বনায়নে ও মাটি খননে বিপন্ন প্রত্নতত্ত্ব
চরকাই বন বিভাগের বনায়ন এবং মন্দির এলাকা
থেকে মাটি চুরির ফলে ধ্বংস হতে চলেছে একটি বৌদ্ধ স্তূপ-মন্দির। দিনাজপুরের
বিরামপুর উপজেলার ৩ নম্বর খানপুর ইউনিয়নের সন্দলপুরে মন্দিরটির অবস্থান।
স্তূপ-মন্দিরটি
প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী
অধ্যাপক স্বাধীন সেন জানান, অবিভক্ত বাংলায় এখনো এ ধরনের অনন্য
নির্মাণশৈলীর প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়নি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একটি দল ২০০৭ সালে মন্দিরটির সন্ধান পায়। বর্তমানে মন্দিরের ওপর বন বিভাগের রোপণ করা বিভিন্ন গাছ রয়েছে। পাশাপাশি দুর্বৃত্তরাও মন্দির এলাকা থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে মন্দিরের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকার লোকজন ও প্রত্নতত্ত্ববিদেরা।
সন্দলপুর মৌজার চরকাই রেঞ্জের সংরক্ষিত বন এলাকার ১৫৭ দাগে মন্দিরটির অবস্থান। এর প্রায় পাঁচ গজ দূর দিয়ে বয়ে গেছে আশুড় নদ। যেটি করতোয়া নদীর আদি প্রবাহপথ বলে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা জানিয়েছেন।
স্বাধীন সেন জানান, করতোয়া নদীর আদি প্রবাহ পথের ঠিক পাড়েই এই মন্দিরটির অবস্থান। মন্দির কাঠামোর ঠিক মাঝখানে রয়েছে এক মিটার ব্যাসের বৃত্তাকার কাঠামো। চারদিকে কতগুলো শূন্য কক্ষ দিয়ে মন্দিরের কাঠামোকে উঁচু করা হয়েছে। খননের পর সংগৃহীত নমুনার তেজস্ক্রিয় কার্বন পরীক্ষার মাধ্যমে স্থাপত্যটি অষ্টম বা নবম শতকে নির্মিত হয়েছিল বলে জানা গেছে।
১২ জুলাই সরেজমিনে দেখা গেছে, স্তূপ-মন্দিরের ঢিবির ওপর বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দুই শতাধিক গাছ লাগানো রয়েছে। ঢিবির উত্তর পাশ থেকে মাটি কাটার চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিচের অংশ থেকে মাটি কাটার ফলে ওপর থেকে মাটিগুলো ধসে পড়ছে।
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, প্রত্নতত্ত্ব দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করে। এটি রক্ষায় সবার আন্তরিক হওয়া উচিত। স্থাপনাটি রক্ষায় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালে ওই ঢিবিতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে গাছ লাগানো হয়েছে। ওই স্থানে কোনো প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন রয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। খননের সময় তাঁদের কেউ বিষয়টি জানায়নি বলেও তিনি দাবি করেন।
স্বাধীন সেন জানান, ২০০৭ সালে বন বিভাগ ও প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়ে এবং তাঁদের অনুমতি নিয়ে সন্দলপুরে খননকাজ পরিচালনা করা হয়েছে। কাঠামোটির গুরুত্ব বিবেচনা করে এটিকে সরকারিভাবে সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে গাছগুলো সরিয়ে না নিলে মন্দিরটির অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোখসানা বেগম জানান, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একটি দল ২০০৭ সালে মন্দিরটির সন্ধান পায়। বর্তমানে মন্দিরের ওপর বন বিভাগের রোপণ করা বিভিন্ন গাছ রয়েছে। পাশাপাশি দুর্বৃত্তরাও মন্দির এলাকা থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে মন্দিরের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকার লোকজন ও প্রত্নতত্ত্ববিদেরা।
সন্দলপুর মৌজার চরকাই রেঞ্জের সংরক্ষিত বন এলাকার ১৫৭ দাগে মন্দিরটির অবস্থান। এর প্রায় পাঁচ গজ দূর দিয়ে বয়ে গেছে আশুড় নদ। যেটি করতোয়া নদীর আদি প্রবাহপথ বলে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা জানিয়েছেন।
স্বাধীন সেন জানান, করতোয়া নদীর আদি প্রবাহ পথের ঠিক পাড়েই এই মন্দিরটির অবস্থান। মন্দির কাঠামোর ঠিক মাঝখানে রয়েছে এক মিটার ব্যাসের বৃত্তাকার কাঠামো। চারদিকে কতগুলো শূন্য কক্ষ দিয়ে মন্দিরের কাঠামোকে উঁচু করা হয়েছে। খননের পর সংগৃহীত নমুনার তেজস্ক্রিয় কার্বন পরীক্ষার মাধ্যমে স্থাপত্যটি অষ্টম বা নবম শতকে নির্মিত হয়েছিল বলে জানা গেছে।
১২ জুলাই সরেজমিনে দেখা গেছে, স্তূপ-মন্দিরের ঢিবির ওপর বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দুই শতাধিক গাছ লাগানো রয়েছে। ঢিবির উত্তর পাশ থেকে মাটি কাটার চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিচের অংশ থেকে মাটি কাটার ফলে ওপর থেকে মাটিগুলো ধসে পড়ছে।
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, প্রত্নতত্ত্ব দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করে। এটি রক্ষায় সবার আন্তরিক হওয়া উচিত। স্থাপনাটি রক্ষায় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালে ওই ঢিবিতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে গাছ লাগানো হয়েছে। ওই স্থানে কোনো প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন রয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। খননের সময় তাঁদের কেউ বিষয়টি জানায়নি বলেও তিনি দাবি করেন।
স্বাধীন সেন জানান, ২০০৭ সালে বন বিভাগ ও প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়ে এবং তাঁদের অনুমতি নিয়ে সন্দলপুরে খননকাজ পরিচালনা করা হয়েছে। কাঠামোটির গুরুত্ব বিবেচনা করে এটিকে সরকারিভাবে সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে গাছগুলো সরিয়ে না নিলে মন্দিরটির অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোখসানা বেগম জানান, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments