হরতালে ভাত জোটে না নিম্ন আয়ের মানুষের by অনিকা ফারজানা
‘হরতালে হেগো খাওনের কষ্ট নাই, কিন্তু
আমাগো তো ভাত জোটে না।’ মালিবাগ বাজারের মোড়ে কাজের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা
বর্ষীয়ান দিনমজুর মফিজউল্লাহ জানালেন তাঁর হতাশার কথা।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি বিতৃষ্ণা প্রকাশ করে তিনি বললেন, গত দুই দিনের টানা হরতালে তিনি একটি টাকাও আয় করতে পারেননি।
আরেক দিনমজুর মো. খালিশের বিরক্তিভরা অভিযোগ, ‘কে মরল কে বাঁচল, তাতে আমাগো কী? কার ফাঁসি হইব, হেইডা দিয়া কি মোগো দিন চলব? কিছু হইল তো, দিল হরতাল। আমাগো কাজ দিব কেডা?’
গতকাল মঙ্গলবার এভাবেই নিজেদের হতাশা প্রকাশ করেন মালিবাগ বাজারের মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দিনমজুরেরা। বগুড়ার প্রত্যন্ত এলাকা ও ময়মনসিংহ থেকে আসা খালিশ, রহিম, মফিজউল্লাহ, আরিফরা প্রতিদিন সকালেই মালিবাগ বাজারের মোড়ে চলে আসেন। তাঁদের সম্বল বাঁশের টুকরি, খন্তা বা কোদাল। যখন যেমন কাজ জোটে, তাই করেন। দরকারমতো মানুষ এঁদের দিনের চুক্তিতে কাজের জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু টানা দুই দিনের হরতালে তাঁদের কেউ ডাকতে আসেনি।
কমলাপুর রেলস্টেশনে শুয়ে-বসে অলস সময় পার করছেন কুলিরা। হরতালের ভয়ে যাত্রী নেই, তাই কাজ নেই এবং দিনের আয়ও নেই। রতন জানান, প্রতিদিন যাত্রীদের মালামাল টেনে তাঁর কমপক্ষে দেড় শ টাকা আয় হয়। মা-বোনসহ তিনজনের সংসার চলেও যায়। কিন্তু গত দুই দিনে তাঁর আয় হয়েছে মাত্র ৮০ টাকা। রোজায় বাড়তি আয় করতে প্রতিবছরই টাঙ্গাইল থেকে কমলাপুর স্টেশনে কুলির কাজ করতে আসেন রাকিব মিয়া। কিন্তু গত দুই দিনের হরতালে তিনি নিজের গাঁটের অর্থ খরচ করেছেন, ১০০ টাকাও তাঁর আয় হয়নি।
পবিত্র রমজান মাস চলছে। সামনে ঈদ। এ সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ্রমজীবী মানুষ রাজধানীতে আসেন কিছুটা বাড়তি অর্থ আয়ের উদ্দেশ্যে। দূর-দূরান্তের শ্রমজীবীরা কমলাপুর রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন বাস টার্মিনালে টুকটাক কাজ করেন এবং রাতও কাটান। আর নরসিংদী, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জের শ্রমজীবীরা কাজ সেরে দিনান্তে ফিরে যান। কিন্তু ক্রমাগত হরতালে তাঁদের কারও কাজ নেই। এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধে আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের রায়ের কারণে আজ বুধবারও হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।
উত্তর বাড্ডায় এক যাত্রীকে নিয়ে হাতাহাতির দশা তিন অটোরিকশা-চালকের। যাত্রী যাবেন মতিঝিলে, ভাড়া দেবেন ৮০ টাকা, তা-ই সই। অটোরিকশাচালক মান্নান জানান, ‘হরতালে রাস্তায় যাত্রী থাকে না। একে তো পিকেটারদের ভয়, অন্যদিকে মালিকের জমা। তাই রাস্তায় বের হয়ে যাত্রী না পেলে দিন চলাই মুশকিল।’
কাপাসিয়া থেকে গত রোববার ২০০ কাঁঠাল নিয়ে রামপুরা টিভি স্টেশনের অদূরে অস্থায়ী দোকানে বসেছেন মো. ইকবাল মিয়া। তিনি জানান, হরতালের কারণে মানুষের চলাফেরা কম। তাই বেচাবিক্রিও ভালো নেই। উল্টো প্রতিদিনের দোকানভাড়া হিসেবে মালিককে ৬০ টাকা এবং পুলিশকে দিনে ৩০ টাকা দিতে হচ্ছে।
গতকাল বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খরিদ্দার না থাকলেও দোকান খুলেছেন প্রায় সবাই। ফুটপাতের ওপর বিভিন্ন ফলের পসরা, কাটপিস কাপড়ের অস্থায়ী দোকান, ঠেলায় শাকসবজি—সবই আছে, কিন্তু ক্রেতা নেই কোথাও।
আরেক দিনমজুর মো. খালিশের বিরক্তিভরা অভিযোগ, ‘কে মরল কে বাঁচল, তাতে আমাগো কী? কার ফাঁসি হইব, হেইডা দিয়া কি মোগো দিন চলব? কিছু হইল তো, দিল হরতাল। আমাগো কাজ দিব কেডা?’
