এটা জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার নয়
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ রোববার ১২ জানুয়ারি যে সরকার গঠিত হবে, তা হবে
বাংলাদেশের মানুষের প্রতিনিধিত্বহীন স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের সরকার। এই
সরকার কোনো দিক থেকেই বৈধ সরকার হিসেবে দেশে-বিদেশে বিবেচিত হবে না। এ
সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার হবে না। নৈতিক ও সাংবিধানিক বৈধতা কোনো
মহল থেকেই পাবে না। গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব
কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে চরমতম কলঙ্কময়
প্রহসন ছিল ৫ জানুয়ারি নির্বাচন। এটা ছিল গণতন্ত্রের সব বিধি-বিধানের
পরিপন্থী, অনৈতিক এবং অবৈধ। মেরুদণ্ডবিহীন, অযোগ্য নির্বাচন কমিশন সরকারের
নীল-নকশার নির্বাচনকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অতীতের সব আজ্ঞাবহ নির্বাচন
কমিশনের ভূমিকাকেও হার মানিয়েছে। এ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে
গণতন্ত্র আরও একবার আওয়ামী লীগের হাতে নিহত হলো দাবি করে মির্জা আলমগীর বলেন, এ নির্বাচনে ৩-৫% ভোটার ভোট দিয়েছে। ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষিত হয়েছেন। ৫২% ভোটার তাদের ভোটাধিকারের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বাকি ১৪৭টি আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪১। প্রকৃত ভোট পড়েছে সর্বাধিক ৩ থেকে ৫ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে ৯৫-৯৭% ভোটার আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় নাই। তাই এই তথাকথিত নির্বাচন কোনোমতেই কারও কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নতুনভাবে তথাকথিত নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার গঠন করতে আহ্বান করেছেন। পুরো প্রক্রিয়াটি অসাংবিধানিক বলে ইতিমধ্যে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এবং সংবিধান লঙ্ঘন করার দায় নির্বাচন কমিশন, স্পিকার এবং রাষ্ট্রপতির ওপর বর্তাবে বলে অভিমত দিয়েছেন রাজনীতিক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।
মির্জা আলমগীর তার পাঠানো বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলেন, আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলতে চাই, রাষ্ট্র এখন একজন ব্যক্তির একগুঁয়েমি, স্বৈরাচারী আচরণের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে শুধু প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ১৯৭৫ সালে সংসদকে ব্যবহার করে এভাবেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করার অপচেষ্টা করেছিল এই দলটি। বিবৃতিতে বলা হয়, আজ ৩৯ বছর পর আবার ভিন্ন লেবাসে সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থাই তারা চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। উদ্ভট, অভিনব, হাস্যকর কায়দায় জাতীয় পার্টিকে কখনও বিরোধী দল, কখনও সরকারের অংশীদার হিসেবে দেখিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে প্রতারণা করছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, সরকারি হিসাবমতেই প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী, নিরীহ মানুষকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষকে বিনা কারণে ৬ মাস থেকে ১ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে। বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। রিমান্ডে দিয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির সব অপকৌশল গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার এ হীন কৌশল গণতন্ত্রকামী মানুষ মেনে নেবে না।
গণতন্ত্র আরও একবার আওয়ামী লীগের হাতে নিহত হলো দাবি করে মির্জা আলমগীর বলেন, এ নির্বাচনে ৩-৫% ভোটার ভোট দিয়েছে। ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষিত হয়েছেন। ৫২% ভোটার তাদের ভোটাধিকারের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বাকি ১৪৭টি আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪১। প্রকৃত ভোট পড়েছে সর্বাধিক ৩ থেকে ৫ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে ৯৫-৯৭% ভোটার আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় নাই। তাই এই তথাকথিত নির্বাচন কোনোমতেই কারও কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নতুনভাবে তথাকথিত নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার গঠন করতে আহ্বান করেছেন। পুরো প্রক্রিয়াটি অসাংবিধানিক বলে ইতিমধ্যে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এবং সংবিধান লঙ্ঘন করার দায় নির্বাচন কমিশন, স্পিকার এবং রাষ্ট্রপতির ওপর বর্তাবে বলে অভিমত দিয়েছেন রাজনীতিক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।
মির্জা আলমগীর তার পাঠানো বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলেন, আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলতে চাই, রাষ্ট্র এখন একজন ব্যক্তির একগুঁয়েমি, স্বৈরাচারী আচরণের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে শুধু প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ১৯৭৫ সালে সংসদকে ব্যবহার করে এভাবেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করার অপচেষ্টা করেছিল এই দলটি। বিবৃতিতে বলা হয়, আজ ৩৯ বছর পর আবার ভিন্ন লেবাসে সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থাই তারা চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। উদ্ভট, অভিনব, হাস্যকর কায়দায় জাতীয় পার্টিকে কখনও বিরোধী দল, কখনও সরকারের অংশীদার হিসেবে দেখিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে প্রতারণা করছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, সরকারি হিসাবমতেই প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী, নিরীহ মানুষকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষকে বিনা কারণে ৬ মাস থেকে ১ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে। বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। রিমান্ডে দিয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির সব অপকৌশল গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার এ হীন কৌশল গণতন্ত্রকামী মানুষ মেনে নেবে না।
ফখরুলের বিবৃতি
No comments