অগ্নিদগ্ধ কারিমা মারা গেছেন
রাজধানীর উত্তরখানের অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ
কারিমা আক্তার (২০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল
মঙ্গলবার মারা গেছেন। পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছে, যৌতুকের জন্য স্বামী ও
শাশুড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি নিজেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন
লাগিয়েছেন।
এ ঘটনায় স্বামী মো. হারুন ও শাশুড়ি নাসিমা বেগমকে পুলিশ আটক করেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত সোমবার রাতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় কারিমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর স্বামীসহ কয়েকজন। তাঁকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
হাসপাতালে কারিমার বাবা আবদুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর দুই সন্তানের মধ্যে কারিমা বড়। বাসা উত্তরখান থানার চেরাগীপাড়ায়। চার বছর আগে একই থানার মুন্ডা এলাকার ওয়ার্কশপ-শ্রমিক হারুনের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে হারুনের পরিবারকে ৪০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়। এর পরও বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাবিতে কারিমাকে চাপ দিতেন হারুন ও তাঁর মা। পাঁচ-ছয় মাস ধরে চাপ ও অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। স্বামী-শাশুড়ি অটোরিকশা ও একটি ফ্রিজের জন্য কারিমাকে চাপ দেন। এতে অপারগতা জানালে তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সোমবার রাতে কারিমা নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে নিজেই আগুন দেন।
উত্তরখান থানার এসআই শাহীন খান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী ও শাশুড়ির অত্যাচারে কারিমা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত সোমবার রাতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় কারিমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর স্বামীসহ কয়েকজন। তাঁকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
হাসপাতালে কারিমার বাবা আবদুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর দুই সন্তানের মধ্যে কারিমা বড়। বাসা উত্তরখান থানার চেরাগীপাড়ায়। চার বছর আগে একই থানার মুন্ডা এলাকার ওয়ার্কশপ-শ্রমিক হারুনের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে হারুনের পরিবারকে ৪০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়। এর পরও বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাবিতে কারিমাকে চাপ দিতেন হারুন ও তাঁর মা। পাঁচ-ছয় মাস ধরে চাপ ও অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। স্বামী-শাশুড়ি অটোরিকশা ও একটি ফ্রিজের জন্য কারিমাকে চাপ দেন। এতে অপারগতা জানালে তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সোমবার রাতে কারিমা নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে নিজেই আগুন দেন।
উত্তরখান থানার এসআই শাহীন খান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী ও শাশুড়ির অত্যাচারে কারিমা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
No comments