গতকাল মঙ্গলবার এভাবেই নিজেদের হতাশা প্রকাশ করেন মালিবাগ বাজারের মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দিনমজুরেরা। বগুড়ার প্রত্যন্ত এলাকা ও ময়মনসিংহ থেকে আসা খালিশ, রহিম, মফিজউল্লাহ, আরিফরা প্রতিদিন সকালেই মালিবাগ বাজারের মোড়ে চলে আসেন। তাঁদের সম্বল বাঁশের টুকরি, খন্তা বা কোদাল। যখন যেমন কাজ জোটে, তাই করেন। দরকারমতো মানুষ এঁদের দিনের চুক্তিতে কাজের জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু টানা দুই দিনের হরতালে তাঁদের কেউ ডাকতে আসেনি।
কমলাপুর রেলস্টেশনে শুয়ে-বসে অলস সময় পার করছেন কুলিরা। হরতালের ভয়ে যাত্রী নেই, তাই কাজ নেই এবং দিনের আয়ও নেই। রতন জানান, প্রতিদিন যাত্রীদের মালামাল টেনে তাঁর কমপক্ষে দেড় শ টাকা আয় হয়। মা-বোনসহ তিনজনের সংসার চলেও যায়। কিন্তু গত দুই দিনে তাঁর আয় হয়েছে মাত্র ৮০ টাকা। রোজায় বাড়তি আয় করতে প্রতিবছরই টাঙ্গাইল থেকে কমলাপুর স্টেশনে কুলির কাজ করতে আসেন রাকিব মিয়া। কিন্তু গত দুই দিনের হরতালে তিনি নিজের গাঁটের অর্থ খরচ করেছেন, ১০০ টাকাও তাঁর আয় হয়নি।
পবিত্র রমজান মাস চলছে। সামনে ঈদ। এ সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ্রমজীবী মানুষ রাজধানীতে আসেন কিছুটা বাড়তি অর্থ আয়ের উদ্দেশ্যে। দূর-দূরান্তের শ্রমজীবীরা কমলাপুর রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন বাস টার্মিনালে টুকটাক কাজ করেন এবং রাতও কাটান। আর নরসিংদী, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জের শ্রমজীবীরা কাজ সেরে দিনান্তে ফিরে যান। কিন্তু ক্রমাগত হরতালে তাঁদের কারও কাজ নেই। এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধে আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের রায়ের কারণে আজ বুধবারও হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।
উত্তর বাড্ডায় এক যাত্রীকে নিয়ে হাতাহাতির দশা তিন অটোরিকশা-চালকের। যাত্রী যাবেন মতিঝিলে, ভাড়া দেবেন ৮০ টাকা, তা-ই সই। অটোরিকশাচালক মান্নান জানান, ‘হরতালে রাস্তায় যাত্রী থাকে না। একে তো পিকেটারদের ভয়, অন্যদিকে মালিকের জমা। তাই রাস্তায় বের হয়ে যাত্রী না পেলে দিন চলাই মুশকিল।’
কাপাসিয়া থেকে গত রোববার ২০০ কাঁঠাল নিয়ে রামপুরা টিভি স্টেশনের অদূরে অস্থায়ী দোকানে বসেছেন মো. ইকবাল মিয়া। তিনি জানান, হরতালের কারণে মানুষের চলাফেরা কম। তাই বেচাবিক্রিও ভালো নেই। উল্টো প্রতিদিনের দোকানভাড়া হিসেবে মালিককে ৬০ টাকা এবং পুলিশকে দিনে ৩০ টাকা দিতে হচ্ছে।
গতকাল বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খরিদ্দার না থাকলেও দোকান খুলেছেন প্রায় সবাই। ফুটপাতের ওপর বিভিন্ন ফলের পসরা, কাটপিস কাপড়ের অস্থায়ী দোকান, ঠেলায় শাকসবজি—সবই আছে, কিন্তু ক্রেতা নেই কোথাও।
No comments