জবানবন্দিতে আসিফ মুনীর বাবাকে আলবদররা ধরে নিয়ে যায়
পলাতক চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান
খানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষী ও
শহীদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর ছোট ছেলে আসিফ মুনীর গতকাল মঙ্গলবার জবানবন্দি
দেওয়া শুরু করেছেন।
জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর তাঁর বাবাকে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে যায়।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের (এক সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ আসিফ মুনীরের জবানবন্দি নেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সাহিদুর রহমান। এর আগে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী মাসুদা বানুকে অসমাপ্ত জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবদুস শুকুর খান ও সালমা হাই।
জবানবন্দিতে আসিফ মুনীর বলেন, তাঁরা তিন ভাই। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর বয়স ছিল চার বছর। তাঁর বড় ভাই আহমেদ মুনীর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। মেজো ভাই আশফাক মুনীর (মিশুক মুনীর) ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁর মা লিলি চৌধুরী (৮৪) বেঁচে আছেন। তবে মেজো ভাইয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে মা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি জনসমক্ষে কথা বলার মতো অবস্থানে নেই। তাঁর দাদা চাকরির কারণে বিভিন্ন স্থানে বদলি হতেন, তাই স্থায়ীভাবে ঢাকার সেন্ট্রাল রোডে দাদা বাড়ি করেন। ওই বাড়িতেই থাকতেন তাঁর বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মুনীর চৌধুরী। একাত্তর সালের ১৪ ডিসেম্বর ওই বাড়ি থেকেই আলবদর বাহিনীর সদস্যরা তাঁর বাবাকে ধরে নিয়ে যায়।
জবানবন্দিতে রাষ্ট্রপক্ষের এই সাক্ষী বলেন, তাঁর বাবা একাধারে নাট্যকার, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, ভাষাতাত্ত্বিক ও শিক্ষক ছিলেন। তবে তিনি নাট্যকার হিসেবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন। তিনি পঞ্চাশের দশকে বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরবর্তী সময়ে তিনি রাজনীতি থেকে সরে আসেন। তবে তিনি পাকিস্তানি সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপের সমালোচনা করতেন। ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি সংগঠক হিসেবে কাজ করার কারণে তাঁকে জেলে থাকতে হয়েছে। ১৯৫৩ সালে তিনি জেলে বসেই কবর নাটকটি রচনা করেন।
আসিফ মুনীরের জবানবন্দি অসমাপ্ত অবস্থায় এ মামলার কার্যক্রম আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।
আসিফ মুনীরের জবানবন্দি শুরুর আগে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী মাসুদা বানুকে জেরা শেষ করে আসামিপক্ষ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমেদের ভাগনি। তিনি গত সোমবার ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেছিলেন, একাত্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকা থেকে তাঁর মামা অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিনকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যান চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খান। দৃশ্যটি তিনি দেখেছেন।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের (এক সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ আসিফ মুনীরের জবানবন্দি নেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সাহিদুর রহমান। এর আগে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী মাসুদা বানুকে অসমাপ্ত জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবদুস শুকুর খান ও সালমা হাই।
জবানবন্দিতে আসিফ মুনীর বলেন, তাঁরা তিন ভাই। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর বয়স ছিল চার বছর। তাঁর বড় ভাই আহমেদ মুনীর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। মেজো ভাই আশফাক মুনীর (মিশুক মুনীর) ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁর মা লিলি চৌধুরী (৮৪) বেঁচে আছেন। তবে মেজো ভাইয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে মা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি জনসমক্ষে কথা বলার মতো অবস্থানে নেই। তাঁর দাদা চাকরির কারণে বিভিন্ন স্থানে বদলি হতেন, তাই স্থায়ীভাবে ঢাকার সেন্ট্রাল রোডে দাদা বাড়ি করেন। ওই বাড়িতেই থাকতেন তাঁর বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মুনীর চৌধুরী। একাত্তর সালের ১৪ ডিসেম্বর ওই বাড়ি থেকেই আলবদর বাহিনীর সদস্যরা তাঁর বাবাকে ধরে নিয়ে যায়।
জবানবন্দিতে রাষ্ট্রপক্ষের এই সাক্ষী বলেন, তাঁর বাবা একাধারে নাট্যকার, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, ভাষাতাত্ত্বিক ও শিক্ষক ছিলেন। তবে তিনি নাট্যকার হিসেবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন। তিনি পঞ্চাশের দশকে বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরবর্তী সময়ে তিনি রাজনীতি থেকে সরে আসেন। তবে তিনি পাকিস্তানি সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপের সমালোচনা করতেন। ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি সংগঠক হিসেবে কাজ করার কারণে তাঁকে জেলে থাকতে হয়েছে। ১৯৫৩ সালে তিনি জেলে বসেই কবর নাটকটি রচনা করেন।
আসিফ মুনীরের জবানবন্দি অসমাপ্ত অবস্থায় এ মামলার কার্যক্রম আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।
আসিফ মুনীরের জবানবন্দি শুরুর আগে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী মাসুদা বানুকে জেরা শেষ করে আসামিপক্ষ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমেদের ভাগনি। তিনি গত সোমবার ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেছিলেন, একাত্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকা থেকে তাঁর মামা অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিনকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যান চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খান। দৃশ্যটি তিনি দেখেছেন।
No comments