পঞ্চম শ্রেণীতে নতুন পদ্ধতির পরীক্ষা প্রশ্ন কঠিন, সময় কম বিপাকে শিশুরা by মোশতাক আহমেদ
চলতি শিক্ষাবর্ষে পঞ্চম শ্রেণী তথা
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন চালু করা প্রশ্নকাঠামো
কঠিন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন,
প্রশ্নকাঠামোর তুলনায় পরীক্ষায় সময়ও যথেষ্ট নয়। ফলে শিক্ষার্থীরা সব উত্তর
দিতে পারছে না।
প্রথম সাময়িক পরীক্ষা ও মডেল টেস্টের খাতা
দেখতে গিয়ে শিক্ষকেরা লক্ষ করেছেন, অনেক শিক্ষার্থী সব উত্তর দিতে পারেনি।
বাংলা ও ইংরেজির অবস্থা এ ক্ষেত্রে খুবই করুণ। এই প্রশ্নকাঠামো রাখলে
পরীক্ষায় সময় বাড়াতে হবে। না হলে শিক্ষার্থীরা আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষা
সমাপনী পরীক্ষায় ফল খারাপ করবে। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় ওই পরীক্ষায় প্রায়
২৬ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেবে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
এই প্রশ্নকাঠামো তৈরি করেছে নেপ। নেপের মহাপরিচালক নাজমুল হাসান খান বলেন, তাঁদের কাছেও অনেক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন। এ জন্য এখন মডেল টেস্ট নেওয়া হচ্ছে। কী কারণে সমস্যা হচ্ছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এবার নতুন বইয়ের আলোকে নেপ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর জন্য প্রশ্নকাঠামো ও নম্বর বণ্টন পদ্ধতি প্রণয়ন করেছে। প্রতি বিষয়ের মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ২৫ নম্বর রাখা হয়েছে বই বহির্ভূত, যোগ্যতাভিত্তিক বা সৃজনশীল অংশের জন্য যা আগে ছিল ১০। কিন্তু পরীক্ষায় সময় রাখা হয়েছে আগের মতোই দুই ঘণ্টা।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, সব বিষয়ে নতুন পদ্ধতি চালু হলেও বাংলা ও ইংরেজির যোগ্যতাভিত্তিক অংশের প্রশ্নকাঠামো নিয়ে শিক্ষার্থীরা বেশি সমস্যায় পড়ছে। প্রথম আলো কার্যালয়ে এসেও কয়েকজন শিক্ষক এই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, নেপ থেকে দেওয়া নমুনা কাঠামো অনুযায়ী বাংলা প্রশ্নের যোগ্যতাভিত্তিক অংশে প্রথম চারটি প্রশ্ন হবে বইয়ের বাইরে থেকে। এই অংশে একটি অনুচ্ছেদ দেওয়া হবে। তার ভিত্তিতে প্রথমে পাঁচটি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। তবে প্রশ্নের উত্তর সরাসরি অনুচ্ছেদের মধ্যে থাকবে না। এরপর পাঁচটি শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। তারপর যুক্তবর্ণ দিয়ে শব্দ গঠন এবং উক্ত অনুচ্ছেদের আলোকে দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এসব প্রশ্নের উত্তরই শিক্ষার্থীদের মেধা খাটিয়ে দিতে হবে।
কয়েকজন শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মডেল টেস্ট ও প্রথম সাময়িক পরীক্ষার খাতা দেখতে গিয়ে দেখা গেছে, বাংলায় প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী সব উত্তর দিতে পারেনি। এ ছাড়া বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই সবশেষে থাকা রচনা লিখতে পারেনি।
শিক্ষকেরা বলেন, ইংরেজি বিষয়ে আরও কঠিন প্রশ্নকাঠোমো হয়েছে। এই বিষয়ে প্রথম তিন ক্রমিকের অংশ বইয়ের বাইরে সৃজনশীল কাঠামোয় করা হয়। এই অংশে একটি অনুচ্ছেদ কিংবা একটি সংলাপ অথবা একটি কবিতা বা একটি চিত্রও দেওয়া হতে পারে। যা-ই দেওয়া হোক, তার মধ্য থেকে প্রথম অংশে বহুনির্বাচনী ১০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এতে নম্বর থাকবে ১০। শূন্যস্থান পূরণের জন্য থাকবে পাঁচ। এ ছাড়াও পাঁচ থেকে সাতটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে, যার নম্বর হবে ১০। এসব লিখতে হবে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে।
