকে ইংলাকবিরোধীরা
ব্যাংকক অচল কর্মসূচি পালন করবে। এতে অংশ নিতে হাজার হাজার মানুষ ব্যাংককে
অবস্থান নিতে শুরু করেছে। নিরাপত্তার জন্য ব্যাংককের ৩৭টি পয়েন্টে ২০
হাজার পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কর্মসূচির কারণে ব্যাংককে এরই মধ্যে
স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উপ-প্রধানমন্ত্রী সুরাপং তোভিচাক চাইকুল
সাংবাদিকদের বলেন, সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি অবস্থা জারি করতে
প্রস্তুত।
সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চান ও-চা বিরোধী দলের কর্মসূচি প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, 'এতে অনেক মানুষের সমাবেশ হবে। আমি নিরাপত্তা নিয়ে ভয় পাচ্ছি। সহিংসতা কিন্তু উত্তরোত্তর বাড়ছে।' তিনি দু'পক্ষকেই ভিন্নভাবে চিন্তা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'আমরা একে অন্যকে খুন করতে পারি না। দয়া করে হানাহানি বন্ধ করুন।' ব্যাংকক দখল কর্মসূচি নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শুক্রবার উদ্বেগ প্রকাশ করে থাই নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানিয়েছে। দু'মাস ধরে চলা বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৮ জন নিহত হয়েছে।
গতকাল সকালে অজ্ঞাতপরিচয় দুই বন্দুকধারীর গুলিতে ৭ জন আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশপ্রধান আদুল সায়েংসিংকাইউ বলেন, 'খাও সান রোড পর্যটক এলাকায় দু'জন বন্দুকধারী এ ঘটনা ঘটায়। আহতদের বেশিরভাগই সরকারবিরোধী আন্দোলনের সমর্থক।' বন্দুকধারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
রাজধানী ব্যাংককের অভিজাত শ্রেণী ও রাজতন্ত্রের সমর্থকদের সঙ্গে এ দ্বন্দ্ব চলছে সিনাওয়াত্রা পরিবারের সমর্থক গরিব ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করা মানুষের মধ্যে। এর আগে এক সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ইংলাক সিনাওয়াত্রার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। থাকসিন এখন বিদেশে স্বেচ্ছানির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন।
সেনা হস্তক্ষেপের আশঙ্কা থাইদের সরকার ও বিরোধী দলের সম্পর্কে চরম অস্থিরতা এবং ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় দেশে সেনা হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছে থাইল্যান্ডের সাধারণ মানুষ। তাদের ধারণা, শিগগিরই এ অবস্থার অবসান না ঘটলে পরিস্থিতি সেনাবাহিনী নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে। পুরনো অভিজ্ঞতা থেকেই এমনটা ধারণা করা হচ্ছে। তবে সরকার এ আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে।
থাইল্যান্ডের ৮১ বছরের ইতিহাসে ১৮টি সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে। দেশে চলমান অস্থিরতা ক্রমে বেড়ে চলেছে দেখেও এ পর্যন্ত সেনাবাহিনী নিজেদের নিরপেক্ষ ভূমিকায় রেখেছে। ইংলাক সরকারের পতনের দাবিতে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছে প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট সমর্থিত সরকারবিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, ভাই থাকসিনই আড়ালে থেকে ইংলাকের সরকারকে পরিচালনা করছেন। তার প্রভাবমুক্ত রাজনীতি প্রতিষ্ঠার নামেই সরকার পতনের আন্দোলন করছে তারা। এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক বেশ কিছু সমঝোতামূলক পদক্ষেপ নিলেও দমেনি বিরোধীরা। চূড়ান্ত পর্যায়ে আন্দোলন হিসেবে ব্যাংকক দখল কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চান ও-চা বিরোধী দলের কর্মসূচি প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, 'এতে অনেক মানুষের সমাবেশ হবে। আমি নিরাপত্তা নিয়ে ভয় পাচ্ছি। সহিংসতা কিন্তু উত্তরোত্তর বাড়ছে।' তিনি দু'পক্ষকেই ভিন্নভাবে চিন্তা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'আমরা একে অন্যকে খুন করতে পারি না। দয়া করে হানাহানি বন্ধ করুন।' ব্যাংকক দখল কর্মসূচি নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শুক্রবার উদ্বেগ প্রকাশ করে থাই নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানিয়েছে। দু'মাস ধরে চলা বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৮ জন নিহত হয়েছে।
গতকাল সকালে অজ্ঞাতপরিচয় দুই বন্দুকধারীর গুলিতে ৭ জন আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশপ্রধান আদুল সায়েংসিংকাইউ বলেন, 'খাও সান রোড পর্যটক এলাকায় দু'জন বন্দুকধারী এ ঘটনা ঘটায়। আহতদের বেশিরভাগই সরকারবিরোধী আন্দোলনের সমর্থক।' বন্দুকধারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
রাজধানী ব্যাংককের অভিজাত শ্রেণী ও রাজতন্ত্রের সমর্থকদের সঙ্গে এ দ্বন্দ্ব চলছে সিনাওয়াত্রা পরিবারের সমর্থক গরিব ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করা মানুষের মধ্যে। এর আগে এক সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ইংলাক সিনাওয়াত্রার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। থাকসিন এখন বিদেশে স্বেচ্ছানির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন।
সেনা হস্তক্ষেপের আশঙ্কা থাইদের সরকার ও বিরোধী দলের সম্পর্কে চরম অস্থিরতা এবং ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় দেশে সেনা হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছে থাইল্যান্ডের সাধারণ মানুষ। তাদের ধারণা, শিগগিরই এ অবস্থার অবসান না ঘটলে পরিস্থিতি সেনাবাহিনী নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে। পুরনো অভিজ্ঞতা থেকেই এমনটা ধারণা করা হচ্ছে। তবে সরকার এ আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে।
থাইল্যান্ডের ৮১ বছরের ইতিহাসে ১৮টি সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে। দেশে চলমান অস্থিরতা ক্রমে বেড়ে চলেছে দেখেও এ পর্যন্ত সেনাবাহিনী নিজেদের নিরপেক্ষ ভূমিকায় রেখেছে। ইংলাক সরকারের পতনের দাবিতে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছে প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট সমর্থিত সরকারবিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, ভাই থাকসিনই আড়ালে থেকে ইংলাকের সরকারকে পরিচালনা করছেন। তার প্রভাবমুক্ত রাজনীতি প্রতিষ্ঠার নামেই সরকার পতনের আন্দোলন করছে তারা। এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক বেশ কিছু সমঝোতামূলক পদক্ষেপ নিলেও দমেনি বিরোধীরা। চূড়ান্ত পর্যায়ে আন্দোলন হিসেবে ব্যাংকক দখল কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
No comments