মিয়ানমারকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিল যুক্তরাজ্য
মিয়ানমারের সফররত প্রেসিডেন্ট থেইন
সেইনকে সামরিক সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে যুক্তরাজ্য। সোমবার বিকেলে
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠকে
মিলিত হলে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। গত দুই দশকের মধ্যে যুক্তরাজ্যে
মিয়ানমারের কোনো সরকারপ্রধানের এটিই প্রথম সফর। মিয়ানমারের রাজনৈতিক
সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, তাঁরা
২০১৫ সালে অনুষ্ঠেয় সুষ্ঠু, অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
তিনি বলেন, উভয় দেশ বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতার
ভিত্তিতে কাজ করতে পারে।
তবে বৈঠকে ক্যামেরন মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন। মিয়ানমারের সঙ্গে প্রস্তাবিত সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা না হলেও দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকা জানিয়েছে, শুরুতে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য ইয়াঙ্গুনে তাদের দূতাবাসে একজন সামরিক অ্যাটাশে নিয়োগ করবে। পরে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড জানিয়েছেন, গণতান্ত্রিক সংস্কারের পটভূমিতে তাঁরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রস্তাব আলোচনা করছেন। ক্যামেরন-সেইন বৈঠকের সময় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাইরে কয়েক শ মানবাধিকারকর্মী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। আওয়াজ নামের একটি নাগরিক অধিকার সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক রিকেন প্যাটেল প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের সমালোচনা করে বলেন, ‘তাঁর উচিত ছিল বাণিজ্যের আগে মানুষের জীবনকে স্থান দেওয়া। এদিকে প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন গতকাল মঙ্গলবার লন্ডনে বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যেই তাঁর সরকার সে দেশের সব রাজবন্দীকে মুক্তি দেবে। পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক সহায়তা দপ্তর মিয়ানমারের জন্য তিন কোটি পাউন্ড সাহায্য ঘোষণা করেছে। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন লন্ডনে আরও জানিয়েছেন, আরাকান রাজ্যে মোতায়েন নাসাকা বাহিনী বিলুপ্ত করা হচ্ছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় থেইন সেইন এ কথা জানান।
তবে বৈঠকে ক্যামেরন মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন। মিয়ানমারের সঙ্গে প্রস্তাবিত সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা না হলেও দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকা জানিয়েছে, শুরুতে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য ইয়াঙ্গুনে তাদের দূতাবাসে একজন সামরিক অ্যাটাশে নিয়োগ করবে। পরে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড জানিয়েছেন, গণতান্ত্রিক সংস্কারের পটভূমিতে তাঁরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রস্তাব আলোচনা করছেন। ক্যামেরন-সেইন বৈঠকের সময় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাইরে কয়েক শ মানবাধিকারকর্মী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। আওয়াজ নামের একটি নাগরিক অধিকার সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক রিকেন প্যাটেল প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের সমালোচনা করে বলেন, ‘তাঁর উচিত ছিল বাণিজ্যের আগে মানুষের জীবনকে স্থান দেওয়া। এদিকে প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন গতকাল মঙ্গলবার লন্ডনে বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যেই তাঁর সরকার সে দেশের সব রাজবন্দীকে মুক্তি দেবে। পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক সহায়তা দপ্তর মিয়ানমারের জন্য তিন কোটি পাউন্ড সাহায্য ঘোষণা করেছে। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন লন্ডনে আরও জানিয়েছেন, আরাকান রাজ্যে মোতায়েন নাসাকা বাহিনী বিলুপ্ত করা হচ্ছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় থেইন সেইন এ কথা জানান।
No comments