কয়েকজন শিক্ষক বলেন, যোগ্যতাভিত্তিক অংশ পড়ে ও বুঝে উত্তর দিতেই শিক্ষার্থীদের অনেক সময় চলে যায়। ফলে দেখা গেছে ইংরেজিতে মাত্র ২০ শতাংশের মতো শিক্ষার্থী সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর দিতে পারছে। অন্য শিক্ষার্থীরাও বিষয়গুলো জানে। কিন্তু সময়ের অভাবে উত্তর দিতে না পেরে তারা মন খারাপ করে। গ্রামাঞ্চলে অবস্থা আরও বেশি খারাপ।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
এই প্রশ্নকাঠামো তৈরি করেছে নেপ। নেপের মহাপরিচালক নাজমুল হাসান খান বলেন, তাঁদের কাছেও অনেক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন। এ জন্য এখন মডেল টেস্ট নেওয়া হচ্ছে। কী কারণে সমস্যা হচ্ছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এবার নতুন বইয়ের আলোকে নেপ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর জন্য প্রশ্নকাঠামো ও নম্বর বণ্টন পদ্ধতি প্রণয়ন করেছে। প্রতি বিষয়ের মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ২৫ নম্বর রাখা হয়েছে বই বহির্ভূত, যোগ্যতাভিত্তিক বা সৃজনশীল অংশের জন্য যা আগে ছিল ১০। কিন্তু পরীক্ষায় সময় রাখা হয়েছে আগের মতোই দুই ঘণ্টা।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, সব বিষয়ে নতুন পদ্ধতি চালু হলেও বাংলা ও ইংরেজির যোগ্যতাভিত্তিক অংশের প্রশ্নকাঠামো নিয়ে শিক্ষার্থীরা বেশি সমস্যায় পড়ছে। প্রথম আলো কার্যালয়ে এসেও কয়েকজন শিক্ষক এই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, নেপ থেকে দেওয়া নমুনা কাঠামো অনুযায়ী বাংলা প্রশ্নের যোগ্যতাভিত্তিক অংশে প্রথম চারটি প্রশ্ন হবে বইয়ের বাইরে থেকে। এই অংশে একটি অনুচ্ছেদ দেওয়া হবে। তার ভিত্তিতে প্রথমে পাঁচটি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। তবে প্রশ্নের উত্তর সরাসরি অনুচ্ছেদের মধ্যে থাকবে না। এরপর পাঁচটি শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। তারপর যুক্তবর্ণ দিয়ে শব্দ গঠন এবং উক্ত অনুচ্ছেদের আলোকে দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এসব প্রশ্নের উত্তরই শিক্ষার্থীদের মেধা খাটিয়ে দিতে হবে।
কয়েকজন শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মডেল টেস্ট ও প্রথম সাময়িক পরীক্ষার খাতা দেখতে গিয়ে দেখা গেছে, বাংলায় প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী সব উত্তর দিতে পারেনি। এ ছাড়া বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই সবশেষে থাকা রচনা লিখতে পারেনি।
শিক্ষকেরা বলেন, ইংরেজি বিষয়ে আরও কঠিন প্রশ্নকাঠোমো হয়েছে। এই বিষয়ে প্রথম তিন ক্রমিকের অংশ বইয়ের বাইরে সৃজনশীল কাঠামোয় করা হয়। এই অংশে একটি অনুচ্ছেদ কিংবা একটি সংলাপ অথবা একটি কবিতা বা একটি চিত্রও দেওয়া হতে পারে। যা-ই দেওয়া হোক, তার মধ্য থেকে প্রথম অংশে বহুনির্বাচনী ১০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এতে নম্বর থাকবে ১০। শূন্যস্থান পূরণের জন্য থাকবে পাঁচ। এ ছাড়াও পাঁচ থেকে সাতটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে, যার নম্বর হবে ১০। এসব লিখতে হবে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে।
কয়েকজন শিক্ষক বলেন, যোগ্যতাভিত্তিক অংশ পড়ে ও বুঝে উত্তর দিতেই শিক্ষার্থীদের অনেক সময় চলে যায়। ফলে দেখা গেছে ইংরেজিতে মাত্র ২০ শতাংশের মতো শিক্ষার্থী সম্পূর্ণ প্রশ্নোত্তর দিতে পারছে। অন্য শিক্ষার্থীরাও বিষয়গুলো জানে। কিন্তু সময়ের অভাবে উত্তর দিতে না পেরে তারা মন খারাপ করে। গ্রামাঞ্চলে অবস্থা আরও বেশি খারাপ।
No comments