শিশু দেখভাল আদর হবে একই রকম
ওরা দুই ভাই। বড়টার নাম রিয়াল, ছোটটা
রিয়াদ। দুজন একই স্কুলে পড়ে। ক্লাস অবশ্য ভিন্ন। একজন পঞ্চম, অন্যজন তৃতীয়
শ্রেণীতে। দুজনের মধ্যে খুনসুটি লেগেই থাকে। আবার ভাব হতেও সময় লাগে না।
কিন্তু
যখন তাদের মধ্যে কোনো কিছু নিয়ে তুমুল বেধে যায়, মা অবধারিতভাবে ছোটটির
পক্ষ নেন। দোষ থাকুক না-থাকুক, প্রতিবারই নাকাল হতে হয় রিয়ালের। তখন ছোট
ভাইয়ের ওপর খুব রাগ হয় ওর। ভাবে, ও না থাকলে কত ভালো হতো।
মা-বাবারা নিজেদের অজান্তে শিশুদের মধ্যে যে বৈষম্য তৈরি করেন, এর কি কোনো প্রভাব থাকে ভবিষ্যৎ জীবনে? এ নিয়ে কথা বলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজিস্ট ও সহযোগী অধ্যাপক নারায়ণ সাহার সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘একই বাড়ির দুটি শিশুকে আলাদা করে দেখা যাবে ন। এতে তাদের শরীরিক গঠনগত কোনো পরিবর্তন না হলেও, মনোজগতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে। শিশুর মনের মধ্যে ঈর্ষা কাজ করে। এর প্রভাব থাকে ভবিষ্যৎ জীবনেও।’
অনেক সময় দেখা যায়, খাওয়ার সময় ছোট ছেলেটি কিংবা মেয়েটির আলাদা যত্ন নেওয়া হয়। তার পাতে ওঠে বড় মাছের টুকরা অথবা বড় রোস্টটি। আবার খেলনার সংগ্রহে সব সময়ই এগিয়ে থাকে ছোট শিশুটি। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকার বলেন, ‘মা-বাবার বৈষম্যের কারণে বড় শিশুটির মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। বিষণ্নতায় ভুগতে পারে শিশুটি। পড়ালেখায় হয়ে উঠতে পারে অমনোযোগী। হিংসাত্মক মনোভাব তৈরি হওয়ার কারণে বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা কমে যায়।’
এ তো গেল বড় শিশুটির ক্ষেত্রে। কিন্তু ছোট শিশুটিরও ঝক্কি পোহাতে হয় এ জন্য। মা-বাবা বাইরে থাকলে ছোট শিশুটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারে। আবার বড়দের প্রতি যে সম্মান দেখাতে হয়, সেটা আর তার রপ্ত করা হয়ে ওঠে না। শিশু জেদিও হয়ে ওঠে দিন দিন।
মা-বাবাকে প্রথমে বুঝতে হবে শিশুর মন। দ্বিতীয় সন্তান জন্ম হওয়ার আগে প্রথম সন্তানকে মানসিকভাবে তৈরি করতে হবে। তাকে বোঝাতে হবে আসছে নতুন শিশু। খুব ছোট সেই শিশুকে সবাই মিলেই বড় করতে হবে। বড় শিশুটির মধ্যে জাগাতে হবে দায়িত্ববোধ। নতুন ভাই বা বোন জন্ম নিলে বড় শিশুকে বোঝাতে হবে, এটি তারই ভাই বোন। যাঁরা নতুন শিশুকে দেখতে আসবেন, তাঁদের উচিত বড় ও ছোট দুজনের জন্যই উপহার আনা। দুজনকেই সমানভাবে ভালোবাসতে হবে।
মা-বাবারা নিজেদের অজান্তে শিশুদের মধ্যে যে বৈষম্য তৈরি করেন, এর কি কোনো প্রভাব থাকে ভবিষ্যৎ জীবনে? এ নিয়ে কথা বলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজিস্ট ও সহযোগী অধ্যাপক নারায়ণ সাহার সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘একই বাড়ির দুটি শিশুকে আলাদা করে দেখা যাবে ন। এতে তাদের শরীরিক গঠনগত কোনো পরিবর্তন না হলেও, মনোজগতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে। শিশুর মনের মধ্যে ঈর্ষা কাজ করে। এর প্রভাব থাকে ভবিষ্যৎ জীবনেও।’
অনেক সময় দেখা যায়, খাওয়ার সময় ছোট ছেলেটি কিংবা মেয়েটির আলাদা যত্ন নেওয়া হয়। তার পাতে ওঠে বড় মাছের টুকরা অথবা বড় রোস্টটি। আবার খেলনার সংগ্রহে সব সময়ই এগিয়ে থাকে ছোট শিশুটি। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকার বলেন, ‘মা-বাবার বৈষম্যের কারণে বড় শিশুটির মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। বিষণ্নতায় ভুগতে পারে শিশুটি। পড়ালেখায় হয়ে উঠতে পারে অমনোযোগী। হিংসাত্মক মনোভাব তৈরি হওয়ার কারণে বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা কমে যায়।’
এ তো গেল বড় শিশুটির ক্ষেত্রে। কিন্তু ছোট শিশুটিরও ঝক্কি পোহাতে হয় এ জন্য। মা-বাবা বাইরে থাকলে ছোট শিশুটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারে। আবার বড়দের প্রতি যে সম্মান দেখাতে হয়, সেটা আর তার রপ্ত করা হয়ে ওঠে না। শিশু জেদিও হয়ে ওঠে দিন দিন।
মা-বাবাকে প্রথমে বুঝতে হবে শিশুর মন। দ্বিতীয় সন্তান জন্ম হওয়ার আগে প্রথম সন্তানকে মানসিকভাবে তৈরি করতে হবে। তাকে বোঝাতে হবে আসছে নতুন শিশু। খুব ছোট সেই শিশুকে সবাই মিলেই বড় করতে হবে। বড় শিশুটির মধ্যে জাগাতে হবে দায়িত্ববোধ। নতুন ভাই বা বোন জন্ম নিলে বড় শিশুকে বোঝাতে হবে, এটি তারই ভাই বোন। যাঁরা নতুন শিশুকে দেখতে আসবেন, তাঁদের উচিত বড় ও ছোট দুজনের জন্যই উপহার আনা। দুজনকেই সমানভাবে ভালোবাসতে হবে।
No comments