আবার রক্তাক্ত কায়রো
মিসরের রাজধানী কায়রোতে ক্ষমতাচ্যুত
প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে গত সোমবার রাতভর
সংঘর্ষে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৫০ জনের বেশি। গতকাল
মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহেই কায়রোতে সংঘর্ষ ও সেনা অভিযানে মুরসির বেশ কয়েকজন সমর্থক
নিহত হন। এরপর সোমবার নতুন করে হতাহতের এ ঘটনা ঘটল। কায়রো সফররত
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি সহিংসতা বন্ধের
আহ্বান জানিয়েছেন। মিসরের জরুরি সেবাবিষয়ক প্রধান মুহাম্মদ সুলতান
এএফপিকে জানান, তাহরির স্কয়ারের অদূরে রামসেস এলাকায় সংঘর্ষে দুজন নিহত
হন। অন্য পাঁচজন নিহত হন গিজা এলাকায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খালেদ আল-খতিব বলেছেন, বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে অন্তত ২৬১ জন আহত হন। কয়েক দিন গণবিক্ষোভের পর সেনাবাহিনী ৩ জুলাই মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর পর থেকে তাঁকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। সমর্থকদের দাবি, মুরসিকে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পদচ্যুত করা হয়েছে। এখনো তিনিই দেশটির বৈধ প্রেসিডেন্ট। মুরসিকে আবার ক্ষমতায় বসানোর দাবিতে সোমবার ইফতারের পর হাজারো সমর্থক রাজপথে নেমে আসেন।
কয়েক হাজার সমর্থক নীল নদের ওপরে একটি সেতু অবরোধ করেন। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে তাঁদের সেখান থেকে হটানোর চেষ্টা করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মিসরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে সেনাবাহিনী ৩ জুলাই ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে এ পর্যন্ত সংঘর্ষে শতাধিক লোক নিহত হয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, জনগণের ইচ্ছাতেই মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। অন্যদিকে মুসলিম ব্রাদারহুড বলেছে, সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। আলা এল-দীন নামে ৩৪ বছর বয়সী একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী বলেন, ‘সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সেনাবাহিনী। তারা আমাদের ভাইদের হত্যা করছে।’ চলমান এই সংকটের কারণে মিসরে ক্রমশ বিভক্তি সৃষ্টি হচ্ছে। পুরোনো মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে বিশ্বাস রাখতে পারছে না কোনো পক্ষই। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি বিল বার্নস সোমবার কায়রোয় পৌঁছানোর পর সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, সেনা অনুমোদিত প্রেসিডেন্ট আদলি মানসুর ও অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হাজেম আল বেবলাউয়ির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বার্নস জানান, তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে গ্রেপ্তার না করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র গতকাল জানান, দুই দিনের মিসর সফরকালে বার্নস ব্রাদারহুডের কোনো নেতার সঙ্গে বৈঠক করেননি। প্রধানমন্ত্রী বেবলাউয়ির আজ বুধবারের মধ্যে নতুন অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা করার কথা। মুরসির সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড নতুন সরকারে যোগ দেবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে। গত সোমবার রাতে কায়রোর বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৪০১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এএফপি ও রয়টার্স।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খালেদ আল-খতিব বলেছেন, বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে অন্তত ২৬১ জন আহত হন। কয়েক দিন গণবিক্ষোভের পর সেনাবাহিনী ৩ জুলাই মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর পর থেকে তাঁকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। সমর্থকদের দাবি, মুরসিকে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পদচ্যুত করা হয়েছে। এখনো তিনিই দেশটির বৈধ প্রেসিডেন্ট। মুরসিকে আবার ক্ষমতায় বসানোর দাবিতে সোমবার ইফতারের পর হাজারো সমর্থক রাজপথে নেমে আসেন।
কয়েক হাজার সমর্থক নীল নদের ওপরে একটি সেতু অবরোধ করেন। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে তাঁদের সেখান থেকে হটানোর চেষ্টা করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মিসরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে সেনাবাহিনী ৩ জুলাই ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে এ পর্যন্ত সংঘর্ষে শতাধিক লোক নিহত হয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, জনগণের ইচ্ছাতেই মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। অন্যদিকে মুসলিম ব্রাদারহুড বলেছে, সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। আলা এল-দীন নামে ৩৪ বছর বয়সী একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী বলেন, ‘সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সেনাবাহিনী। তারা আমাদের ভাইদের হত্যা করছে।’ চলমান এই সংকটের কারণে মিসরে ক্রমশ বিভক্তি সৃষ্টি হচ্ছে। পুরোনো মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে বিশ্বাস রাখতে পারছে না কোনো পক্ষই। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি বিল বার্নস সোমবার কায়রোয় পৌঁছানোর পর সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, সেনা অনুমোদিত প্রেসিডেন্ট আদলি মানসুর ও অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হাজেম আল বেবলাউয়ির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বার্নস জানান, তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে গ্রেপ্তার না করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র গতকাল জানান, দুই দিনের মিসর সফরকালে বার্নস ব্রাদারহুডের কোনো নেতার সঙ্গে বৈঠক করেননি। প্রধানমন্ত্রী বেবলাউয়ির আজ বুধবারের মধ্যে নতুন অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা করার কথা। মুরসির সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড নতুন সরকারে যোগ দেবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে। গত সোমবার রাতে কায়রোর বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৪০১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এএফপি ও রয়টার্স।
No comments